কলকাতা, 27 অক্টোবর : নির্দিষ্ট করে উল্লিখিত নয়, এমন কিছু প্যাকেজে নিয়ন্ত্রণের কথা জানিয়ে একটি উপদেশমূলক নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর (West Bengal Health Department) ৷ 25 অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে চিকিৎসা পরিষেবা না দিলে বেসরকারি হাসপাতালগুলির লাইসেন্স বাতিল-সহ কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন৷ তারপরই এমন নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর ৷
2016-র 30 ডিসেম্বর রাজ্যে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প (Swasthya Sathi Scheme) চালু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ প্রত্যেক বছর পরিবার পিছু 5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ দেওয়া হবে এই কার্ডে ৷
আরও পড়ুন : Swasthya Sathi Card : স্বজনপোষণের অভিযোগে তৃণমূল পরিচালিত গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ শাসকদলের
নির্দেশিকায় কী জানানো হল ?
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, "দুর্ঘটনা বা জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে ওষুধ এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সর্বোচ্চ 5 হাজার টাকার বাড়তি খরচ বহন করা হবে ৷ এর মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য অনুমোদিত হিসেব অনুযায়ী হাসপাতালের ভর্তি থাকার খরচও যোগ হবে ৷" স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এই প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন রোগের প্যাকেজ থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালগুলি র্নির্দিষ্ট প্যাকেজের আওতায় চিকিৎসা করছে না ৷ রোগ নির্ণয় করে রোগীকে দ্রুত নির্দিষ্ট প্যাকেজের আওতায় আনতে হবে ৷ এরই সঙ্গে ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কোনও ব্যক্তির কাছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না থাকলে তাঁর আধার নম্বর দিয়ে স্বাস্থ্য সাথী ওয়েব পোর্টালে খোঁজ করতে হবে ৷
এছাড়া যদি কারও কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবার কার্ড না থাকে, তাহলে হাসপাতালের তরফে কার্ড তৈরি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে ৷ পিপিপি ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলিকেও একই রকম ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে ৷" এই প্রকল্পের আওতায় অন্ততপক্ষে 1 হাজার 900টি প্যাকেজ রয়েছে ৷ এক্ষেত্রে একটি পরিবার প্রতি বছর 5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা পাবে তালিকাভুক্ত হাসপাতালে ৷