ETV Bharat / state

আগামীকাল থেকে সম্পূর্ণ সময়ের জন্য খোলা ব্যাঙ্ক

author img

By

Published : Mar 31, 2020, 9:41 PM IST

কোরোনা সংক্রমণের আতঙ্কে সকাল 10 টা থেকে বেলা 2 টো পর্যন্ত ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে বলে জানিয়েছিল অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন । কিন্তু তাতে নিয়ম না মেনেই রোজ রীতিমতো হুড়োহুড়ির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ব্যাঙ্কগুলির সামনে । তাই আগামীকাল থেকে দুপুর 2 টোর পরিবর্তে 4 টে পর্যন্তই ব্যাঙ্ক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিল অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন ।

আগামীকাল থেকে আর 4 ঘণ্টা নয়, পুরো দিনই খোলা থাকবে ব্যাঙ্ক
আগামীকাল থেকে আর 4 ঘণ্টা নয়, পুরো দিনই খোলা থাকবে ব্যাঙ্ক

কলকাতা, 31 মার্চ : অতিরিক্ত চাপ সামলাতে এখন থেকে দুপুর 2 টোর পরিবর্তে বিকেল 4টে পর্যন্ত খোলা থাকবে রাজ্যের সব ব্যাঙ্ক । সকাল 10টা থেকে বিকেল 4টে পর্যন্ত করা যাবে লেনদেন ।

কোরোনা সংক্রমণের আতঙ্কে সকাল 10টা থেকে বেলা 2টো পর্যন্ত ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে বলে জানিয়েছিল অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন । সেই মতোই চলছিল ব্যাঙ্কের কাজ । কিন্তু তাতে নিয়ম না মেনেই রোজ রীতিমতো হুড়োহুড়ির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ব্যাঙ্কগুলির সামনে । তারউপর আগামীকাল থেকে বাড়তি চাপের আশঙ্কা । সব মিলিয়ে তাই আগামীকাল থেকে দুপুর 2 টোর পরিবর্তে 4 টে পর্যন্ত খোলা থাকবে সব ব্যাঙ্কের সমস্ত শাখা ।

লকডাউনের জেরে রাজ্যের শহর এবং গ্রামাঞ্চলের ব্যাঙ্কগুলিতে ভিড় ক্রমশ বাড়ছে । সব সময় মানা যাচ্ছে না সামাজিক দূরত্বের নিয়ম । তারউপর মাসের পয়লায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেনশন এবং সরকারি কর্মচারীদের বেতন দিতে হবে । মাসের শুরুতে বিভিন্ন ভাতার টাকা তোলারও ব্যাপার থাকে । তাই মাত্র 4 ঘণ্টায় সেই চার সামলানো যাবে না এমন ভেবেই এই সিদ্ধান্ত । এর ফলে গ্রাহকর পরিষেবার বিষয়টি অনেকটাই প্রসারিত হবে বলে মনে করছেন ব্যাঙ্ক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা ।

অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দাসের কথায়, আসল সমস্যা হবে বৃহস্পতি এবং শুক্রবার । পেনশন এবং সরকারি কর্মচারীদের বেতন বণ্টনের সময় । আয়কর জমার জন্য রাজ্যের সমস্ত ব্যাঙ্কে ভিড় হবে । সমগ্ৰ রাজ‍্যে এক কোটি 93 লাখ মানুষকে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার টাকা দিতে হবে । এ ছাড়াও অতিরিক্ত দু'লাখ অ্যাকাউন্ট রয়েছে যেখানে নিয়মিত মানুষ টাকা লেনদেন করেন । এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে আগামী দিনে কী ভয়াবহ অবস্থা হতে চলেছে ব্যাঙ্কগুলির । আর টাকা তোলার বা জমুা দেওয়ার ক্ষেত্রে লকডাউন উপেক্ষা করেই মানুষ ব্যাঙ্কে আসবেন । ফলে মাত্র 4 ঘণ্টা ব্যাঙ্ক খোলা থাকলে প্রায় সব জায়গায়ই মানা হবে না সামাজিক দূরত্ব । তাঁর আশঙ্কা, এই ভিড় থেকে কোরোনা ভাইরাস ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের মধ্যে ছড়াতে পারে । তাই এই সিদ্ধান্ত ।

কাজের সময় বাড়লেও রাস্তায় যানবাহন না থাকায় ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের সমস্যার দিকটিও বাদ দিলেন না সঞ্জয় দাস । যানবাহনহীন রাস্তায় বেরিয়ে বাড়িতে পৌঁছাতে রাত দশটা বেজে যাবে । তারপর আবার সকাল 10 টায় আসার জন্য তাড়াতাড়ি বেরতে হবে । এতে এই নিয়ম কতদিন মেনে চলা যাবে তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না ।

এদিকে, ব্যাঙ্কের কর্মীদের মধ্যে কোরোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে কি না হবে কি না তা নিয়েও যথেষ্ট চিন্তিত তাঁরা । প্রতিদিন কয়েক হাজার লোকের সংস্পর্শে আসবেন ব্যাঙ্ক কর্মীরা । কোরোনা মোকাবিলায় সকলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চান কিন্তু চান বিকল্প কোনও চিন্তাভাবনা । তাই আজ পুরো বিষয়টি জানিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন ব্যাঙ্ক অফিসার্স কমিশনের সদস্যরা । রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিবকেও বিষয়টি জানিয়েছে তারা ।

কলকাতা, 31 মার্চ : অতিরিক্ত চাপ সামলাতে এখন থেকে দুপুর 2 টোর পরিবর্তে বিকেল 4টে পর্যন্ত খোলা থাকবে রাজ্যের সব ব্যাঙ্ক । সকাল 10টা থেকে বিকেল 4টে পর্যন্ত করা যাবে লেনদেন ।

কোরোনা সংক্রমণের আতঙ্কে সকাল 10টা থেকে বেলা 2টো পর্যন্ত ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে বলে জানিয়েছিল অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন । সেই মতোই চলছিল ব্যাঙ্কের কাজ । কিন্তু তাতে নিয়ম না মেনেই রোজ রীতিমতো হুড়োহুড়ির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ব্যাঙ্কগুলির সামনে । তারউপর আগামীকাল থেকে বাড়তি চাপের আশঙ্কা । সব মিলিয়ে তাই আগামীকাল থেকে দুপুর 2 টোর পরিবর্তে 4 টে পর্যন্ত খোলা থাকবে সব ব্যাঙ্কের সমস্ত শাখা ।

লকডাউনের জেরে রাজ্যের শহর এবং গ্রামাঞ্চলের ব্যাঙ্কগুলিতে ভিড় ক্রমশ বাড়ছে । সব সময় মানা যাচ্ছে না সামাজিক দূরত্বের নিয়ম । তারউপর মাসের পয়লায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেনশন এবং সরকারি কর্মচারীদের বেতন দিতে হবে । মাসের শুরুতে বিভিন্ন ভাতার টাকা তোলারও ব্যাপার থাকে । তাই মাত্র 4 ঘণ্টায় সেই চার সামলানো যাবে না এমন ভেবেই এই সিদ্ধান্ত । এর ফলে গ্রাহকর পরিষেবার বিষয়টি অনেকটাই প্রসারিত হবে বলে মনে করছেন ব্যাঙ্ক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা ।

অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দাসের কথায়, আসল সমস্যা হবে বৃহস্পতি এবং শুক্রবার । পেনশন এবং সরকারি কর্মচারীদের বেতন বণ্টনের সময় । আয়কর জমার জন্য রাজ্যের সমস্ত ব্যাঙ্কে ভিড় হবে । সমগ্ৰ রাজ‍্যে এক কোটি 93 লাখ মানুষকে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার টাকা দিতে হবে । এ ছাড়াও অতিরিক্ত দু'লাখ অ্যাকাউন্ট রয়েছে যেখানে নিয়মিত মানুষ টাকা লেনদেন করেন । এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে আগামী দিনে কী ভয়াবহ অবস্থা হতে চলেছে ব্যাঙ্কগুলির । আর টাকা তোলার বা জমুা দেওয়ার ক্ষেত্রে লকডাউন উপেক্ষা করেই মানুষ ব্যাঙ্কে আসবেন । ফলে মাত্র 4 ঘণ্টা ব্যাঙ্ক খোলা থাকলে প্রায় সব জায়গায়ই মানা হবে না সামাজিক দূরত্ব । তাঁর আশঙ্কা, এই ভিড় থেকে কোরোনা ভাইরাস ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের মধ্যে ছড়াতে পারে । তাই এই সিদ্ধান্ত ।

কাজের সময় বাড়লেও রাস্তায় যানবাহন না থাকায় ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের সমস্যার দিকটিও বাদ দিলেন না সঞ্জয় দাস । যানবাহনহীন রাস্তায় বেরিয়ে বাড়িতে পৌঁছাতে রাত দশটা বেজে যাবে । তারপর আবার সকাল 10 টায় আসার জন্য তাড়াতাড়ি বেরতে হবে । এতে এই নিয়ম কতদিন মেনে চলা যাবে তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না ।

এদিকে, ব্যাঙ্কের কর্মীদের মধ্যে কোরোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে কি না হবে কি না তা নিয়েও যথেষ্ট চিন্তিত তাঁরা । প্রতিদিন কয়েক হাজার লোকের সংস্পর্শে আসবেন ব্যাঙ্ক কর্মীরা । কোরোনা মোকাবিলায় সকলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চান কিন্তু চান বিকল্প কোনও চিন্তাভাবনা । তাই আজ পুরো বিষয়টি জানিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন ব্যাঙ্ক অফিসার্স কমিশনের সদস্যরা । রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিবকেও বিষয়টি জানিয়েছে তারা ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.