কলকাতা, 7 নভেম্বর: ইডি তাঁকে ডাকেনি ৷ তিনি নথি নিতে ইডি-র দফতরে গিয়েছিলেন ৷ সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে এমনই দাবি করলেন তৃণমূল বিধায়ক পরেশ অধিকারী । তবে কী নথি নিতে গিয়েছিলেন তিনি, সে বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করেননি প্রাক্তন মন্ত্রী । তাঁর দাবি, তাঁকে এখনও পর্যন্ত পরবর্তীতে আবার আসার কথা কিছু জানানো হয়নি ইডির তরফ থেকে ।
আজ বেলা 11টা নাগাদ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED Interrogates Paresh) দফতরে হাজির হন তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী (Paresh Chandra Adhikary)। জানা যায়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা (ED office)। মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনি ভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে ৷
এর আগে, সিবিআই একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পরেশ অধিকারীকে । হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল । সে ক্ষেত্রে তদন্ত করার সময় একাধিক তথ্য মিলেছিল বলে সূত্রের খবর । সেই কারণেই পরেশ অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ৷
ববিতা সরকার নামে এক যোগ্য প্রার্থীর চাকরি পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিরা অধিকারীকে দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে (Teacher Recruitment Case)৷ ববিতা আদালতের দ্বারস্থ হলে সেই মামলার দু পক্ষের কাছ থেকে শোনার পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন ৷ শুধু তাই নয়, অঙ্কিতাকে তাঁর বেতন থেকে প্রাপ্ত সব টাকা ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৷
আরও পড়ুন: বাড়িতে থাকলে ইডি-কে মুড়ি খাওয়াতেন পরেশ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দেখছেন ফিরহাদ
পরেশ অধিকারীই তাঁর মেয়েকে বেআইনি ভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে ৷ এই ঘটনায় প্রাক্তন মন্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়ে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই ৷ তবে এই প্রথম তিনি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটেরও মুখোমুখি হলেন ৷ চাকরি পাইয়ে দেওয়ার দুর্নীতিতে কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছে কি না, কীভাবে বেআইনি ভাবে অযোগ্য প্রার্থীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা পরেশ করেছিলেন, এমনই নানা বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে চায় ইডি ৷