কলকাতা, 15 জানুয়ারি: গত একান্ন বছরে উষ্ণতম মকর সংক্রান্তি কাটল এই বছরটা। তবে সন্ধ্যায় খানিক শীতের আমেজ। আর এমন পরিবেশেই শিয়ালদার লেবুতলা পার্ক জমজমাট খাদ্যমেলায়। পুলি, পিঠে থেকে বাঁশে করা বিরিয়ানি বা শুয়োরের মাংসের একাধিক রেসিপি হাজির এক ছাদের তলায়। আয়োজনে মধ্য কলকাতা ক্লাব সমন্বয় সমিতি। যার অন্যতম কর্তা এলাকার স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ (BJP Councillor Sajal Ghosh) ।
এ বছর এই খাদ্যমেলা সপ্তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। শুরু হয়েছিল 12 জানুয়ারি। আর আজ, রবিবার শেষ দিনের সন্ধ্যা নামতেই খাদ্য রসিকদের ভিড় উপচে পড়ল লেবুতলা পার্কের এই খাদ্য মেলায়। তৈরি হচ্ছে গরম গরম ভাজা পিঠে, পাটিসাপটা, সিদ্ধ পিঠে, ভাজা পিঠে, দুধ পিঠে। গরম গরম প্লেটে তুলে দিচ্ছেন বিক্রেতারা। আর সেই সুস্বাদু পিঠের স্বাদ গ্রহণ করছেন খাদ্য রসিকরা। এর থেকে একটু এগোলেই রয়েছে মুরগির মাংসের একাধিক কাবাব। রেশমি কাবাব, হারিয়ালি কাবাব, টিক্কা কাবাব, মশলা কাবাব। কোনও স্টলে আবার মাছের একাধিক পদ। মিলছে কম্ব প্যাকও। বেশ কিছু স্টলে ভিড় উপচে পড়ছে ৷
এই ভিড়ের কারণ হচ্ছে মিষ্টির স্টল। যতই হোক খাদ্য রসিক বাঙালি, আর মিষ্টি খাবে না, এমনটা হয় নাকি। তাই বিউলির ডালের রসবরা থেকে, নলেন গুড়ের রসগোল্লা, বেকড রসগোল্লাতে ঠাসা রয়েছে দোকানের ভিতরের অংশ ৷ রয়েছে মরশুমের খেজুর গুড়। বিভিন্ন রকমের বাহারি নকশার নানা স্বাদে বিদেশি চকলেট। চোখের সামনেই সরাসরি বাঁশের ফালিতে মুখ বেঁধে তৈরি করে দিচ্ছে বিরিয়ানি। সেই লোভই বা কেউ ছাড়তে পারেন। তাই অর্ডার সাপ্লাই করতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে বিক্রেতাদের। অন্যদিকে আবার তাকালেই দেখা মিলছে কবিরাজি, বাটার ফ্রাই, ফিশ চপের।
আরও পড়ুন: শুরু হল চার শতাধিক বছরের প্রাচীন জয়দেবের মেলা, কেন্দুলিতে মানুষের ঢল
একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রয়েছে শুয়োরের মাংসের বিরিয়ানি থেকে শুরু করে নানা পদ। সেই লোভনীয় পদ চেখে দেখতে ছাড়ছেন না মেলায় আসা চেটেপুটে খাওয়া খাদ্য প্রেমিকরা। মেলার এদিন শেষ সন্ধ্যায় লোভনীয় খাবার চেখে দেখতে হাজির হয়েছিল আট থেকে আশি আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা। খাওয়ার মেলার এই পরিবেশকে আরও প্রাণোজ্জ্বল করে তুলেছিল বাউল গান, বাংলা ব্যান্ড ও ক্যুইজ। ক্যুইজের সঠিক উত্তর দিলেই হাতে মিলেছে পুরস্কারও। সব মিলিয়ে শেষদিনে জমজমাট হয়ে উঠল লেবুতলা পার্কের এই মেলা প্রাঙ্গণ।