কলকাতা, 7 অগস্ট: প্রায় দেড় ঘণ্টার অপারেশন 'মোজো'-তে, সাফল্য আসার পর গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশ (Scientific Wing Team Came to NewMarket Police Station)। শনিবার রাত বারোটা নাগাদ নিউমার্কেট থানায় আসেন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা । পাশাপাশি আসেন সাইন্টিফিক উইংয়ের (Scientific Wing) গোয়েন্দারা । ঘটনার সময় 'পুলিশ' লেখা যে স্করপিও গাড়ির সামনের কাছে গুলি লাগে সেই গাড়িটির ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে । গাড়ির ভিতরে রয়েছে চাপ চাপ রক্ত । রাতেই ওই গাড়ি থেকে বেশকিছু নমুনা সংগ্রহ করেন সাইন্টিফিক উইংয়ের গোয়েন্দারা । পাশাপাশি ঘটনাস্থলে গিয়েও নমুনা সংগ্রহ করতে পারেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ।
এদিন রাতে গোয়েন্দাদের পাশাপাশি নিউমার্কেট থানায় হাজির হন কলকাতা পুলিশের একাধিক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক থেকে শুরু করে ডিসি সেন্ট্রাল রুপেশ কুমার । গোটা ঘটনাটা কীভাবে হল তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা করা হয় বলে লালবাজার সূত্রের খবর ।
আরও পড়ুন: অপারেশন 'মোজো' শেষে বাহিনীকে কুর্নিশ নগরপালের
এদিন সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ ভারতীয় জাদুঘরের পাশে সিআইএসএফ ক্যাম্পের ভিতর আচমকাই গুলি চালাতে থাকে সিআইএসএফের একজন হেড কনস্টেবল জওয়ান । জানা যায়, সিআইএসএফের হেড কনস্টেবল অক্ষয় কুমার মিশ্র অতর্কিতে নিজের একে47 আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি করতে থাকে । তার গুলিতে প্রাণ যায় অপর একজন সিআইএসএফের জওয়ানের । এরপর ঘটনাস্থলে আসেন কলকাতা পুলিশের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ৷
পরে আসেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল । নিজেই বুলেটপ্রুপ জ্যাকেট এবং হেলমেট পরে ভিতরে ঢুকে লাইট বন্ধ করে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয় বলে লালবাজার সূত্রের খবর । এরপরে ওই সিআইএসএফের ঘাতক হেড কনস্টেবল অক্ষয় কুমার মিশ্রকে আগ্নেয়াস্ত্র নিচে রেখে স্যারেন্ডার করতে বলা হয় । এরপরেই কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল রূপেশ কুমারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ বাহিনী তাকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে বলে লালবাজার সূত্রের খবর ।