কলকাতা, 18 অগস্ট: "হ্যাঁ, আমার ভয় লাগছে ৷" যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর পর আতঙ্কিত প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর মা। ব্যারাকপুর থেকে যাদবপুর প্রতিদিন সন্তানকে নিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় শঙ্কিত পড়ুয়াদের অভিভাবকরা । পড়ুয়ার মৃত্যুর পর ইতিমধ্যেই পুলিশের বেড়াজালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু প্রাক্তনী এবং পড়ুয়া। তবে এই প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুকে ঘিরে উঠেছে র্যাগিংয়ের মতো অভিযোগ। অনেকেই আশঙ্কাপ্রকাশ করছেন, ব়্যাগিংয়ের জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই পড়ুয়ার ৷ আর সেই ভয় এবার দেখা যাচ্ছে প্রথম বর্ষের বেশ কিছু পড়ুয়া আর তাদের অভিভাবকদের মনেও।
কম্পারেটিভ লিটারেচার নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছে এক ছাত্রী। তার বাড়ি ব্যারাকপুরে। প্রতিদিন সকাল 11টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে তার মায়ের সঙ্গে আসে। আবার ক্লাস শেষে সে বাড়ি ফিরে যায় বিকাল পাঁচটায়। মেয়ে ক্লাসে থাকলেও প্রায় ছয় ঘণ্টা ক্যাম্পাসেই ঠায় বসে থাকেন ছাত্রীর মা ৷ সারাদিনই প্রায় তাঁর কেটে যায় সবুজে ঘেরা ক্যাম্পাসের দিকে তাকিয়ে। তবে যে নির্মম হত্যার ঘটনা সম্প্রতি ঘটেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে তাতে এখনও আতঙ্কিত ভাস্বতী দেবী । শুক্রবার তিনি বলেন, "এই ঘটনা না-ঘটলে হয়তো মেয়েকে একাই ছেড়ে দিতাম। কিন্তু এই ঘটনায় আমার বেশ ভয় লাগছে। তাই রোজ আমি ওকে সঙ্গে করে নিয়ে আসি ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে বসে থাকি আবার ক্লাস শেষ হলে ওকে সঙ্গে নিয়েই ফিরে যাই ।"
আরও পড়ুন: ছাত্রকে হাসপাতালে ভরতির পর পুলিশের হাত থেকে বাঁচার নীল নকশা সাজিয়েছিলেন সৌরভ
তার সন্তান কখনও হস্টেলে থাকেনি। আর সম্প্রতি সেই হস্টেলেই প্রথম বর্ষ ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর আর ওই হস্টেলে রাখতে সাহসও পাচ্ছেন না ভাস্বতীদেবী। এদিন ভাস্বতী ঘোষ বলেন, "হস্টেলে রাখার বিষয়ে এখনও কিছু ভাবিনি ।" সিসিটিভি লাগালেও তাও তো একটা নজরদারি করতে পারবে কর্তৃপক্ষ ৷ সে চিন্তাও কুরে কুরে খাচ্ছে ভাস্বতী দেবীকে। তাই সন্তানকে নামজাদা ঐতিহ্যবাহী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করেও যেন স্বস্তির হাসির দেখা মিলছে না তাঁর মুখে।