কলকাতা, 6 এপ্রিল: সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে এরাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । তারই ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কড়া নির্দেশিকা পাঠানো হল রাজভবনের তরফ থেকে । রাজ্যপালের সচিবালয় থেকে ওএসডি ও যুগ্মসচিব এই নির্দেশ পাঠিয়েছেন ।
রাজভবনের তরফে পাঠানো এই নির্দেশিকায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা হয়েছে ৷ যেমন, আর্থিক লেনদেন-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনও জটিলতা কাটাতে সরাসরি রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের । এই নির্দেশে মূলত তিনটি বিষয় বলা রয়েছে । প্রথম, সাপ্তাহিক কার্যকলাপের রিপোর্ট প্রতি সপ্তাহের শেষ কাজের দিনে ই-মেলের মাধ্যমে জমা দিতে হবে রাজভবনে । আর্থিক লেনদেনের বিষয়েও স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে । বলা হয়েছে, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত যে কোনও সিদ্ধান্ত কার্যকরের আগে আচার্য তথা রাজ্যপালের আগাম অনুমতি নিতে হবে । জমা দিতে হবে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যও ।
এই নির্দেশিকায় আরও উল্লেখ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা রাজ্যপালের এডিসি-র মাধ্যমে যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে টেলিফোন বা ই-মেলের মাধ্যমে আচার্যর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন ৷ রাজ্যপালের তরফে তাঁর সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারি আইএএস দেবাশিস ঘোষ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়গুলি নিয়ে সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবেন ৷
আরও পড়ুন: ফের বাধার মুখে উপাচার্য, অচলাবস্থা অব্যাহত কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে
রাজভবনের তরফে বৃহস্পতিবার এই নির্দেশিকা প্রকাশের পর রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে অনেকে বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের তুলনা টানতে শুরু করেছেন । কারণ, ধনকড় রাজ্যপাল থাকাকালীন উপাচার্যদের নানা বিষয়ে রাজভবনে তলব করা কার্যত রুটিন বিষয় হয়ে গিয়েছিল । বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও সেই পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিচ্ছেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ ৷ তবে অন্য আরেকটি মহল মনে করছে রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করছেন । তিনি সংবিধান মেনেই কাজ করছেন । আচার্য হিসেবে সেই এক্তিয়ার রয়েছে তাঁর ৷