কলকাতা, 9 সেপ্টেম্বর: "বন্ধু এবার খেলা হবে ৷" এই স্লোগানে বিধানসভায় বাজিমাত করেছে ঘাস ফুল শিবির । তবে কলকাতার রাস্তা ও আলোর বেহাল অবস্থা গলার কাঁটা মেয়র ববি হাকিমের (Firhad Hakim) । পুজোর মুখে প্রস্তুতি বৈঠকে আধিকারিকদের এদিন তিনি ধমক দিয়ে বলেন, "কলকাতা পুলিশ আমাদের তালিকা দিয়েছে । তারপরেও রাস্তার কাজ হয়নি কেন? এটা কোনও খেলার জায়গা নয় । করছি করব, হচ্ছে হবে - এটা আমি শুনতে চাই না । কাজ করে দেখাতে হবে ।"
এদিন পুজো উপলক্ষে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক হয় কলকাতা পৌরনিগমের কেন্দ্রীয় ভবনে । ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও ছিলেন পৌর কমিশনার বিনোদ কুমার এবং সমস্ত বিভাগের আধিকারিকরা । ছিলেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিনহা সরকারও (Subhankar Sinha Sarkar) । দমকল থেকে শুরু করে কেএমডিএ (Kolkata Metropolitan Development Authority)-র আধিকারিকরাও ছিলেন বৈঠকে ।
আরও পড়ুন: ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু, এবার বলি এক ছ'মাসের শিশু
বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মেয়র । সেখানে তিনি জানান, আজ কলকাতা পৌরনিগমের উদ্যোগে সমস্ত বিভাগকে নিয়ে বৈঠক ছিল । কোথায় কোথায় রাস্তা খারাপ সেই তালিকা আমরা পুলিশের থেকে পেয়েছি । তাতে প্রায় 150টা রাস্তার নাম আছে । সেগুলোর পরিস্থিতি কী তা খতিয়ে দেখা হয়েছে । পুজোর আগে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে রাখতে হয়। শুধু পৌরনিগমের নয়, পোর্ট ট্রাস্টের (Kolkata Port Trust) কিছু প্রায় 6টি রাস্তা খারাপ আছে । অথচ তারাই এবার পেভার ব্লক (Paver Blocks) দিয়ে রাস্তা করার কথা বলেছে । খিদিরপুরে সমস্ত এলাকায় ড্রেনেজ নেই । কিন্তু শুধু রাস্তা তৈরি করলেই তো হয় না ড্রেনেজের ব্যবস্থাও করতে হবে । আর সেই দায়িত্ব পোর্ট ট্রাস্টকেই নিতে হবে। তাই ওদের ড্রেনেজ ব্যবস্থার উপরে নজর রাখার জন্য বলা হয়েছে । কলকাতাবাসীকে আমরা আশ্বস্ত করতে পারি যে, পুজোর সময় বৃষ্টি হলে দু'ঘণ্টার বেশি জল জমবে না । যদি জোয়ার থাকে তাহলে জল নামতে অবশ্য কিছুটা বেশি সময় লাগবে ।"
খাল সংস্কার প্রসঙ্গ মেয়র জানান, কিছু কিছু জায়গায় সেচ দফতর বর্ষায় কাজ করেছে । আমি তাদেরকে একবছর আগেই বলেছিলাম কাজ করে ফেলতে । তাই সেচ দফতরকে বলেছি যে বর্ষার সময় না করে শীতকালে কাজ করবেন । তারা 50 শতাংশ কাজ করেছে আর 50 শতাংশ কাজ নভেম্বরে শেষ করে দেবে ।