কলকাতা, 30 সেপ্টেম্বর: ফের শহরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। এবার ঘটনাস্থল ইলিয়ট রোডের একটি গুদাম ঘরে। দমকলের ইঞ্জিন এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ৷ শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ইলিয়ট রোডের চকোলেট এবং চিপসের একটি গুদাম ঘরে আগুন লাগে ৷ হতাহতের কোনও খবর না থাকলেও, ইলিয়ট রোডের মতো জনবহুল এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে দমকলের 15টি ইঞ্জিন ৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ আচমকায় ওই গুদাম ঘর থেকে কালো ধোঁয়া দেখতে পাওয়া যায় ৷ দূর থেকেই দেখা যায় আগুনের লেলিহান শিখা গোটা গুদামঘরকে গ্রাস করেছে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে ৷ অন্যদিকে, আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান স্থানীয়রাও ৷ গুদামে আচমকাই আগুন লাগায় কর্মরত বেশ কয়েকজন আটকে পড়েন ৷ দমকলবাহিনী আসার আগেই স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করেন ৷ অন্যদিকে, ঘটনাস্থলে দমকলের 15টি ইঞ্জিন ইতিমধ্যেই আগুন নেভানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ৷ আরও একটি ইঞ্জিন আনা হয়েছে ৷ প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, সঠিক সময়ে দমকলে খবর দেওয়া হলেও কর্মীরা দেরিতে এসেছেন ৷ যদিও এই বিষয়ে দমকল আধিকারিকদের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। দমকল সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট গুদাম ঘরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক দ্রব্য রয়েছে। যার জন্য আগুন মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে ৷ সংশ্লিষ্ট গুদাম ঘরে চারপাশে রয়েছে একাধিক বাড়ি ও অফিস। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসলে তা আশে পাশের এলাকায় ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ ফলে দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে প্রথমে আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। তবে দমকল কর্মীদের অভিযোগ, গুদাম ঘরের চারপাশে একাধিক ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার রয়েছে ৷ ফলে সেখানে কাজ করা কার্যত দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে ৷
আরও পড়ুন: মা উড়ালপুলে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত এক, আহত চার
ইতিমধ্যেই, গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিশ ও প্রশাসন ৷ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পুলিশকর্মীরা। কোনও রকমে গ্যাস কাটার এবং ল্যাডারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট গুদাম ঘরের ছাদের উপর উঠে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছে দমকল বাহিনী। এখনও পর্যন্ত আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা যায়নি।