কলকাতা, 8 মার্চ: তদন্তের স্বার্থে ইতিমধ্যেই দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal ) । বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে বিস্তারিতভাবে জেরা করছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা । সেখানেই তাঁকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে 2014 থেকে 2021, পাঁচ বছর ধরে বীরভূম করিডরের পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতেই পুলিশের কাজ বকলমে করতেন অনুব্রত মণ্ডল । তাঁকে সাহায্য করতেন তার প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন । তিনি রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে কাজ করতেন (ED claims Anubrata had a nexus with Police-BSF) ।
বীরভূম করিডোর থেকে বিভিন্ন রাজ্য ও জাতীয় সড়ক হয়ে গরুপাচারের পথ মসৃণ করতে গরু পাচারকারীদের কাছ থেকে প্রোটেকশন মানি বাবদ 6 মাস অন্তর 10-15 কোটি টাকা অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে । এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সায়গল হোসেনকে জেরা করে 2014-2021 সাল পর্যন্ত বীরভূমের পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা একাধিক পুলিশকর্মী খোঁজ তারা পেয়েছেন । তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, অনুব্রতর কাছ থেকে সরাসরিভাবে গরুপাচারের টাকা আত্মসাৎ করত ওই পুলিশকর্মীরা । একই সঙ্গে পুলিশের যে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা, সেই কাজ বকলমে অনুব্রত ও তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষীকে দিয়ে করানোর অলিখিত অনুমতি দিত (Anubrata Mondal had a nexus with Police-BSF)।
ইতিমধ্যেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) আতস কাঁচের তলায় রয়েছেন রাজ্য পুলিশের একাধিক ইন্সপেক্টর, ইনচার্জ, এসপি, ডিএসপি, আইজি এবং ডিআইজি পদমর্যাদার পুলিশকর্মীরা । ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রের খবর, খুব তাড়াতাড়িই এই সমস্ত পুলিশকর্মীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে ।
আরও পড়ুন: 10 মার্চ পর্যন্ত অনুব্রতর ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত
ইডি'র অভিযোগ, প্রাক্তন দেহরক্ষীর কাছ থেকে প্রোটেকশন মানির বিপুল অর্থ চলে আসত অনুব্রত মণ্ডলের বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে । সেই কারণেই বিভিন্ন ব্যাংক ম্যানেজারদের সঙ্গেও নিজের আঁতাত গড়ে তুলেছিলেন তিনি । পাশাপাশি, গরুপাচারের গাড়িগুলিকে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা করে দেওয়ার জন্য শুধু রাজ্য পুলিশ নয়, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একাধিক আধিকারিকের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল অনুব্রতর । তাও এসেছে ইডি'র স্ক্যানারের তলায় ।