ETV Bharat / state

Political Violence in Bengal: বঙ্গের নির্বাচনী ইতিহাসে হিংসা আর মৃত্যুই যেন স্বাভাবিক - তৃণমূল কংগ্রেস

আজ পঞ্চায়েত নির্বাচন ছিল পশ্চিমবঙ্গে ৷ প্রায় 15 জন মারা গিয়েছেন ভোটের হিংসায় ৷ এই প্রথম নয় ৷ আগেও একাধিক নির্বাচনে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে ৷ এই রাজ্যের ভোটে হিংসা আর মৃত্যুই যেন স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে ৷

Political Violence in Bengal
Political Violence in Bengal
author img

By

Published : Jul 8, 2023, 9:05 PM IST

কলকাতা, 8 জুলাই: অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, এই কথাটাই পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ বিলুপ্ত প্রায় হতে বসেছে ৷ পঞ্চায়েত হোক কিংবা লোকসভা বা বিধানসভা, অশান্তিকে সঙ্গী করেই চলে ভোটগ্রহণ ৷ শনিবারও তার ব্যতিক্রম হল না বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ৷ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এবার পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলাকালীন প্রাণহানির সংখ্যা 33 ৷ যার মধ্যে আজ ভোটের দিনই মারা গিয়েছেন 15 জন ৷

পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা: যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার ইতিহাসও বেশ দীর্ঘ ৷ পাঁচ বছর আগে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে 29 জন মারা গিয়েছিলেন ৷ 2013 সালে সেই সংখ্যাটা ছিল 39 ৷ কিন্তু 2003 সালের পরিসংখ্যান আরও ভয়ঙ্কর ৷ ওই বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলাকালীন মারা গিয়েছিলেন 76 জন ৷

লোকসভা নির্বাচনে হিংসা: তবে শুধু পঞ্চায়েত নির্বাচন নয়, লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনেও হিংসার নজির কম নয় ৷ 2014 সালের লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন সারা দেশে 16 জন রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে ৷ তার মধ্যে সাতজন মারা যান পশ্চিমবঙ্গে ৷ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই ভোটে 2008 জন রাজনৈতিক কর্মী আহত হন ৷ এঁদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই 1298 জন আহত হয়েছিলেন ৷

Political Violence in Bengal
পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসার খতিয়ান

অন্যদিকে 2019 সালের লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন পশ্চিমবঙ্গে 693টি রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল ৷ 11 জন নিহত হন ওই ঘটনায় ৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, ওই বছর জুনের 1 তারিখ থেকে ডিসেম্বরের 31 তারিখ পর্যন্ত বাংলায় ভোট পরবর্তী 852টি হিংসার ঘটনা ঘটে ৷ 61 জন নিহত হন৷ এর মধ্যে তৃণমূলের 35 জন ও বিজেপির 20 জন ৷ আহত হন 1508 জন ৷ এঁদের মধ্যে 800 জন বিজেপির ও 584 জন তৃণমূলের ৷ এনসিআরবি-এর তথ্য অনুযায়ী, 2019 সালে রাজনৈতিক খুনের তালিকায় বাংলা শীর্ষে ছিল ।

আরও পড়ুন: হিংসার বলি 16, সুকান্তকে ফোন শাহের; ভোট পড়ল 66.28%

বিধানসভা নির্বাচনে হিংসা: 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর 15 হাজার রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটে ৷ 25 জন নিহত হন ৷ সাত হাজার মহিলার শ্লীলতাহানি হয় ৷ এই তথ্য উঠে এসেছে সিকিম হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) প্রমোদ কোহলির নেতৃত্বাধীন কল ফর জাস্টিস নামে একটি তথ্য অনুসন্ধানকারী নাগরিক সমাজের কমিটির তদন্তে ৷

বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার ইতিহাস: স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলায় 1946 ও 1948 সালের মধ্যে তেভাগা আন্দোলনের আকারে হিংসার রাজনীতির শুরু ৷ ওই আন্দোলনে ফসলের দুই-তৃতীয়াংশ ভাগ চাষিদের দেওয়ার জন্য কংগ্রেস সমর্থিত জমির মালিকরা দেশের তৎকালীন অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টি সমর্থিত কৃষকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল ৷

1959 সালের খাদ্য আন্দোলন ও ছয়ের দশকের প্রথম দিকের ছাত্রদের আন্দোলন সমানভাবে রক্তাক্ত ছিল, যার ফলে আন্তঃদলীয় সংঘর্ষ ও পুলিশি দমন-পীড়নে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছিল । 1967 ও 1969 সালে কংগ্রেস বিরোধী যুক্তফ্রন্ট সরকারের পতনের সময়ও রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা বারবার হয়েছে ৷ চারু মজুমদারের আমলে 1967 সালে নকশাল আন্দোলন বাংলার পরিবেশকে একসময় অশান্ত করে তুলেছিল ৷

রাজনৈতিক হিংসার আরও একটা উদাহরণ হল 1970 সালে সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ড ৷ যেখানে কংগ্রেসের সমর্থক একটি পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ৷ এমনকী, ছেলেকে হত্যার পর মাকে রক্তমাখা ভাতও খাওয়ানো হয় ৷ কাঠগড়ায় ওঠে সিপিএম সমর্থকরা ৷ আটের দশকের শুরুতে অপরাশেন বর্গার সময়ও কৃষক ও জমির মালিকদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ৷

আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের উৎসবে লুট ব্যালট বাক্স, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

সাম্প্রতিক অতীতে যে হিংসার ঘটনা বাংলায় ঘটেছে, তার মধ্যে অন্যতম নন্দীগ্রাম গণহত্যা ৷ জমি উচ্ছেদ বিরোধী সেই আন্দোলনে 2017 সালের 14 মার্চ পুলিশের গুলিতে 14 জন নিহত হন ৷ ওই সময় সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষেও অনেকের প্রাণ যায় ৷ এছাড়া 2008 সাল থেকে 2011 সাল পর্যন্ত জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের বিদ্রোহের সময় 100 জন সিপিএম কর্মী নিহত হন ৷

1998 সালে তৃণমূল কংগ্রেস সিপিএমের মূল প্রতিপক্ষ হওয়ার পর আরও কয়েকটি হিংসার ঘটনা ঘটেছে ৷ 2000 সালে নানুরের সূচপুরে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে 11 জনের মৃত্যু হয় ৷ 2001 সালে ছোট আঙারিয়ায় সিপিএমের হামলায় 11 জনের মৃত্যু হয় ৷ 2003 সালে উত্তরবঙ্গে এক সিটু নেতা তারকেশ্বর লোহারের বাড়িতে হামলা হয় ৷ সেই সময় বেশ কয়েকজন কর্মীকে নিয়ে তিনি বৈঠক করছিলেন ৷ বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ৷ 2011 সালের জানুয়ারিতে নেতাই গণহত্যায় 14 জন নিহত হন ৷ এক সিপিএম নেতার বাড়ি থেকে গুলি করে ওই 14 জনকে মারা হয় বলে অভিযোগ ৷

বাংলায় একসময় শাসন ছিল কংগ্রেসের হাতে ৷ সেই সময় সিপিএম ছিল তাদের মূল প্রতিপক্ষ ৷ আবার সিপিএম ক্ষমতায় আসার পর প্রথমে কংগ্রেস ও পরে তৃণমূল হয়ে ওঠে প্রধান প্রতিপক্ষ ৷ সিপিএমকে সরিয়ে তৃণমূলের সরকার আসার পর পশ্চিমবঙ্গ সিপিএম ছিল মূল প্রতিপক্ষ ৷ কিন্তু 2019 সালের পর থেকে ক্রমশ সেই চিত্র বদলেছে ৷ এখন রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূলের মূল লড়াই বিজেপির সঙ্গে ৷

তাৎপর্যপূর্ণভাবে শাসকের আসন বদলেছে, বিরোধী দলের ভূমিকাতেও বদল এসেছে ৷ তার পরও রাজনৈতিক হিংসার পরিস্থিতি বদলায়নি বাংলায়৷ সেই ছবি কি আগামিদিনেও আদৌ বদল হবে ? উত্তর লুকিয়ে সময়ের গর্ভে ৷

আরও পড়ুন: শুধু মুর্শিদাবাদেই হিংসার বলি 5; মোটের উপর নির্বিঘ্নেই ভোট, দাবি পুলিশসুপারের

কলকাতা, 8 জুলাই: অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, এই কথাটাই পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ বিলুপ্ত প্রায় হতে বসেছে ৷ পঞ্চায়েত হোক কিংবা লোকসভা বা বিধানসভা, অশান্তিকে সঙ্গী করেই চলে ভোটগ্রহণ ৷ শনিবারও তার ব্যতিক্রম হল না বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ৷ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এবার পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলাকালীন প্রাণহানির সংখ্যা 33 ৷ যার মধ্যে আজ ভোটের দিনই মারা গিয়েছেন 15 জন ৷

পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা: যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার ইতিহাসও বেশ দীর্ঘ ৷ পাঁচ বছর আগে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে 29 জন মারা গিয়েছিলেন ৷ 2013 সালে সেই সংখ্যাটা ছিল 39 ৷ কিন্তু 2003 সালের পরিসংখ্যান আরও ভয়ঙ্কর ৷ ওই বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলাকালীন মারা গিয়েছিলেন 76 জন ৷

লোকসভা নির্বাচনে হিংসা: তবে শুধু পঞ্চায়েত নির্বাচন নয়, লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনেও হিংসার নজির কম নয় ৷ 2014 সালের লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন সারা দেশে 16 জন রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে ৷ তার মধ্যে সাতজন মারা যান পশ্চিমবঙ্গে ৷ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই ভোটে 2008 জন রাজনৈতিক কর্মী আহত হন ৷ এঁদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই 1298 জন আহত হয়েছিলেন ৷

Political Violence in Bengal
পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসার খতিয়ান

অন্যদিকে 2019 সালের লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন পশ্চিমবঙ্গে 693টি রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল ৷ 11 জন নিহত হন ওই ঘটনায় ৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, ওই বছর জুনের 1 তারিখ থেকে ডিসেম্বরের 31 তারিখ পর্যন্ত বাংলায় ভোট পরবর্তী 852টি হিংসার ঘটনা ঘটে ৷ 61 জন নিহত হন৷ এর মধ্যে তৃণমূলের 35 জন ও বিজেপির 20 জন ৷ আহত হন 1508 জন ৷ এঁদের মধ্যে 800 জন বিজেপির ও 584 জন তৃণমূলের ৷ এনসিআরবি-এর তথ্য অনুযায়ী, 2019 সালে রাজনৈতিক খুনের তালিকায় বাংলা শীর্ষে ছিল ।

আরও পড়ুন: হিংসার বলি 16, সুকান্তকে ফোন শাহের; ভোট পড়ল 66.28%

বিধানসভা নির্বাচনে হিংসা: 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর 15 হাজার রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটে ৷ 25 জন নিহত হন ৷ সাত হাজার মহিলার শ্লীলতাহানি হয় ৷ এই তথ্য উঠে এসেছে সিকিম হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) প্রমোদ কোহলির নেতৃত্বাধীন কল ফর জাস্টিস নামে একটি তথ্য অনুসন্ধানকারী নাগরিক সমাজের কমিটির তদন্তে ৷

বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার ইতিহাস: স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলায় 1946 ও 1948 সালের মধ্যে তেভাগা আন্দোলনের আকারে হিংসার রাজনীতির শুরু ৷ ওই আন্দোলনে ফসলের দুই-তৃতীয়াংশ ভাগ চাষিদের দেওয়ার জন্য কংগ্রেস সমর্থিত জমির মালিকরা দেশের তৎকালীন অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টি সমর্থিত কৃষকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল ৷

1959 সালের খাদ্য আন্দোলন ও ছয়ের দশকের প্রথম দিকের ছাত্রদের আন্দোলন সমানভাবে রক্তাক্ত ছিল, যার ফলে আন্তঃদলীয় সংঘর্ষ ও পুলিশি দমন-পীড়নে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছিল । 1967 ও 1969 সালে কংগ্রেস বিরোধী যুক্তফ্রন্ট সরকারের পতনের সময়ও রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা বারবার হয়েছে ৷ চারু মজুমদারের আমলে 1967 সালে নকশাল আন্দোলন বাংলার পরিবেশকে একসময় অশান্ত করে তুলেছিল ৷

রাজনৈতিক হিংসার আরও একটা উদাহরণ হল 1970 সালে সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ড ৷ যেখানে কংগ্রেসের সমর্থক একটি পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ৷ এমনকী, ছেলেকে হত্যার পর মাকে রক্তমাখা ভাতও খাওয়ানো হয় ৷ কাঠগড়ায় ওঠে সিপিএম সমর্থকরা ৷ আটের দশকের শুরুতে অপরাশেন বর্গার সময়ও কৃষক ও জমির মালিকদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ৷

আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের উৎসবে লুট ব্যালট বাক্স, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

সাম্প্রতিক অতীতে যে হিংসার ঘটনা বাংলায় ঘটেছে, তার মধ্যে অন্যতম নন্দীগ্রাম গণহত্যা ৷ জমি উচ্ছেদ বিরোধী সেই আন্দোলনে 2017 সালের 14 মার্চ পুলিশের গুলিতে 14 জন নিহত হন ৷ ওই সময় সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষেও অনেকের প্রাণ যায় ৷ এছাড়া 2008 সাল থেকে 2011 সাল পর্যন্ত জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের বিদ্রোহের সময় 100 জন সিপিএম কর্মী নিহত হন ৷

1998 সালে তৃণমূল কংগ্রেস সিপিএমের মূল প্রতিপক্ষ হওয়ার পর আরও কয়েকটি হিংসার ঘটনা ঘটেছে ৷ 2000 সালে নানুরের সূচপুরে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে 11 জনের মৃত্যু হয় ৷ 2001 সালে ছোট আঙারিয়ায় সিপিএমের হামলায় 11 জনের মৃত্যু হয় ৷ 2003 সালে উত্তরবঙ্গে এক সিটু নেতা তারকেশ্বর লোহারের বাড়িতে হামলা হয় ৷ সেই সময় বেশ কয়েকজন কর্মীকে নিয়ে তিনি বৈঠক করছিলেন ৷ বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ৷ 2011 সালের জানুয়ারিতে নেতাই গণহত্যায় 14 জন নিহত হন ৷ এক সিপিএম নেতার বাড়ি থেকে গুলি করে ওই 14 জনকে মারা হয় বলে অভিযোগ ৷

বাংলায় একসময় শাসন ছিল কংগ্রেসের হাতে ৷ সেই সময় সিপিএম ছিল তাদের মূল প্রতিপক্ষ ৷ আবার সিপিএম ক্ষমতায় আসার পর প্রথমে কংগ্রেস ও পরে তৃণমূল হয়ে ওঠে প্রধান প্রতিপক্ষ ৷ সিপিএমকে সরিয়ে তৃণমূলের সরকার আসার পর পশ্চিমবঙ্গ সিপিএম ছিল মূল প্রতিপক্ষ ৷ কিন্তু 2019 সালের পর থেকে ক্রমশ সেই চিত্র বদলেছে ৷ এখন রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূলের মূল লড়াই বিজেপির সঙ্গে ৷

তাৎপর্যপূর্ণভাবে শাসকের আসন বদলেছে, বিরোধী দলের ভূমিকাতেও বদল এসেছে ৷ তার পরও রাজনৈতিক হিংসার পরিস্থিতি বদলায়নি বাংলায়৷ সেই ছবি কি আগামিদিনেও আদৌ বদল হবে ? উত্তর লুকিয়ে সময়ের গর্ভে ৷

আরও পড়ুন: শুধু মুর্শিদাবাদেই হিংসার বলি 5; মোটের উপর নির্বিঘ্নেই ভোট, দাবি পুলিশসুপারের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.