কলকাতা, 6 সেপ্টেম্বর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে রাজ্যের 31টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে বৈঠক করবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আগামী 8 সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুর 2টো নাগাদ বৈঠকটি হবে ৷ জানা গিয়েছে, বর্তমানে আচার্য রাজ্যপাল তথা রাজভবন থেকে যে সমস্ত নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে সেই সব বিষয় নিয়েই কথা হতে পারে বৈঠকে। পাশাপাশি রেজিস্ট্রাররা নিজেদের মতামতও জানাতে পারবেন। 31টি বিশ্ববিদ্যালয়কে 8 ভাগে ভেঙে প্রত্যেককে 15 মিনিট করে সময় দেওয়া হয়েছে। ওই 15 মিনিটেই বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর।
বর্তমানে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে। উচ্চ শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ না করেই একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল। মঙ্গলবার রাতে কৃষ্ণনগরের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি দিন কয়েক আগে রাজভবনের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আচার্যের পরেই উপাচার্যের স্থান। তাই উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আচার্যের কথাতেই চলবে। রাজ্য সরকারের নির্দেশ মানার কোনও দরকার নেই। এর পালটা নির্দেশিকা বের করেছে রাজ্য সরকার। সেখানে রাজ্যপালের এক্তিয়ার স্পষ্ট করা হয়েছে। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজভবনের ওই নির্দেশ অবৈধ।
অন্যদিকে, এই পরিস্থিতির মাঝে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ এবং রাজ্যপালের নয়া এই নির্দেশিকাকে ঘিরে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "এরকম যদি চলতে থাকে, যদি কোনও বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর (রাজ্যপাল) কথা মতো চলে, তাহলে আমি বলে রাখছি অর্থনৈতিক বাধা তৈরি করব ৷ যদি আপনি (রাজ্যপাল) মনে করেন, চিফ মিনিস্টারের থেকেও বড় তাহলে মনে রাখবেন সমস্ত পলিসি ঠিক করে রাজ্য সরকার ৷ আপনি নন। আপনি যদি কোনও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেন, আর কোনও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় আপনার কথায় চলে, আমি অর্থনৈতিক বাধা তৈরি করব । কারণ আমি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে দেব না ।" যদিও এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানান, বিশ্ববিদ্যালয় আইন মেনে কাজ করবে।
আরও পড়ুন : 'শিক্ষা ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ', প্রতিবাদে রাজভবনের গেটে ধরনার হুমকি মমতার