কলকাতা, 29 মে: নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারের পর তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা পার্টি অফিস এবার পূর্ত দফতরের কোপে । সরকারি জমি দখল করে গজিয়ে ওঠা নির্মাণ এখন পূর্ত দফতরের ভাঙায় কোনও বাধা নেই, সোমবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ ।
মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ব্লকের আফ্রিকা মোড় সংলগ্ন এলাকা । 2021 সালে নির্মাণ হওয়া এই ভবনটি বিধায়ক কার্যালয় তথা তৃণমূল ভবন নামেই পরিচিত ছিল । তবে ভবনটি নির্মাণ হওয়ার পরেই স্থানীয় এক বাসিন্দা এই ভবনটি সরকারি জায়গায় রয়েছে বলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ।
গত বছর ডিসেম্বরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের নির্দেশ মতোই ভবনটি ভাঙার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি শুরু হয় । তবে ভবনটি ভাঙতে গিয়েই প্রসাশন ও পুলিশি বাধার সম্মুখীন হতে হয় । সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ হয় । সেই মামলাতেই সোমবার বিচারপতি চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ সেখানকার অন্য কয়েকটি প্লটের বিতর্কিত নির্মাণ ভাঙার ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দিলেও, জীবনকৃষ্ণের ওই দলীয় অফিস ভাঙার ক্ষেত্রে সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল ।
দীর্ঘ 65 ঘণ্টা জিজ্ঞসাবাদের পর গত 17 এপ্রিল মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করে সিবিআই-ইডি । কিন্তু গ্রেফতারের আগে তাঁর বাড়ির পুকুরে নিজের দুটি মোবাইল ফেলে দেন জীবনকৃষ্ণ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দীর্ঘ সময় পাম্প চালিয়ে সেই মোবাইল উদ্ধার করতে পারছিল না। পরে তা একটি গাছের গোড়ায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে পুলিশ ৷ যদিও জীবনকৃষ্ণের দাবি ছিল, জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন তাঁকে মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে না-দেওয়ার জন্য তিনি রাগে মোবাইল ফোন জলে ফেলে দেন । অন্যদিকে, সিবিআইয়ের দাবি জীবনকৃষ্ণের বাড়ি থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রায় 3 হাজার 400টি নথি পাওয়া গিয়েছে । চাকরিপ্রার্থীদের থেকে 5-6 লক্ষ টাকা করে নিতেন ধৃত এই বিধায়ক ।
আরও পড়ুন : জীবনের জামাইষষ্ঠী ! বাড়ির খাবার খেতে পারলেন না তৃণমূল বিধায়ক