ETV Bharat / state

বাড়ছে কোরোনার সংক্রমণ, আরও 6টি মৃতদেহ রাখার ব্যবস্থা কলকাতা মেডিকেলে

কোনও COVID-19 রোগীর মৃত্যু হলে, মৃতদেহ পরিজনদের দেওয়া হয় না ‌। এক্ষেত্রে সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য প্রশাসনের তরফে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হচ্ছে । বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে COVID-19 সন্দেহের রোগীর মৃত্যু হচ্ছে । সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসছে মৃত্যুর পরে । তাই রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃতদেহ রেখে দেওয়া হয় । কোরোনায় মৃত্যু সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করে তাই ছ'টি অতিরিক্ত ফ্রিজ়ারের ব্যবস্থা করলেন মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : May 19, 2020, 10:17 AM IST

কলকাতা, 19 মে : বর্তমানে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে ছ'টি দেহ রাখার ব‍্যবস্থা রয়েছে । এদিকে, COVID-19-এর সংক্রমণ এখন বাড়ছে । যে কারণে, রোগীর সংখ্যা যেমন বাড়তে থাকবে, তেমন-ই মৃত্যুও এড়ানো যাবে না অনেক ক্ষেত্রে । এই অবস্থার জেরে আরও ছ'টি দেহ যাতে রাখা যায়, তার ব্যবস্থা করলেন কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । সূত্রের খবর, COVID-19 এবং, SARI (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন)-র রোগী মিলিয়ে এই হাসপাতালে এখন প্রতিদিনই অন্তত দুই থেকে তিনজনের মৃত্যু হচ্ছে । পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে এর পরে প্রতিদিন অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হতে পারে বলে মনে করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

COVID-19-এর জন্য কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে টারশিয়ারি(সর্বোচ্চ স্তরের) হাসপাতাল হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে । যার জেরে অন্য বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে COVID-19-এর রোগীদের যেমন স্থানান্তর করা হচ্ছে, তেমনই COVID-19 সন্দেহের রোগীদেরও ভরতি করা হচ্ছে । যেসব রোগী সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশনে আক্রান্ত, তাঁদের চিকিৎসার জন্য পৃথক ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে এখানে ।

কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, কোরোনা এবং SARI-র রোগী মিলিয়ে এখানে প্রতিদিন অন্তত দুই থেকে তিনজনের মৃত্যু হচ্ছে । এদিকে যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে অর্থাৎ পিকে উঠছে গ্রাফ, তাতে কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে । তাই মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে এর পরে দিনে অন্তত চার থেকে পাঁচজন রোগীর মৃত্যু এড়ানো সম্ভব নাও হতে পারে । বর্তমানে COVID-19 এবং SARI-র রোগী মিলিয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রায় 300 জনের চিকিৎসা চলছে ।

বয়স্ক রোগী এবং যাঁদের ক্ষেত্রে কোমরবিডিটি (অন্যান্য শারীরিক সমস্যা বা অন্য কোনও রোগ) রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে COVID-19-এ মৃত্যুর আশঙ্কা থেকেই যায় । SARI-তেও এমন অনেক রোগী রয়েছেন, বয়সজনিত এবং কোমরবিডিটির কারণে তাঁদের ক্ষেত্রেও মৃত্যুর আশঙ্কা থেকে যায় । এদিকে, টারশিয়ারি হাসপাতাল হওয়ায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে COVID-19 রোগীদের পাঠানো হচ্ছে । অনেক ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেটরের সাপোর্টে থাকা রোগীদেরও এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে । COVID-19 এবং SARI-র ক্ষেত্রে কোনও রোগীকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে নিয়ে যাওয়া হলে, তা অত্যন্ত ঝুঁকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে । বিভিন্ন ক্ষেত্রে মৃত্যু এড়ানো যাচ্ছে না । এই ধরনের পরিস্থিতিতে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ছ'টি ডিপ ফ্রিজ়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে । অর্থাৎ আরও ছ'টি দেহ রাখার ব্যবস্থা করা হল এখানে । ফলে, এই হাসপাতালে এখন 12 টি মৃতদেহ রাখার ব্যবস্থা হল ।

কোনও COVID-19 রোগীর মৃত্যু হলে, মৃতদেহ পরিজনদের দেওয়া হয় না ‌। এক্ষেত্রে সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য প্রশাসনের তরফে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হচ্ছে । এদিকে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে COVID-19 সন্দেহের রোগীর মৃত্যু হচ্ছে অথচ তাঁর সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসছে মৃত্যুর পরে । অনেক ক্ষেত্রে রিপোর্ট আসতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে । এক্ষেত্রে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃতদেহ রেখে দেওয়া হয় । কারণ, রিপোর্টে যদি COVID-19 পজ়িটিভ আসে, তা হলে ওই মৃতদেহর শেষকৃত্য সম্পন্ন করবে প্রশাসন । এসবের কারণে কোনও কোনও মৃতদেহকে দীর্ঘ সময় ধরে মর্গে রাখতে হয় । সূত্রের খবর, দিন দুই আগে 48 ঘণ্টায় বেশ কয়েকজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে এই হাসপাতালে । তবে, মৃত এই রোগীরা সকলে COVID-19-এ আক্রান্ত ছিলেন না বলে জানা গেছে । একদিকে COVID-19-এর টারশিয়ারি হাসপাতাল, অন্যদিকে কোরোনা সংক্রমণ বাড়ার সময় । ফলে পরিস্থিতির যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে আগামী দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে । যার জেরে, এই হাসপাতালে এখন 12 টি মৃতদেহ রাখার ব্যবস্থা করা হল । দ্রুত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মর্গে যাতে খুব বেশি সময় ধরে কোনও মৃতদেহকে রাখতে না হয়, সেই সব বিষয় দেখভালের জন্য এই হাসপাতালের এক আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ।

কলকাতা, 19 মে : বর্তমানে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে ছ'টি দেহ রাখার ব‍্যবস্থা রয়েছে । এদিকে, COVID-19-এর সংক্রমণ এখন বাড়ছে । যে কারণে, রোগীর সংখ্যা যেমন বাড়তে থাকবে, তেমন-ই মৃত্যুও এড়ানো যাবে না অনেক ক্ষেত্রে । এই অবস্থার জেরে আরও ছ'টি দেহ যাতে রাখা যায়, তার ব্যবস্থা করলেন কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । সূত্রের খবর, COVID-19 এবং, SARI (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন)-র রোগী মিলিয়ে এই হাসপাতালে এখন প্রতিদিনই অন্তত দুই থেকে তিনজনের মৃত্যু হচ্ছে । পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে এর পরে প্রতিদিন অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হতে পারে বলে মনে করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

COVID-19-এর জন্য কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে টারশিয়ারি(সর্বোচ্চ স্তরের) হাসপাতাল হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে । যার জেরে অন্য বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে COVID-19-এর রোগীদের যেমন স্থানান্তর করা হচ্ছে, তেমনই COVID-19 সন্দেহের রোগীদেরও ভরতি করা হচ্ছে । যেসব রোগী সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশনে আক্রান্ত, তাঁদের চিকিৎসার জন্য পৃথক ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে এখানে ।

কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, কোরোনা এবং SARI-র রোগী মিলিয়ে এখানে প্রতিদিন অন্তত দুই থেকে তিনজনের মৃত্যু হচ্ছে । এদিকে যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে অর্থাৎ পিকে উঠছে গ্রাফ, তাতে কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে । তাই মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে এর পরে দিনে অন্তত চার থেকে পাঁচজন রোগীর মৃত্যু এড়ানো সম্ভব নাও হতে পারে । বর্তমানে COVID-19 এবং SARI-র রোগী মিলিয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রায় 300 জনের চিকিৎসা চলছে ।

বয়স্ক রোগী এবং যাঁদের ক্ষেত্রে কোমরবিডিটি (অন্যান্য শারীরিক সমস্যা বা অন্য কোনও রোগ) রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে COVID-19-এ মৃত্যুর আশঙ্কা থেকেই যায় । SARI-তেও এমন অনেক রোগী রয়েছেন, বয়সজনিত এবং কোমরবিডিটির কারণে তাঁদের ক্ষেত্রেও মৃত্যুর আশঙ্কা থেকে যায় । এদিকে, টারশিয়ারি হাসপাতাল হওয়ায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে COVID-19 রোগীদের পাঠানো হচ্ছে । অনেক ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেটরের সাপোর্টে থাকা রোগীদেরও এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে । COVID-19 এবং SARI-র ক্ষেত্রে কোনও রোগীকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে নিয়ে যাওয়া হলে, তা অত্যন্ত ঝুঁকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে । বিভিন্ন ক্ষেত্রে মৃত্যু এড়ানো যাচ্ছে না । এই ধরনের পরিস্থিতিতে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ছ'টি ডিপ ফ্রিজ়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে । অর্থাৎ আরও ছ'টি দেহ রাখার ব্যবস্থা করা হল এখানে । ফলে, এই হাসপাতালে এখন 12 টি মৃতদেহ রাখার ব্যবস্থা হল ।

কোনও COVID-19 রোগীর মৃত্যু হলে, মৃতদেহ পরিজনদের দেওয়া হয় না ‌। এক্ষেত্রে সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য প্রশাসনের তরফে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হচ্ছে । এদিকে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে COVID-19 সন্দেহের রোগীর মৃত্যু হচ্ছে অথচ তাঁর সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসছে মৃত্যুর পরে । অনেক ক্ষেত্রে রিপোর্ট আসতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে । এক্ষেত্রে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃতদেহ রেখে দেওয়া হয় । কারণ, রিপোর্টে যদি COVID-19 পজ়িটিভ আসে, তা হলে ওই মৃতদেহর শেষকৃত্য সম্পন্ন করবে প্রশাসন । এসবের কারণে কোনও কোনও মৃতদেহকে দীর্ঘ সময় ধরে মর্গে রাখতে হয় । সূত্রের খবর, দিন দুই আগে 48 ঘণ্টায় বেশ কয়েকজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে এই হাসপাতালে । তবে, মৃত এই রোগীরা সকলে COVID-19-এ আক্রান্ত ছিলেন না বলে জানা গেছে । একদিকে COVID-19-এর টারশিয়ারি হাসপাতাল, অন্যদিকে কোরোনা সংক্রমণ বাড়ার সময় । ফলে পরিস্থিতির যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে আগামী দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে । যার জেরে, এই হাসপাতালে এখন 12 টি মৃতদেহ রাখার ব্যবস্থা করা হল । দ্রুত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মর্গে যাতে খুব বেশি সময় ধরে কোনও মৃতদেহকে রাখতে না হয়, সেই সব বিষয় দেখভালের জন্য এই হাসপাতালের এক আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.