কলকাতা, 10 জানুয়ারি: এসএসকেএম হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ও ভাইস প্রিন্সিপাল পদ মর্যাদার এক আধিকারিক-সহ 11 জন বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের একটি তালিকা তৈরি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই তালিকার মধ্যে রয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু যে ওয়ার্ডে ভরতি ছিলেন তার আরএমও'র নামও। আর এই তালিকাই দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
এসএসকেএম-এর এই 11 জন চিকিত্সকের বিরুদ্ধে কী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়েও ইতিমধ্যে পরামর্শ নেওয়া শুরু করেছে ইডি আধিকারিকরা। ‘মোড অফ অ্যাকশন’ও জানতে চাওয়া হচ্ছে ইডি সদর দফতর থেকে। কেন এই তালিকা তৈরি করল ইডি ? জানা যাচ্ছে, এই তালিকা পাঠানোর মূল কারণ হল দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস ধরে ইডি'র তদন্তে বাধা দিয়েছেন কালীঘাটের কাকু। তিনি প্রভাব খাটিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে মিথ্যা রোগের অভিনয় করেছেন বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনায় কালীঘাটের কাকুকে সাহায্য করেছেন এই সব চিকিত্সকরাই, এমনই অভিযোগ ইডি'র।
গত বুধবার রাতেই কলকাতা হাইকোর্টের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শুনানির পর ফেলে রাখা ভয়েস টেস্ট করাতে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। সেখানেই তিনি 12 রকমভাবে কণ্ঠের নমুনা দেন পরীক্ষকদের। তার আগে মেডিক্য়াল টেস্ট হয় কালীঘাটের কাকুর ৷ আর সেই টেস্টের পর চিকিত্সকরা জানিয়ে দেন সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন কালীঘাটের কাকু। ওই দিন দেখা হয় পাঁচ মাসের এসএসকেএম-এর মেডিকেল রিপোর্টও। হতবাক হয়ে যান ইএসআই-এর চিকিত্সকরা। তার কারণ হিসাবে জানা গিয়েছে, রিপোর্টের সঙ্গে দেহের পরীক্ষার কোনও মিলই নাকি পাওয়া যায়নি। এমনটাই দাবি করেছেন চিকিৎসকরা।
ইডি'র দাবি বহুবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে পরীক্ষা করানোর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিত্সকরা তাতে বাধা দেন। এমনকী কোনও কোনও সময় ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি কালীঘাটের কাকুর। এরপরই সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশের পর কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে যান ইডি আধিকারিকরা ৷ সেখান থেকে বের করে কাকুকে ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যায় ইডি ৷
আরও পড়ুন: