কলকাতা, 16 জুলাই : রাজ্যের যেকোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক বা যোগাযোগের জন্য আচার্যকে আগে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে ৷ 2019 সালের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিধি 8(5) অনুযায়ী নিয়ম এটাই ৷ আজ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সচিবকে চিঠি দিয়ে একথা জানাল উচ্চশিক্ষা দপ্তর ৷
চিঠিতে শুরুতেই রাজ্য সরকারের বিশেষ সচিব লেখেন, "গতকাল রাজ্যপাল তথা আচার্যের করা টুইটের প্রতি আমি মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাই ৷ টুইটে তিনি একটি ভিডিয়ো কনফারেন্সের উল্লেখ করেছেন ৷ উপাচার্যদের সেই ভিডিয়ো কনফারেন্সে অনুপস্থিত থাকার বিষয়েও লিখেছেন ৷ আমি বলতে চাই, সরকার এই টুইট দেখে অবাক হয়েছে ৷ কারণ, আচার্য ও উপাচার্যদের মধ্যে এমন কোনও ভিডিয়ো কনফারেন্সের বিষয়ে সরকার কিছুই জানত না ৷"
তিনি রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির 2019-এর বিধির উল্লেখ করে চিঠিতে লেখেন, "এই বিষয়ে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিধি 8(5)-র প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে চাই ৷ এই বিধি অনুযায়ী, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে আচার্যের দ্বারা প্রস্তাবিত যেকোনও যোগাযোগ প্রথমে দপ্তরের কাছে পাঠাতে হবে ৷ দপ্তরের তরফে অনুমোদন মিললে তবেই এই যোগাযোগ করা যাবে ৷"
আচার্য ও উপাচার্যদের মধ্যে কোনওরকম বৈঠক হওয়ার আগে এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক ৷ যদি তা না হয় তাহলে তা বিধি লঙ্ঘনের আওতায় পড়বে ৷ এই বিষয়ে চিঠিতে রাজ্যপালের ব্যাখ্যাও চাওয়া হয় ৷
পুরানো কিছু চিঠির উল্লেখও করা হয় আজকের এই চিঠিতে ৷ লেখা হয়, "18 জুন, 2 জুলাই ও 13 জুলাই আমাদের চিঠির প্রতি এবং উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ও উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবের সঙ্গে আচার্যের বৈঠকের দিকে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই ৷ এই চিঠিগুলিতে ও বৈঠকে আমরা আপনাকে অনুরোধ করেছিলাম আমাদের জানানোর জন্য ৷"
গতকালের ভার্চুয়াল কনফারেন্সে পড়ুয়াদের কথা ভেবে উপাচার্যদের যোগ দেওয়া উচিত বলে টুইট করেছিলেন রাজ্যপাল ৷ কিন্তু, তাঁর এই টুইটের পরও অধিকাংশ উপাচার্য ভিডিয়ো কনফারেন্সে উপস্থিত হননি ৷ আর তাতেই ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি ৷ অধিকাংশ উপাচার্যদের অনুপস্থিতিকে রাজ্যপাল "দুর্ভাগ্যজনক" আখ্যা দিয়ে টুইট করেন ৷ তারপরই আজ উচ্চশিক্ষা দপ্তরের তরফে চিঠি পাঠানো হয় ৷