কলকাতা, 26 জুলাই : একসময়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ কিন্তু, পরে তাঁকে সরিয়ে ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন পিসি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তারপর থেকেই রাজনৈতিকমহলে শোনা যায় শুভেন্দু-অভিষেক দ্বন্দ্বের কথা ৷ সম্প্রতি তৃণমূলে যে বড়সড় রদবদল হয়েছে, সেক্ষেত্রেও স্ট্যান্ডিং ও স্টিয়ারিং কমিটিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাখা হয়েছে ৷ কমানো হয়েছে অনেক বড় বড় নেতার ক্ষমতা ৷ কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ বলছেন, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দুই সিদ্ধান্তের পিছনে 'আমিত্ব' ব্যাপারটা কাজ করছে ৷
ETV ভারতের ডেপুটি এডিটর পার্থপ্রতিম ঘোষ রায়ের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে অরুণাভ ঘোষ বলেন, "তৃণমূলের কমিটি হয়েছে ৷ অমিত মিত্র, সৌগত রায়ের মতো বড় বড় লোক সহ-সভাপতি হয়েছেন সুব্রত বক্সির অধীনে ৷ মমতা প্রমাণ করছেন যে, তাঁর দলে আলাদা করে কেউ ভোটে জেতেননি ৷ সবাই তাঁর জন্যই জিতেছেন ৷ মমতার বক্তব্য, তিনিই শুরু তিনিই শেষ ৷"
শুভেন্দু-অভিষেক প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা বলেন, "যে তোমায় তুলেছে সে-ই তোমায় ফেলবে ৷ শুভেন্দুকে একদিনে তৃণমূলের যুব কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন ৷ ভাইপোকে আনলেন ৷ কী করার আছে ? তবে, ভাইপোর কোয়ালিটিগুলি খুব খারাপ নয় ৷ ওঁর বক্তৃতা আমি শুনেছি ৷ ঝরঝরে বাংলা ও ইংরাজি বলেন ৷ কিন্তু ঔদ্ধত্য প্রচুর ৷ কারণ উনি পিসির ভাইপো ৷ গুণে পশ্চিমবঙ্গের কোনও রাজনীতিকের থেকে উনি কম নন ৷"