কলকাতা, 15 অগস্ট: স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী যে ধরনের ভাষণ দিয়েছেন বা কথা বলেছেন তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ৷ এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম । মঙ্গলবার 77তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কলকাতা পৌরনিগমে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানের শেষে সংবাদমাধ্যমের কাছে একথা বলেন তিনি ।
তাঁর কথায়, "নরেন্দ্র মোদির সময় প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারের অবমাননা হয়েছে, ডিগ্রেডেশন হয়েছে । রাজনৈতিক দলের নেতা হিসাবে যে কথা বলা যায় । প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসে সে কথা কখনওই বলা যায় না ।"
কলকাতা পৌরনিগমে স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলনের শেষে ফিরহাদ হাকিম বলেন, "কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে যে জোট ইন্ডিয়া তৈরি হয়েছে তাকেই আসলে ভয় পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি । সেই কারণেই লালকেল্লার ভাষণে পরিবারতন্ত্র থেকে শুরু করে অপ্রয়োজনীয় কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী । আসলে উনি এবং ওনার দল বুঝতে পারছে 2024-এর নির্বাচনে ওরা আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না । ইন্ডিয়া জোটই ক্ষমতায় আসবে । ঘৃণা বা বিভাজনের রাজনীতি ভারতবর্ষের কৃষ্টি সংস্কৃতির সঙ্গে মেলে না । এদেশের মানুষ নারীর লাঞ্ছনা সহ্য করে না ।"
এছাড়াও এদিন মণিপুর প্রসঙ্গ টেনে তিনি জানান, মণিপুরে যা ঘটছে তা বর্বরতা । এই হিংসা ও বিদ্বেষের রাজনীতি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত । এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্র সরকারের আরও উদ্যোগ নেওয়া উচিত ।
পাশাপশি এবার স্বাধীনতা দিবসের আগে বন্দিমুক্তির ফাইল পাঠানো হয়েছিল রাজভবনে। সেই ফাইল সই না করে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিলেন । সেই বিষয় রাজ্যপালকে তীব্রভাবে আক্রমণ শানিয়েছেন ফিরহাদ । রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে এদিন ফিরহাদ বলেন, "আমরা রাজ্যপালের চেয়ারকে সম্মান করি । উনি মনোনীত । যারা ওনাকে পাঠিয়েছেন তাদের ব্যক্তিগত এজেন্টের ডাকে উনি ইমপ্লিমেন্ট করতে চাইছেন । মোদি-অমিত শাহদের খুশি করতে চাইছেন । এটা কখনওই কাম্য নয় ।"
আরও পড়ুন : স্বাধীনতা আন্দোলনে কতজন বাঙালি জেল খেটেছিলেন, কতজনের হয়েছিল ফাঁসি, জানেন কি ?