কলকাতা, 17 ডিসেম্বর: রাতের শহরে তরুণীকে পুলিশের দ্বারা নিগ্রহের ঘটনায় (Women Safety In Kolkata) কোথায় পুলিশের খামতি ছিল সেই সকল বিষয় নিয়ে ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হলেন কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন ডেপুটি কমিশনার সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায় যদি কোনও পুলিশকর্মী মনে করেন যে তিনি সততার সঙ্গে নিজের কর্তব্যে অবিচল থাকবেন তাহলে তার উর্দিতে কেউ দাগ লাগাতে পারবে না। রাতের শহরে যখন বিপদগ্রস্ত ওই মহিলা 2 পুলিশকর্মীর সাহায্য চাইলেন সেই সময়ে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার এবং বিধাননগর ট্রাফিক বিভাগের ওই এএসআইয়ের উচিত ছিল ওই মহিলাকে নিজেদের বাইকে না বসিয়ে কোনও স্থানীয় পুলিশের আউটপোস্ট তাঁকে হস্তান্তর করা। তাছাড়াও ওই দুই পুলিশকর্মী 100-তে ফোন করে সাহায্য চাইতে পারতেন।
এই এএসআই এবং সিভিক ভলান্টিয়ার তারা নিজেরাই একটি ক্যাব বুক করে ওই মহিলাকে নিজের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারতেন। এছাড়াও কলকাতা এবং বিধাননগর পুলিশের প্রিপেড ট্যাক্সি অ্যাসিস্ট্যান্ট বুথ রয়েছে সেখান থেকেও ওই তরুণীকে ট্যাক্সিতে তুলে দিয়ে ট্যাক্সি ড্রাইভারকে নির্দেশ দিতে পারতেন যে ওই মহিলাকে যেন তাঁর গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়। তাছাড়াও পুলিশ নিজের ফোন থেকে ওই মহিলার বাড়ির সদস্যদের ফোন করে কাউকে সেই জায়গায় আসতে বলতে পারতেন।
আরও পড়ুন: মহিলা নিরাপত্তায় লালবাজারের 'হটলাইন কিয়স্ক'
তিনি আরও জানান, যদি এই জিনিস ওই সিভিক ভলান্টিয়ার এবং এএসআই নাও করতে পারতেন তাহলে তারা ওই মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় থানায় যেতে পারতেন এবং সেখানে অন্য মহিলা পুলিশকর্মীদের সাহায্য নিয়ে ওই মহিলার বাড়িতে যাবার সুবন্দোবস্ত করে দিতে পারতেন। পুলিশ মহলের অভিযোগ এক্ষেত্রে ওই দুই অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার এবং এএসআইয়ের কোনও অসৎ উদ্দেশ্য ছিল তার ফলেই তারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। যদিও গোটা ঘটনাটি এখন তদন্ত সাপেক্ষ ব্যাপার।