কলকাতা, 10 জুন: দু’দিন পরপর কেন্দ্রীয় এজেন্সির জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হয়েও সেই ভাবে মুখ খুলতে চাইছেন না দক্ষিণ 24 পরগনার বিষ্ণুপুর পুলিশ জেলার সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরা । এমনটাই খবর মিলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সূত্রে ৷
শুক্রবারের পর শনিবারও তাঁকে সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর গোয়েন্দারা । কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার তদন্ত অন্যদিকে পরিচালিত করতে চাইছে বলে তদন্তকারীদের অভিযোগ । ফলে এবার কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র এবং তাঁর পরিচিত সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চাইছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা ।
মুখোমুখি বসিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে আরজি জানানো হয়েছে বলে খবর । দিল্লির তরফে সবুজ সিগন্যাল আসার পরেই কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার রাহুল বেরাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা ।
সম্প্রতি কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বেহালার বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর গোয়েন্দারা বেশ কিছু নথিপত্র-সহ ডিজিটাল নথি উদ্ধার করেছিলেন । সেই সকল নথি ও উদ্ধার হওয়া কালীঘাটের কাকুর ফোন খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট হিস্ট্রি বের করেন এবং সেখানেই দেখা যায় যে কালীঘাটের কাকু একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন ।
পরবর্তীকালে জানা যায়, বিষ্ণুপুরের একজন সিভিক ভলান্টিয়ার, যাঁর নাম রাহুল বেরা আগে থেকেই কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন ৷ কালীঘাটের কাকু, তাঁর ফোন থেকে যাবতীয় রহস্যজনক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট-সহ বিভিন্ন প্রমাণ রাহুল বেরা নামে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে দিয়ে ডিলিট করিয়েছিলেন ।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে আর কতজন ব্যক্তি যুক্ত রয়েছেন ? এছাড়াও কেন কালীঘাটের কাকুর এক কথাতেই রাহুল দুর্নীতিতে শামিল হলেন ? এই সব অজানা প্রশ্ন জানার জন্যই এবার কালীঘাটের কাকু ওরফে সে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ও বিষ্ণুপুর পুলিশ জেলার সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসা করতে চান ইডির গোয়েন্দারা ।
আরও পড়ুন: আমার 200 কোটি থাকলে আপনার কী, মেজাজ হারিয়ে পালটা প্রশ্ন কালীঘাটের কাকুর