কলকাতা, 3 অগস্ট: আনন্দপুরে শিশু পাচার চক্রের ঘটনায় লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের আতশ কাচের তলায় রয়েছেন শহরের এক মহিলা চিকিৎসক । স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ওই চিকিৎসকের কলকাতার বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি কসবা এলাকাতেও একটি ক্লিনিক রয়েছে । ইতিমধ্যেই মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে ৷ আর পুলিশের দাবি, তাদের জেরা করেই এই মহিলা চিকিৎসকের বিষয়ে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা ৷ প্রাথমিকভাবে পুলিশের দাবি, এক প্রকারে হিউম্যান ট্রাফিকিং-এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ওই স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ মহিলা চিকিৎসক ।
পুলিশ সূত্রে খবর, কসবা এলাকার ক্লিনিকেই প্র্যাকটিস করেন ওই মহিলা চিকিৎসক । ইতিমধ্যেই শিশু পাচার কাণ্ডে তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ছয় জন মহিলা । তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে বৃহস্পতিবার তল্লাশি অভিযান চালায় আনন্দপুর থানার পুলিশ ৷ সেই অভিযানে আরও দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর । ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (ইডি) আরিশ বিলাল জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে মমতা পাত্র নামে ২৮ বছরের এক মহিলাকে নোনাডাঙ্গা রেল কলোনি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি গোলাম আম্বিয়া নামে 50 বছরের এক ব্যক্তিকে মুর্শিদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে । ওই গোলাম আম্বিয়া নামে ব্যক্তি আকসার কাছে একটি ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকে কাজ করেন বলে জানা গিয়েছে ।
এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া নতুন দুই অভিযুক্তের কাছ থেকে ওই স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ পরিচয় পান তদন্তকারীরা । তাদের কাছ থেকে ওই মহিলা চিকিৎসকের নাম এবং প্রেসক্রিপশনও উদ্ধার করা হয়েছে । ওই মহিলা চিকিৎসক বিভিন্ন অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের অপারেশন করতেন । সুযোগ বুঝে বিভিন্ন মহিলার অপারেশনের পর তাদের বাচ্চাকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অন্য দম্পতিদের হাতে তুলে দিতেন । কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, এক প্রকারে হিউম্যান ট্রাফিকিং-এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ওই স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ মহিলা চিকিৎসক ।
সম্প্রতি আনন্দপুর থানা এলাকায় ২১ দিনের কন্যা সন্তানকে বিক্রি করার অভিযোগে মোট ছয় জন মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ । এই ঘটনার তদন্ত নেমে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয় তদন্তকারীদের । কারণ বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার-এর পাশাপাশি এবার এই শিশু পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ মহিলা চিকিৎসকের বিরুদ্ধেও ।