কলকাতা, 23 সেপ্টেম্বর: "কী আনন্দ আকাশে বাতাসে আপাতত," তৃণমূলের শিক্ষা সেলের কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে আচার্যকে নিশানা শিক্ষামন্ত্রীর । শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পথে নামে তৃণমূলের শিক্ষা সেল । গান্ধি মূর্তির সামনে প্রতিবাদ সভার ডাক দেন তাঁরা । সেখানেই আসেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু । ওই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে ফের আচার্যকে নিশানা করেন মন্ত্রী । নাম না করে একাধিক উপমা টেনে আচার্য এবং তাঁর নিযুক্ত উপাচার্যকে আক্রমণ করতে শোনা যায় তাঁকে ।
এ দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আচার্যই উপাচার্য হওয়ার যে সিদ্ধান্ত, সেটাকে নিশানা করেন মন্ত্রী । ব্রাত্য বলেন, "ভারতবর্ষের মূল দর্শন অদ্বৈতবাদ । শংকরাচার্য তিনি এসেছিলেন কেরালা থেকে । বঙ্গদেশে নিমাই বলেছিলেন মেরেছ কলসির কানা, তা বলে কি প্রেম দেব না ! এই দুটো দর্শনে লড়াই । আমি চালভাজা,, আমি মুড়ি । আমি আচার্য, আমি উপাচার্য ।" এ দিন ফের রাজ্যোপালকে সাদা হাতি বলে সম্বোধন করতে শোনা যায় মন্ত্রীকে । তিনি বলেন, "একটা সাদা হাতির মতো পদ । যে পদ রাখার আদৌ কোনও যৌক্তিকতা আছে কি ?"
তবে এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি আরও একবার রাজ্যপালকে কবি বলে সম্বোধন করেন ব্রাত্য বসু । তিনি বলেন, "রাজভবনে কবি বসে আছেন । কিন্তু কবি তুমি কুমোরের নয়, তুমি কামারের নয়, তুমি রাজার । আমরা তিনবারের শপথ নেওয়া। আমার নেত্রী সারা ভারতবর্ষের এক নম্বর আইকন । তাঁকে আপনি ছোট করতে চাইছেন । বলছেন, আমি ওপরে কথা বলে নেব । আপনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করছেন । আপনার স্পর্ধা তো কম নয় । আসলে আপনি জুনিয়র অ্যাপয়েন্টি ।"
রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোসকে আক্রমণ করার পর । আচার্যের নিয়োগ করা অন্তর্বতী উপাচার্যকে প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন মন্ত্রী । শিক্ষামন্ত্রী টেনে আনেন তারকনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘স্বর্ণলতা’ উপন্যাস । সেই উপন্যাসের গদাধর চরিত্রকে স্মরণ করে তিনি বলেন, "এখন কিছু উপাচার্য ডুডুও খেতে চাইছেন, আবার তামাকও । কিন্তু কবির মেয়াদ তো আর 5-6 মাস । যাঁরা ডুডুও ও তামাক খেলেন আমি কি তাঁদের হুমকি দেব ? আমি কি তাঁদের বলব এক মাঘে শীত যায় না ? বলব না । কিন্তু ধারে কাছে কিছু একটা বলব ।" আর সেখানেই ফের তিনি বলেন, "আনন্দ জারি থাকুক । আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে আপাতত ।"