ETV Bharat / state

Lalbazar Gets FBI Help: মার্কিন মুলুকে প্রতারণা, এফবিআই’য়ের সাহায্যে 3 প্রতারককে গ্রেফতার লালবাজারের

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতারণার পর কলকাতায় আত্মগোপন করেছিল 3 প্রতারক ৷ কিন্তু, কলকাতার সাইবার সেলের হাতে গ্রেফতার হয়েছে ওই 3 প্রতারক ৷ এফবিআই-এর সাহায্যে প্রতারকদের গ্রেফতার করল লালবাজার ল (Lalbazar Gets FBI Help) ৷

Kolkata Cyber Crime Department ETV BHARAT
Kolkata Cyber Crime Department
author img

By

Published : Feb 4, 2023, 7:53 PM IST

কলকাতা, 4 ফেব্রুয়ারি: আমেরিকায় প্রতারণা করে কলকাতায় আত্মগোপন ৷ কিন্তু, শেষরক্ষা হল না ৷ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন বা এফবিআই'য়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তি লালবাজারের সাইবার শাখার গোয়েন্দারা অভিযুক্ত 3 প্রতারককে গ্রেফতার করেছে (Fraud Committed in America and Hiding in Kolkata) ৷ জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের প্রতারণার জালে ফাঁসিয়ে কোটি কোটি টাকা লুঠ করেছিল তাঁরা ৷ এফবিআই'য়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেই মামলায় মূল অভিযুক্ত-সহ 3 জনকে গ্রেফতার করেছে লালবাজার ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, এই তিনজনের মধ্যে 2 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আগেই ৷ কিন্তু, তৃতীয় তথা মূল অভিযুক্তকে কিছুতেই বাগে আনতে পারছিলেন না গোয়েন্দারা ৷ রাজস্থানের আজমেঢ়ে 10 দিনের বেশি পালিয়ে বেড়ায় ওই প্রতারক ৷ তবে, সম্প্রতি একটি হোটেলের বাইরে থেকে সঙ্গিনী-সহ ধরা পড়ে মূল অভিযুক্ত ৷ এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের ডিসি সাইবার অতুল ভি, জানিয়েছেন ধৃতদের নাম সাইজান আলি হায়দর, মহম্মদ আতিফ, সাবতিন আলি হায়দর ৷

ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৷ যেমন, পেনড্রাইভ, মোবাইল ফোন সিম কার্ড-সহ একাধিক পাসপোর্ট ৷ তবে, এই ঘটনায় যুক্ত থাকার সন্দেহে মহম্মদ আতিফ এবং সাইজান আলি হায়দরকে প্রথমেই গ্রেফতার করা হয় ৷ কিন্তু, খোঁজ মিল ছিল না এই প্রতারণা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সাবতিন আলি হায়দরের ৷

লালবাজার সূত্রে খবর, মূলত আমেরিকা নিবাসী বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের বিভিন্ন কৌশলে নিজেদের জালে জড়াত এরা ৷ এরপর কোটি কোটি টাকার প্রতারণা করত এই অভিযুক্তরা ৷ যেহেতু ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঘটে, ফলে তদন্তভার চলে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগ ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের হাতে ৷ কিন্তু, অভিযুক্তদের ব্যবহার করা একাধিক মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে এফবিআই গোয়েন্দারা জানতে পারেন, অভিযুক্তরা ভারতের কলকাতায় গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে ৷

এরপরেই মার্কিন দূতাবাসের সাহায্য কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে এফবিআই ৷ কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে পুলিশ সাইজান আলি হায়দর, মহম্মদ আতিফকে গ্রেফতার করে ৷ কিন্তু, খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তৃতীয় ব্যক্তি তথা মূল অভিযুক্ত সাবতিন আলি হায়দরের ৷ এরপরেই কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েলের নির্দেশে তদন্তভার নেয় সাইবার ক্রাইম বিভাগ ৷ তদন্তে নেমে সরাসরি এফবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় ভার্চুয়াল বৈঠক করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা ৷ এই কেস সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদান প্রদান করেন তাঁরা ৷

আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে ব্লুটুথ ব্যবহারে বাড়ছে বিপদ ! ব্লুবাগিংয়ের জালে তথ্যচুরি হ্যাকারদের

এরপরেই একাধিক ফোন নম্বর ট্র্যাক করে তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পারেন কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছেন সাবতিন ৷ তবে, লোকেশন পাওয়া মাত্রই সেই সব হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় হানা দেয় পুলিশ ৷ কিন্তু, কোথাও তাঁর খোঁজ পাননি গোয়েন্দারা ৷ এরপর জানা যায়, অভিযুক্ত দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় সময়ে সময়ে আত্মগোপন করে থাকছেন ৷ দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের গোয়েন্দারা ৷ দিল্লির একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয় ৷ কিন্তু, পুলিশের আসার আগাম খবর পেয়ে জায়গা বদল করতে থাকে অভিযুক্ত ৷

আরও পড়ুন: ভুয়ো কল সেন্টার থেকে বিদেশিদের প্রতারণা! গ্রেফতার 13

লালবাজার সূত্রে খবর এরপর টানা তিনদিন সাবতিনের ফোন বন্ধ থাকে ৷ কিন্তু, চতুর্থদিনে ফোন খুলতেই তাঁর লোকেশন জানতে পারেন গোয়েন্দারা ৷ জানা যায়, রাজস্থানের আজমেঢ় এলাকায় আত্মগোপন করে রয়েছেন অভিযুক্ত ৷ সেইমতো রাজস্থান পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে লালবাজারের সাইবার সেল ৷ এরপরেই রাজস্থান পুলিশের সঙ্গে আজমেঢ়ের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিশ ৷ তবে, সেখানেও আসে ব্যর্থতা ৷ অথচ ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে তখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছিল অভিযুক্ত আজমেঢ়েই লুকিয়ে রয়েছে ৷

ফলে আজমেঢ়েই প্রায় 10 দিন হত্যে দিয়ে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷ 10 দিন পর আজমেঢ়ের একটি রেঁস্তোরা থেকে মূল অভিযুক্ত সাবতিন আলি হায়দরকে জানুয়ারি মাসের শেষে গ্রেফতার করে লালবাজার ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতকে আজমেঢ় থেকে কলকাতায় ট্রানজিট রিমান্ডে আনা হয়েছে ৷ এরপরে অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করা হলে 18 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷

কলকাতা, 4 ফেব্রুয়ারি: আমেরিকায় প্রতারণা করে কলকাতায় আত্মগোপন ৷ কিন্তু, শেষরক্ষা হল না ৷ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন বা এফবিআই'য়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তি লালবাজারের সাইবার শাখার গোয়েন্দারা অভিযুক্ত 3 প্রতারককে গ্রেফতার করেছে (Fraud Committed in America and Hiding in Kolkata) ৷ জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের প্রতারণার জালে ফাঁসিয়ে কোটি কোটি টাকা লুঠ করেছিল তাঁরা ৷ এফবিআই'য়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেই মামলায় মূল অভিযুক্ত-সহ 3 জনকে গ্রেফতার করেছে লালবাজার ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, এই তিনজনের মধ্যে 2 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আগেই ৷ কিন্তু, তৃতীয় তথা মূল অভিযুক্তকে কিছুতেই বাগে আনতে পারছিলেন না গোয়েন্দারা ৷ রাজস্থানের আজমেঢ়ে 10 দিনের বেশি পালিয়ে বেড়ায় ওই প্রতারক ৷ তবে, সম্প্রতি একটি হোটেলের বাইরে থেকে সঙ্গিনী-সহ ধরা পড়ে মূল অভিযুক্ত ৷ এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের ডিসি সাইবার অতুল ভি, জানিয়েছেন ধৃতদের নাম সাইজান আলি হায়দর, মহম্মদ আতিফ, সাবতিন আলি হায়দর ৷

ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৷ যেমন, পেনড্রাইভ, মোবাইল ফোন সিম কার্ড-সহ একাধিক পাসপোর্ট ৷ তবে, এই ঘটনায় যুক্ত থাকার সন্দেহে মহম্মদ আতিফ এবং সাইজান আলি হায়দরকে প্রথমেই গ্রেফতার করা হয় ৷ কিন্তু, খোঁজ মিল ছিল না এই প্রতারণা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সাবতিন আলি হায়দরের ৷

লালবাজার সূত্রে খবর, মূলত আমেরিকা নিবাসী বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের বিভিন্ন কৌশলে নিজেদের জালে জড়াত এরা ৷ এরপর কোটি কোটি টাকার প্রতারণা করত এই অভিযুক্তরা ৷ যেহেতু ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঘটে, ফলে তদন্তভার চলে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগ ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের হাতে ৷ কিন্তু, অভিযুক্তদের ব্যবহার করা একাধিক মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে এফবিআই গোয়েন্দারা জানতে পারেন, অভিযুক্তরা ভারতের কলকাতায় গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে ৷

এরপরেই মার্কিন দূতাবাসের সাহায্য কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে এফবিআই ৷ কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে পুলিশ সাইজান আলি হায়দর, মহম্মদ আতিফকে গ্রেফতার করে ৷ কিন্তু, খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তৃতীয় ব্যক্তি তথা মূল অভিযুক্ত সাবতিন আলি হায়দরের ৷ এরপরেই কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েলের নির্দেশে তদন্তভার নেয় সাইবার ক্রাইম বিভাগ ৷ তদন্তে নেমে সরাসরি এফবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় ভার্চুয়াল বৈঠক করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা ৷ এই কেস সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদান প্রদান করেন তাঁরা ৷

আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে ব্লুটুথ ব্যবহারে বাড়ছে বিপদ ! ব্লুবাগিংয়ের জালে তথ্যচুরি হ্যাকারদের

এরপরেই একাধিক ফোন নম্বর ট্র্যাক করে তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পারেন কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছেন সাবতিন ৷ তবে, লোকেশন পাওয়া মাত্রই সেই সব হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় হানা দেয় পুলিশ ৷ কিন্তু, কোথাও তাঁর খোঁজ পাননি গোয়েন্দারা ৷ এরপর জানা যায়, অভিযুক্ত দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় সময়ে সময়ে আত্মগোপন করে থাকছেন ৷ দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের গোয়েন্দারা ৷ দিল্লির একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয় ৷ কিন্তু, পুলিশের আসার আগাম খবর পেয়ে জায়গা বদল করতে থাকে অভিযুক্ত ৷

আরও পড়ুন: ভুয়ো কল সেন্টার থেকে বিদেশিদের প্রতারণা! গ্রেফতার 13

লালবাজার সূত্রে খবর এরপর টানা তিনদিন সাবতিনের ফোন বন্ধ থাকে ৷ কিন্তু, চতুর্থদিনে ফোন খুলতেই তাঁর লোকেশন জানতে পারেন গোয়েন্দারা ৷ জানা যায়, রাজস্থানের আজমেঢ় এলাকায় আত্মগোপন করে রয়েছেন অভিযুক্ত ৷ সেইমতো রাজস্থান পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে লালবাজারের সাইবার সেল ৷ এরপরেই রাজস্থান পুলিশের সঙ্গে আজমেঢ়ের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিশ ৷ তবে, সেখানেও আসে ব্যর্থতা ৷ অথচ ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে তখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছিল অভিযুক্ত আজমেঢ়েই লুকিয়ে রয়েছে ৷

ফলে আজমেঢ়েই প্রায় 10 দিন হত্যে দিয়ে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷ 10 দিন পর আজমেঢ়ের একটি রেঁস্তোরা থেকে মূল অভিযুক্ত সাবতিন আলি হায়দরকে জানুয়ারি মাসের শেষে গ্রেফতার করে লালবাজার ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতকে আজমেঢ় থেকে কলকাতায় ট্রানজিট রিমান্ডে আনা হয়েছে ৷ এরপরে অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করা হলে 18 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.