কলকাতা, 16 ফেব্রুয়ারি: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher Recruitment Scam) মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষকে (Kuntal Ghosh) জেরা করতে বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে পৌঁছে গেলেন ইডি আধিকারিকরা (ED at Presidency Correctional Home) ৷ উল্লেখ্য, বর্তমানে কলকাতার আলিপুর অঞ্চলের এই সংশোধনাগারেই বন্দি রয়েছেন কুন্তল ৷
সূত্রের খবর, এদিন কুন্তল ঘোষের বয়ান নথিভুক্ত করা হতে পারে ৷ পাশাপাশি, এদিনের বয়ানের সঙ্গে কুন্তুলে আগে দেওয়া বিভিন্ন বয়ানও মিলিয়ে দেখা হবে ৷ তাতে কোনও অসঙ্গতি ধরা পড়ে কি না, সেটা জানতে আগ্রহী কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা ৷ প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণ টাকা যে মানিক ভট্টাচার্য এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের কাছে পৌঁছে যেত, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে সেই তথ্য আগেই দিয়েছেন কুন্তল ৷ গোয়েন্দারা মনে করছেন, এই দুর্নীতিতে আরও অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি যুক্ত রয়েছেন ৷ তাঁদের নাম ও পরিচয় জানা অত্যন্ত জরুরি ৷ সেই কারণেই এদিন কুন্তলকে জেরা করতে সংশোধনাগারে পৌঁছে যান গোয়ন্দারা ৷
আরও পড়ুন: কুন্তলের ধূসর ডায়েরিতে 'মিউজিক্যাল নোট' !
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের হুগলির নেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করে ইডি ৷ এই ঘটনায় কুন্তলের নাম প্রথমবার নিতে শোনা যায় মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে ৷ তাঁর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ইডি-র রাডারে আসেন কুন্তল ৷ গত মাসে কুন্তল ঘোষের নিউটাউনের দু'টি ফ্ল্য়াটে দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি ৷ সেই অভিযানের পরই কুন্তলকে গ্রেফতার করা হয় ৷ তদন্তে জানা যায়, একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল এই কুন্তল ঘোষের ৷ এমনকী, আদালতে ইডি দাবি করে, দুর্নীতির কালো টাকা পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের কাছেও পৌঁছে দিতেন কুন্তল ৷ যার থেকে অনেকেই অনুমান করছেন, পার্থর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের দু'টি ফ্ল্য়াট থেকে যে বিপুল পরিমাণ নগদ উদ্ধার করা হয়েছে, সেই টাকার সঙ্গে কুন্তলের কোনও যোগাযোগ থাকতে পারে ৷
এই প্রেক্ষাপটে কুন্তলকে জেরা করা প্রয়োজনীয় ছিল বলে জানাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা ৷ সেকথা জানিয়ে আদালতে নিজেদের আবেদন পেশ করে ইডি ৷ আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর ৷ এরপরই বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে পৌঁছে যান ইডি-র প্রতিনিধিরা ৷
সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে কোন কোন প্রভাবশালী যুক্ত রয়েছে, কুন্তলের কাছ থেকে মূলত সেটাই জানার চেষ্টা করবেন ইডি আধিকারিকরা ৷ সেইসঙ্গে, নিয়োগ দুর্নীতির বিপুল টাকা কার কার হাত ঘুরে শেষমেশ কোন কোন ব্যাংক অ্য়াকাউন্টে জমা পড়ত, তাও জানার চেষ্টা করবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা ৷