কলকাতা, 11 অগস্ট: সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা সরাসরি মানুষের কাছে পৌঁছছে কি না, তা জানতে চায় নবান্ন (Citizen Relationship Management Unit)। প্রকল্প রাজ্য সরকার চালু করলেও এই প্রকল্পগুলি রূপায়ণের দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের তৃণমূলস্তরে থাকা জনপ্রতিনিধিদের হাতে । এক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকাই কী, তা জানতে চায় রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবন । সে কারণে সরাসরি এই বিষয়গুলি নিয়ে মানুষের দরজায় পৌঁছবে সরকারের প্রতিনিধি । সামগ্রিকভাবে এই বিষয়টি দেখাশোনার জন্য একটা আলাদা ইউনিট তৈরি করছে নবান্ন । এই ইউনিটের নাম, 'সিটিজেন রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট ইউনিট'। এর মাধ্যমেই সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে কোনও অভাব অভিযোগ শুনবে নবান্ন।
নতুন এই ব্যবস্থায় অতীতের মতো চিঠি, ফোন বা ই-মেলের মাধ্যমে সরাসরি অভিযোগ জানানোর সুবিধা তো থাকবেই । একই সঙ্গে সরকারি প্রতিনিধি সরাসরি পৌঁছে যাবে মানুষের দরজায় । এক্ষেত্রে সরকারের চালু সামাজিক প্রকল্প নিয়ে তাদের যদি কোনও অভিযোগ থাকে তা বোঝার চেষ্টা করবেন তারা । একইসঙ্গে এই সরকারি অফিসারেরা এটাও জানার চেষ্টা করবেন, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যে হাজারও সরকারি প্রকল্প রাজ্য সরকার চালু করেছে তা আগেও সাধারণ জনগণের জন্য লাভজনক হচ্ছে কি না ! এক্ষেত্রে জনগণের যদি কোনও অভিযোগ থাকে তা সমাধানের রাস্তাও বদলে দেবেন সরকারি অফিসারেরা।
আরও পড়ুন: নবান্নে বসছে স্মার্ট গেট, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় জোর পুলিশের
প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন । তার আগে সাধারণ মানুষের মন পেতে চাইছে রাজ্য সরকার । সরকারি প্রকল্পের অভাব অভিযোগ শুনতে আগেই গ্রিভান্স সেল তৈরি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । 2019 সাল থেকে এখনও পর্যন্ত এই সেলে প্রায় 11 লক্ষ 40 হাজার অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে । নবান্নের তথ্য বলছে, নবান্নে আসা অভিযোগের সিংহভাগই সমাধান করেছে রাজ্য সরকার । সরকারি পরিসংখ্যান বলছে নবান্নে জমা পড়া অভিযোগের 99.2% নিষ্পত্তি করেছে রাজ্য । প্রশ্ন হল গ্রিভান্স সেল যখন এতটাই সফল তাহলে নতুন করে সিটিজেন রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট ইউনিট গঠনের প্রয়োজনীয়তা পড়ছে কেন !
নবান্নের এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, এতদিন পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে যে কোনও অভাব অভিযোগ জানতে আমাদের কাছে আসতে হত । বরং এবার আমরা সরাসরি মানুষের দরজায় যাব । তিনি আরও জানান, নতুন ব্যবস্থা এলে গ্রিভান্স সেলকে আরও সুপ্রশস্ত করার একটা প্রয়াস । ধরুন কল সেন্টারের মাধ্যমে গ্রিভান্স সেলে কোনও অভিযোগ জমা পড়লে, সেই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে মানুষের দরজায় যাবে সরকারি আধিকারিকেরা । এর মাধ্যমে অভিযোগের সত্যতা যাচাই হয়ে যাবে । জানা গিয়েছে, এই কাজকে সফল করার জন্য 500 ফিল্ড অফিসারও নিয়োগ করবে রাজ্য ।