কলকাতা, 23 জানুয়ারি : "এনাফ ইজ় এনাফ । পাঠানো চুক্তিপত্রে ক্লাব সই না করলে নতুন মরশুমে আমরা ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে থাকব না ।" এ-ভাবেই শনিবাসরীয় সন্ধ্যায় ক্ষোভ উগরে দিলেন বাঙ্গুর গোষ্ঠীর কর্তা । আইএসএলে এখন দল খেলছে, তাই ক্লাব বনাম বিনিয়োগকারীর দুই মেরুতে অবস্থান সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে না । তবে ক্ষোভের ফল্গুধারা যে প্রচণ্ড গতিতে বইতে শুরু করেছে তা কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে ।
ক্লাব প্রশাসনের নতুন কমিটি দায়িত্ব নিয়েছে । কিন্তু বিনিয়োগকারী সংস্থা বাঙ্গুর গোষ্ঠীর পাঠানো চুক্তিতে সই করার উদ্যোগ নেই ক্লাবের তরফে । ইতিমধ্যে চুক্তিপত্র কয়েকমাস আগেই পাঠানো হয়েছিল । তাতে স্বাক্ষর করার কোনও উদ্যোগ ক্লাব কর্তারা দেখাননি । ফলে বিনিয়োগকারী সংস্থা আর ধৈর্য ধরতে রাজি নয় । বাঙ্গুর গোষ্ঠীর ওই কর্তার কথায় " আমরা একটা পরিকল্পনা নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে গাটছড়া বেধেছিলাম । দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা ছিল । কিন্তু তার বাস্তবায়ণ বোধ হয় সম্ভব নয় । তাই চলতি আইএসএলের পরে আমরাও সরে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। এখন বল ক্লাবের কোর্টে । "
শুধু তাই নয় ক্লাব বনাম বিনিয়োগ সংস্থার টানাপোড়েনের প্রভাব সাজঘরের অন্দরে অল্প হলেও পড়তে শুরু করেছে । তাঁর কথায়, " এখন কোনও খবর চাপা থাকে না। ফুটবলাররা সকলেই ভবিষ্যৎ নিয়ে জানতে চাইছে। আমরা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করতে পছন্দ করি । কিন্তু পরিস্থিতি যেদিকে তা যদি বদল না হয় তাহলে কোচ ফুটবলার সবার কাছে আমাদের পরিস্থিতি টা তুলে ধরতে হবে ।"
আরও পড়ুন : ইস্টবেঙ্গলের নতুন কমিটিতে ব্যাপক রদবদল, হচ্ছে না নির্বাচন
এখানেই না থেমে তিনি যোগ করলেন, "বিনিয়োগ করার আমাদের কাছে বহু জায়গা রয়েছে। ইস্টবেঙ্গল কে ভালোবেসে এসেছিলাম ।কিন্তু এই অবস্থায় পড়ব ভাবিনি । আমরা ক্লাবকে আর্ন্তজাতিক মানে তুলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম ।স্টেডিয়াম গড়ার পরিকল্পনা সাজিয়েছিলাম। যে টাকা খরচ করছি তাতে বিদেশে ক্লাব কিনতে পারতাম।"
ক্লাবের তরফে কোনও অঞ্জাত কারণে এই বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। ক্লাব প্রেসিডেন্ট প্রণব দাশগুপ্ত, সচিব কল্যাণ মজুমদার, চুক্তি সম্পাদনে অগ্রনী ভূমিকা গ্রহণ করা সৈকত গাঙ্গুলী এবং শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার সকলেই অবস্থান স্পষ্ট করছেন না ।
চুক্তি হওয়ার সময় সবকিছু পড়ে দেখে সম্মত হয়েছিল ক্লাব।পরবর্তী সময়ে সদস্যদের মতামতের কথা বলে চুক্তিতে কিছু বিবেচনার প্রস্তাব দেওয়ার হয়েছিল। বিনিয়োগ সংস্থা সেই সময় বিষয়টি বিবেচনা করলেও এখন অনড় । যুদ্ধের দামামা ইস্টবেঙ্গল বনাম বিনিয়োগ সংস্থার সম্পর্কে তিনি বলেন, "চুক্তিতে যা আছে তাতেই সই করতে হবে।নচেৎ এটাই শেষ মরসুম ।"