কলকাতা, 10 জানুয়ারি: তোলা না-দেওয়ায় প্রোমোটারকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযুক্ত উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ৷ রক্তাক্ত অবস্থায় চারদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরে বুধবার হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ ওই প্রোমোটারের নাম সাদিক খান ৷ এই ঘটনায় জখম হয়েছেন প্রোমোটারের অপর এক আত্মীয় ৷ তাঁকে ভারী কিছু দিয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ । ঘটনাটি ঘটেছে তিলজলা থানা এলাকায় ৷
এই ঘটনায় মৃত্যুর খবর সামনে আসার পর থেকে উত্তেজনা ছড়াতে থাকে তিলজলায় ৷ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ ৷ মৃতের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, পাঁচ বছর ধরে ওই প্রোমোটারের কাছে তোলা দাবি করছিল এলাকার কয়েকজন দুষ্কৃতী ৷ তারা হুমকিও দিচ্ছিল ৷
জানা গিয়েছে, তাদের তোলার টাকা দেননি ওই প্রোমোটার ৷ এই ঘটনায় একাধিক বার ওই প্রোমোটার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ৷ তবে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ পরিবারের ৷ প্রোমোটারের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, এরপর টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাদের বাড়ি নির্মাণের ব্যবসাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ৷ এরপর গত রবিবার প্রোমোটারের কাছে দুষ্কৃতীদের ফোন আসে ৷ অভিযোগ, তখনও প্রোমোটারকে হুমকি দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় ৷
মৃতের স্ত্রী'র দাবি, এদিন দুষ্কৃতীদের ফোন আসার পরেই তাঁর স্বামী বাড়ি থেকে আচমকাই কাউকে কিছু না-বলে কোথাও একটা বেরিয়ে যান ৷ বাড়ির সদস্যরা ফোন করে জানতে চাইলে উত্তরে ওই প্রোমোটার পরিবারের সদস্যদের জানান, তিনি দুষ্কৃতীদের সঙ্গে কথা বলে বাড়ি ফিরবেন ৷ তাঁর সঙ্গে এক আত্মীয় ছিল বলে জানা গিয়েছে ৷
এই মারধরের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী প্রোমোটারের ভাইপো ৷ তাঁর অভিযোগ, সেখানে পৌঁছতেই দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপর চড়াও হয় ৷ বেধড়ক মারধর করে ৷ তাঁর কাকাকে বাঁচাতে গেলে বন্দুকের বাঁট দিয়ে তাঁর মাথায় একাধিক বার আঘাত করা হয় ৷ এরপরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে রাস্তায় ফেলে পালায় অভিযুক্তরা ৷ বুধবার তিলজলা থানায় ওই প্রোমোটারের পরিবারের সদস্যরা খুনের মামলা রুজু করেছেন ৷ এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, "আমরা তদন্তে নেমে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখছি ।"
আরও পড়ুন: