ETV Bharat / state

"তৃণমূল মৃত, রাজনীতিতে লজ্জা-ঘৃণা থাকতে নেই"; বিস্ফোরক দুলাল - loksabha

দুলাল বর সদ্য যোগদান করেছেন BJP-তে । তারপরও পাননি লোকসভার টিকিট । এবিষয়ে ETV ভারতের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, "রাজনীতিতে লজ্জা ঘৃণা ভয় তিন থাকতে নয় ।"

দুলাল বর
author img

By

Published : May 29, 2019, 1:12 PM IST

কলকাতা, 29 মে : ঘনঘন দলবদল করে নজির গড়েছেন বাগদার কংগ্রেস বিধায়ক দুলাল বর । প্রথমে ছিলেন কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান । তারপর ওই দলের হয়ে বিধায়ক হন । পরে তৃণমূলের টিকিটে ২০১৬ সালে বিধায়ক হন । পরের বছরই ফের কংগ্রেসে ফিরে যান । ফের তৃণমূলে যোগ দেন ।

সদ্য তিনি যোগদান করেছেন BJP-তে। কিন্তু মন খারাপ । BJP-তে যাওয়ার পরও পাননি লোকসভার টিকিট । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করলেন । থাকবেন নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানেও । তার আগে একান্ত সাক্ষাৎকারে খোলামেলা অনেক কিছুই বললেন দুলাল বর ।


প্রশ্ন: ঘনঘন দলবদল করছেন, বিতর্ক হচ্ছে, কী বলবেন?

উত্তর: রাজনীতিতে একটা কথা আছে, 'লজ্জা, ঘৃণা, ভয় তিন থাকতে নয়' । বাংলার মানুষ 1971 সালের আগে সবাই ছিল কংগ্রেস । সেই মানুষ 1971 সালের পরে হল যুক্তফ্রন্ট । বাংলা কংগ্রেস । তারাই 1978 সালে হল সিপিএম- বামফ্রন্ট । আবার সেই মানুষগুলোই 2011 সালে হল তৃণমূল । আবার তাদের হাত ধরেই 2019 সালে এসে গেল BJP ।

প্রশ্ন: আপনি কি আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য এ-সব কথা বলছেন ?
উত্তর: বাংলার মানুষ যখন যে রাজনৈতিক দল কাজ করে, সেই দলকেই ভোট দিয়েছে । সেটা বাংলার স্বার্থেই । আমি সেটাই বললাম ।

প্রশ্ন: মুকুল রায়ের সঙ্গে দিল্লিতে গেলেন । BJP-তে যোগদান করলেন । অথচ লোকসভা নির্বাচনের টিকিট পেলেন না । ফের কংগ্রেসের ঘরে ঘোরাফেরা করছেন । কেন ?
উত্তর: BJP-তে যোগদান করেছিলাম মূলত তৃণমূলের অসম্মানের জবাব দিতে । সাংসদ-বিধায়ক পদের লোভে যোগদান করিনি । টিকিট পাওয়া-না পাওয়া, আমার ব্যাপার নয় । সেটা দলের ব্যাপার । আমার প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরকে বাগদা থেকে 24 হাজার 600 ভোটের বেশি লিড পেয়েছেন । আমার মনে খারাপ কিছু নেই ।

প্রশ্ন: ঘনঘন দলবদলের খারাপ প্রভাব পড়ে না?
উত্তর: দলবদল রাজনীতিরই অঙ্গ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 1984 সালে প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হন । 2003 সালে রেলমন্ত্রী হন কোন জোটের হয়ে ? সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 2011 সালে ক্ষমতায় এলেন কোন দলকে সঙ্গে নিয়ে ? আজ সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 2019 সালে এসে বলছেন সব দল খারাপ । একা উনি ভালো । উনি যদি বারবার দল বদল করতে পারেন তাহলে আমার দোষ কোথায় ?

ভিডিয়োয় শুনুন দুলাল বরের বক্তব্য

প্রশ্ন: CPI(M)-এ যোগদান করবেন ?
উত্তর: বাংলার মানুষ CPI(M)-কে যদি ক্ষমতায় আনেন, যদি মনে করি CPI(M) বাংলার উন্নয়ন করবে, তা হলে বাংলার স্বার্থে CPI(M)-এ যোগদান করতেই পারি ।

প্রশ্ন: এই মুহূর্তে কোন দলে আছেন আপনি ?
উত্তর: এই মুহূর্তে BJP-র একনিষ্ঠ সৈনিক আমি ।

প্রশ্ন: তাহলে কংগ্রেসের ঘরে বসে আছেন কেন ?
উত্তর: কংগ্রেসের হাত ধরেই প্রথমবার পঞ্চায়েতের প্রধান হই 1998 সালে । আমি কংগ্রেসের প্রতীকে বিধায়ক হয়ে জোট-প্রার্থী হিসেবে বিধানসভায় আসি । তাই কংগ্রেসের কাছে আমি কৃতজ্ঞ ।

প্রশ্ন: মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ আছে ?
উত্তর: কালকেও মুকুল রায়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে । আমি এখন মুকুল রায়ের দিল্লির বাড়িতে যাচ্ছি । মোদির শপথ দেখব বলে । পশ্চিমবঙ্গে নৈরাজ্য চলছে । তৃণমূলকে প্রতিহিংসার জবাব দিয়েছেন বাংলার মানুষ । সুযোগের জবাব দিয়েছেন বাংলার মানুষ । অবিলম্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিত ।

প্রশ্ন:মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডেকে যদি ফের তৃণমূলে আসতে বলেন, আপনি কি তৃণমূলে যাবেন ?
উত্তর: অসম্ভব। যে মায়ের 1998 সালে জন্ম, সেই মা আজ মৃত। মৃত মা'কে দাহ করতে হবে বা কবর দিতে হবে । অবিলম্বে তৃণমূলের সৎকার করা উচিত । তৃণমূল এখন মৃত ।

প্রশ্ন : BJP-তে সম্মান পাচ্ছেন ?
উত্তর: BJP-তে যথেষ্ট সম্মান পেয়েছি । বাগদায় প্রচুর ভোট BJP পেয়েছে । BJP প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে । আমার জীবনে চাওয়া পাওয়া কিছু নেই । জঙ্গলের রাজত্ব চলছে পশ্চিমবঙ্গে । রাজ্যের মানুষ গর্জে উঠুক ।

কলকাতা, 29 মে : ঘনঘন দলবদল করে নজির গড়েছেন বাগদার কংগ্রেস বিধায়ক দুলাল বর । প্রথমে ছিলেন কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান । তারপর ওই দলের হয়ে বিধায়ক হন । পরে তৃণমূলের টিকিটে ২০১৬ সালে বিধায়ক হন । পরের বছরই ফের কংগ্রেসে ফিরে যান । ফের তৃণমূলে যোগ দেন ।

সদ্য তিনি যোগদান করেছেন BJP-তে। কিন্তু মন খারাপ । BJP-তে যাওয়ার পরও পাননি লোকসভার টিকিট । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করলেন । থাকবেন নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানেও । তার আগে একান্ত সাক্ষাৎকারে খোলামেলা অনেক কিছুই বললেন দুলাল বর ।


প্রশ্ন: ঘনঘন দলবদল করছেন, বিতর্ক হচ্ছে, কী বলবেন?

উত্তর: রাজনীতিতে একটা কথা আছে, 'লজ্জা, ঘৃণা, ভয় তিন থাকতে নয়' । বাংলার মানুষ 1971 সালের আগে সবাই ছিল কংগ্রেস । সেই মানুষ 1971 সালের পরে হল যুক্তফ্রন্ট । বাংলা কংগ্রেস । তারাই 1978 সালে হল সিপিএম- বামফ্রন্ট । আবার সেই মানুষগুলোই 2011 সালে হল তৃণমূল । আবার তাদের হাত ধরেই 2019 সালে এসে গেল BJP ।

প্রশ্ন: আপনি কি আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য এ-সব কথা বলছেন ?
উত্তর: বাংলার মানুষ যখন যে রাজনৈতিক দল কাজ করে, সেই দলকেই ভোট দিয়েছে । সেটা বাংলার স্বার্থেই । আমি সেটাই বললাম ।

প্রশ্ন: মুকুল রায়ের সঙ্গে দিল্লিতে গেলেন । BJP-তে যোগদান করলেন । অথচ লোকসভা নির্বাচনের টিকিট পেলেন না । ফের কংগ্রেসের ঘরে ঘোরাফেরা করছেন । কেন ?
উত্তর: BJP-তে যোগদান করেছিলাম মূলত তৃণমূলের অসম্মানের জবাব দিতে । সাংসদ-বিধায়ক পদের লোভে যোগদান করিনি । টিকিট পাওয়া-না পাওয়া, আমার ব্যাপার নয় । সেটা দলের ব্যাপার । আমার প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরকে বাগদা থেকে 24 হাজার 600 ভোটের বেশি লিড পেয়েছেন । আমার মনে খারাপ কিছু নেই ।

প্রশ্ন: ঘনঘন দলবদলের খারাপ প্রভাব পড়ে না?
উত্তর: দলবদল রাজনীতিরই অঙ্গ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 1984 সালে প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হন । 2003 সালে রেলমন্ত্রী হন কোন জোটের হয়ে ? সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 2011 সালে ক্ষমতায় এলেন কোন দলকে সঙ্গে নিয়ে ? আজ সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 2019 সালে এসে বলছেন সব দল খারাপ । একা উনি ভালো । উনি যদি বারবার দল বদল করতে পারেন তাহলে আমার দোষ কোথায় ?

ভিডিয়োয় শুনুন দুলাল বরের বক্তব্য

প্রশ্ন: CPI(M)-এ যোগদান করবেন ?
উত্তর: বাংলার মানুষ CPI(M)-কে যদি ক্ষমতায় আনেন, যদি মনে করি CPI(M) বাংলার উন্নয়ন করবে, তা হলে বাংলার স্বার্থে CPI(M)-এ যোগদান করতেই পারি ।

প্রশ্ন: এই মুহূর্তে কোন দলে আছেন আপনি ?
উত্তর: এই মুহূর্তে BJP-র একনিষ্ঠ সৈনিক আমি ।

প্রশ্ন: তাহলে কংগ্রেসের ঘরে বসে আছেন কেন ?
উত্তর: কংগ্রেসের হাত ধরেই প্রথমবার পঞ্চায়েতের প্রধান হই 1998 সালে । আমি কংগ্রেসের প্রতীকে বিধায়ক হয়ে জোট-প্রার্থী হিসেবে বিধানসভায় আসি । তাই কংগ্রেসের কাছে আমি কৃতজ্ঞ ।

প্রশ্ন: মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ আছে ?
উত্তর: কালকেও মুকুল রায়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে । আমি এখন মুকুল রায়ের দিল্লির বাড়িতে যাচ্ছি । মোদির শপথ দেখব বলে । পশ্চিমবঙ্গে নৈরাজ্য চলছে । তৃণমূলকে প্রতিহিংসার জবাব দিয়েছেন বাংলার মানুষ । সুযোগের জবাব দিয়েছেন বাংলার মানুষ । অবিলম্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিত ।

প্রশ্ন:মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডেকে যদি ফের তৃণমূলে আসতে বলেন, আপনি কি তৃণমূলে যাবেন ?
উত্তর: অসম্ভব। যে মায়ের 1998 সালে জন্ম, সেই মা আজ মৃত। মৃত মা'কে দাহ করতে হবে বা কবর দিতে হবে । অবিলম্বে তৃণমূলের সৎকার করা উচিত । তৃণমূল এখন মৃত ।

প্রশ্ন : BJP-তে সম্মান পাচ্ছেন ?
উত্তর: BJP-তে যথেষ্ট সম্মান পেয়েছি । বাগদায় প্রচুর ভোট BJP পেয়েছে । BJP প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে । আমার জীবনে চাওয়া পাওয়া কিছু নেই । জঙ্গলের রাজত্ব চলছে পশ্চিমবঙ্গে । রাজ্যের মানুষ গর্জে উঠুক ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.