ETV Bharat / state

HC on termination teachers: 32 হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল মামলায় অন্তর্বর্তী কোনও নির্দেশ দিল না ডিভিশন বেঞ্চ - সিঙ্গেল বেঞ্চ এই বিষয়টা বিবেচনা না করেই

সাত বছর আগের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে নষ্ট করতেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ 32 হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ যদিও মামলায় অন্তর্বর্তী কোনও নির্দেশ দিল না ডিভিশন বেঞ্চ ৷

Etv Bharat
নির্দেশ নয় ডিভিশন বেঞ্চের
author img

By

Published : May 17, 2023, 7:48 PM IST

কলকাতা, 17 মে: 32 হাজার চাকরি বাতিলের মামলার শুনানি শেষে রায়দান প্রক্রিয়া স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে এক ধাক্কায় 32 হাজার শিক্ষকের চাকরি 'নট' করে দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ ৷ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারা প্রার্থীরা ৷ সেই মামলার শুনানিতে বুধবার আপাতত কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিল না ডিভিশন বেঞ্চ ৷

সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্রাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরি হারারা। যদিও এদিন মামলার শুনানি শেষ হলেও সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের উপর কোনও অন্তর্বতীকালীন স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী 19 মে মামলার রায়দান হবে বলে জানায় বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ এদিন শুনানিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে আইনজীবী সুবীর স্যানাল বলেন, "অ্যাপটিটিউড টেস্ট মানে পরীক্ষার্থীর শিক্ষকতা করার দক্ষতা খতিয়ে দেখা। ইন্টারভিউতেই সেটা হয়ে যায়। কিন্তু সিঙ্গেল বেঞ্চ এই বিষয়টা বিবেচনা না-করেই নির্দেশ দিয়েছে।" ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমেই অ্যাপটিটিউড টেস্টও হয়ে যায় বলে দাবি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। আইনজীবীর দাবি, "সিঙ্গল বেঞ্চ কিছু অকৃতকার্য প্রার্থীর বক্তব্য শুনে নির্দেশ দিয়েছে। যা একপেশে এবং স্বাভাবিক ন্যায়ের পরিপন্থী।"

অন্যদিকে চাকরিহারাদের তরফে আইনজীবী ও তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতেই বলা হয়েছিল প্রশিক্ষণ থাকাটা বাধ্যতামূলক নয়। কিছু অযোগ্য প্রার্থী মামলা করেছিল। কী হল এই নির্দেশের ফলে? একটা নিয়োগ প্রক্রিয়াকে নষ্ট করা ছাড়া আর কী আছে এই নির্দেশে? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ শুধুই কথায় কথায় দুর্নীতির কথা বলছেন, কিন্তু তার স্বপক্ষে প্রমাণ কোথায়?" সেই সঙ্গে, তাঁর দাবি, অকৃতকার্য হওয়ার সাত বছর পর আদালতে এসে এখন দুর্নীতি খোঁজা হচ্ছে ! তিনি বলেন, "ফোরাম সপিং করা হচ্ছে। তাতে সম্মতি দিচ্ছেন সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি।" পাশাপাশি, মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী কুমারজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, "মেধাবী প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। যারা চাকরি কিনতে পেরেছে তারা চাকরি পেয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এর দায়িত্ব নেয়নি। এখন এতকিছু যুক্তি দেওয়া হচ্ছে ! কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে। যারা ছয়-সাত বছর ধরে রাস্তায় রয়েছে তাদের কী হবে?"

সব পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর ডিভিশন বেঞ্চের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, আগামী 19 মে বেলা একটায় এই মামলার রায় ঘোষণা হবে। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় 2016 সালে নিযুক্ত প্রায় 32 হাজার কর্মরত শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। একাধিক কারণে এই নির্দেশ বলে জানান সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও চাকরিহারা শিক্ষকরা। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার এবং এদিন দীর্ঘ সময় শুনানি পর মামলার রায়দান স্থগিত রাখে।

আরও পড়ুন: এক দশক আইনি লড়াইয়ের সাফল্য, 71 জনকে প্রাথমিকে চাকরির নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

কলকাতা, 17 মে: 32 হাজার চাকরি বাতিলের মামলার শুনানি শেষে রায়দান প্রক্রিয়া স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে এক ধাক্কায় 32 হাজার শিক্ষকের চাকরি 'নট' করে দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ ৷ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারা প্রার্থীরা ৷ সেই মামলার শুনানিতে বুধবার আপাতত কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিল না ডিভিশন বেঞ্চ ৷

সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্রাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরি হারারা। যদিও এদিন মামলার শুনানি শেষ হলেও সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের উপর কোনও অন্তর্বতীকালীন স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী 19 মে মামলার রায়দান হবে বলে জানায় বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ এদিন শুনানিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে আইনজীবী সুবীর স্যানাল বলেন, "অ্যাপটিটিউড টেস্ট মানে পরীক্ষার্থীর শিক্ষকতা করার দক্ষতা খতিয়ে দেখা। ইন্টারভিউতেই সেটা হয়ে যায়। কিন্তু সিঙ্গেল বেঞ্চ এই বিষয়টা বিবেচনা না-করেই নির্দেশ দিয়েছে।" ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমেই অ্যাপটিটিউড টেস্টও হয়ে যায় বলে দাবি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। আইনজীবীর দাবি, "সিঙ্গল বেঞ্চ কিছু অকৃতকার্য প্রার্থীর বক্তব্য শুনে নির্দেশ দিয়েছে। যা একপেশে এবং স্বাভাবিক ন্যায়ের পরিপন্থী।"

অন্যদিকে চাকরিহারাদের তরফে আইনজীবী ও তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতেই বলা হয়েছিল প্রশিক্ষণ থাকাটা বাধ্যতামূলক নয়। কিছু অযোগ্য প্রার্থী মামলা করেছিল। কী হল এই নির্দেশের ফলে? একটা নিয়োগ প্রক্রিয়াকে নষ্ট করা ছাড়া আর কী আছে এই নির্দেশে? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ শুধুই কথায় কথায় দুর্নীতির কথা বলছেন, কিন্তু তার স্বপক্ষে প্রমাণ কোথায়?" সেই সঙ্গে, তাঁর দাবি, অকৃতকার্য হওয়ার সাত বছর পর আদালতে এসে এখন দুর্নীতি খোঁজা হচ্ছে ! তিনি বলেন, "ফোরাম সপিং করা হচ্ছে। তাতে সম্মতি দিচ্ছেন সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি।" পাশাপাশি, মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী কুমারজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, "মেধাবী প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। যারা চাকরি কিনতে পেরেছে তারা চাকরি পেয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এর দায়িত্ব নেয়নি। এখন এতকিছু যুক্তি দেওয়া হচ্ছে ! কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে। যারা ছয়-সাত বছর ধরে রাস্তায় রয়েছে তাদের কী হবে?"

সব পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর ডিভিশন বেঞ্চের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, আগামী 19 মে বেলা একটায় এই মামলার রায় ঘোষণা হবে। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় 2016 সালে নিযুক্ত প্রায় 32 হাজার কর্মরত শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। একাধিক কারণে এই নির্দেশ বলে জানান সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও চাকরিহারা শিক্ষকরা। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার এবং এদিন দীর্ঘ সময় শুনানি পর মামলার রায়দান স্থগিত রাখে।

আরও পড়ুন: এক দশক আইনি লড়াইয়ের সাফল্য, 71 জনকে প্রাথমিকে চাকরির নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.