কলকাতা,24 ফেব্রুয়ারি: স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড রয়েছে এমন কোনও রোগীকে চিকিৎসা পরিষেবা না দিলে বাতিল হতে পারে ওই নির্দিষ্ট হাসপাতালে লাইসেন্স । 2017-র এক আইন উল্লেখ করে মঙ্গলবার বেসরকারি হাসপাতালগুলির উদ্দেশ্যে এমনই নোটিস জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড রয়েছে এমন কোনও রোগীকে হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না । একথা আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেও অভিযোগ উঠছিল, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন হাসপাতাল চিকিৎসা পরিষেবা না দিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছে রোগীদের । একের পর এক এই ধরনের অভিযোগ ওঠার পরে মঙ্গলবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এক নোটিস ইস্যু করে জানিয়ে দিয়েছে, 10টি বেড রয়েছে এমন ছোটো মাপের কোনও নার্সিংহোম থেকে শুরু করে বড় মাপের কর্পোরেট কোনও হাসপাতাল, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড রয়েছে এমন কোনও রোগীকে চিকিৎসা পরিষেবা না দিয়ে ফিরিয়ে দিলে, সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোম বা হাসপাতালের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
কোন ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে? ওই নোটিসে জানানো হয়েছে, এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোম বা হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে । অথবা, প্রত্যাহার করে নেওয়া হতে পারে কিংবা, লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করা নাও হতে পারে । এই ব্যবস্থা ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট (রেজিস্ট্রেশন, রেগুলেশন অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সি) অ্যাক্ট, 2017 অনুযায়ী নেওয়া হবে বলেও এদিন ওই নোটিসে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন, ‘দিদির দূত’ অ্যাপে দারুণ সাড়া, মাত্র 20 দিনে ব্যবহারকারী ছাড়াল 5 লাখ
আরও জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী রাজ্যের প্রকল্প । এই আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রার্ড প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতাল রাজ্যের প্রকল্পে অংশগ্রহণ করবে । জাতীয় এবং রাজ্য স্তরের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রকল্পেও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে । রাজ্যের এমন প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে প্যানেলভুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ, 2017-র ওই আইন অনুযায়ী 10টি বা তার বেশি বেড রয়েছে এমন হাসপাতাল বা নার্সিংহোম আর বলতে পারবে না যে, তারা স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় নেই ।