ETV Bharat / state

জঙ্গলমহল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরাবেন না, বিবেক দুবেকে অনুরোধ রাজ্যের - crpf

মাওবাদী অধ্যুষিত জঙ্গলমহল থেকে যেন বাহিনী না সরাতে রাজ্যের DG এবং ADG (আইনশৃঙ্খলা) নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের কাছে অনুরোধ করেছে।

কেন্দ্রীয় বাহিনী
author img

By

Published : Apr 2, 2019, 8:06 PM IST

Updated : Apr 2, 2019, 11:25 PM IST

কলকাতা, 2 এপ্রিল : রাজ্যের সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট উত্তর নেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের কাছে। তবে সূত্র জানাচ্ছে, সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ অপর্যাপ্ত বাহিনী। তাই এ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যে মোতায়েন থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়ে খোঁজ-খবর করছে কমিশন। যদিও রাজ্য পুলিশের তরফে কমিশনের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে, ভোটের কাজে ব্যবহার করার জন্য জঙ্গলমহল থেকে যেন কেন্দ্রীয় বাহিনী সরানো না হয়।

সূত্র জানাচ্ছে, রাজ্যের DG এবং ADG (আইনশৃঙ্খলা) নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের কাছে অনুরোধ করেছেন, মাওবাদী অধ্যুষিত জঙ্গলমহল থেকে কোনওভাবেই যেন কেন্দ্রীয় বাহিনী সরানো না হয়। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের তরফে পর্যাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী দেওয়া হবে বলে বিবেক দুবেকে আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের কর্তারা।


কাশ্মীরে পুলওয়ামার ঘটনার পর নিরাপত্তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের চিন্তা বেড়েছে অনেকটাই। তাই দেশের বিভিন্ন উপদ্রুত এলাকায় পর্যাপ্ত বাহিনী রেখে তবেই নির্বাচনের জন্য বাহিনী বরাদ্দ করতে হচ্ছে। ফলে রাজ্যে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে নির্বাচনের যে দাবি উঠেছে, সেই দাবি মানা সম্ভবত সম্ভব হচ্ছে না নির্বাচন কমিশনের। দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে। কাশ্মীরের মত উত্তেজনাপ্রবণ রাজ্যে নির্বাচনের সময় সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা দরকার। আবার ছত্তিশগড়, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশের মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাতেও প্রায় সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন রয়েছে। তাই বিরোধীরা দাবি জানালেও এ রাজ্যে সব বুথে সম্ভবত কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া যাবে না।

রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে এ রাজ্যে মোতায়েন রয়েছে 35 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। গতকাল CRPF-এর এ রাজ্যের শীর্ষকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন বিবেক দুবে। বৈঠকে তিনি খোঁজ নেন রাজ্যে কোথায় কত বাহিনী আগে থেকেই রয়েছে। সেই বাহিনীর কতটা প্রয়োজন রয়েছে, তা নিয়েও তিনি খোঁজ নেন।

আজ নবান্নে রাজ্যের DG এবং ADG (আইনশৃঙ্খলা)-র সঙ্গে বৈঠক করেন বিবেক দুবে। সেখানে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনায় উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রসঙ্গ। সূত্র জানাচ্ছে, বৈঠকে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষককে রাজ্যের তরফে অনুরোধ করা হয় জঙ্গলমহল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী না সরাতে। রাজ্যের তরফে বলা হয় কিছুদিন আগেও জঙ্গলমহলে উদ্ধার হয়েছে মাওবাদীদের পোস্টার। মাঝেমধ্যেই মাওবাদীদের আনাগোনার খবর মিলছে গোয়েন্দা সূত্রে। ভোটের জন্য যদি সেখান থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরানো হয় তবে ফের জঙ্গলমহলে ঘাঁটি গাড়তে পারে মাওবাদীরা। যেটা কোনভাবেই চাইছে না রাজ্য প্রশাসন।

অন্যদিকে সূত্র জানাচ্ছে, রাজ্যের পুলিশকর্তারা বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষককে জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনের প্রয়োজনে পর্যাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী দিতে রাজ্য প্রস্তুত। নির্বাচন কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই এখন দেখার।

কলকাতা, 2 এপ্রিল : রাজ্যের সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট উত্তর নেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের কাছে। তবে সূত্র জানাচ্ছে, সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ অপর্যাপ্ত বাহিনী। তাই এ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যে মোতায়েন থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়ে খোঁজ-খবর করছে কমিশন। যদিও রাজ্য পুলিশের তরফে কমিশনের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে, ভোটের কাজে ব্যবহার করার জন্য জঙ্গলমহল থেকে যেন কেন্দ্রীয় বাহিনী সরানো না হয়।

সূত্র জানাচ্ছে, রাজ্যের DG এবং ADG (আইনশৃঙ্খলা) নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের কাছে অনুরোধ করেছেন, মাওবাদী অধ্যুষিত জঙ্গলমহল থেকে কোনওভাবেই যেন কেন্দ্রীয় বাহিনী সরানো না হয়। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের তরফে পর্যাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী দেওয়া হবে বলে বিবেক দুবেকে আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের কর্তারা।


কাশ্মীরে পুলওয়ামার ঘটনার পর নিরাপত্তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের চিন্তা বেড়েছে অনেকটাই। তাই দেশের বিভিন্ন উপদ্রুত এলাকায় পর্যাপ্ত বাহিনী রেখে তবেই নির্বাচনের জন্য বাহিনী বরাদ্দ করতে হচ্ছে। ফলে রাজ্যে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে নির্বাচনের যে দাবি উঠেছে, সেই দাবি মানা সম্ভবত সম্ভব হচ্ছে না নির্বাচন কমিশনের। দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে। কাশ্মীরের মত উত্তেজনাপ্রবণ রাজ্যে নির্বাচনের সময় সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা দরকার। আবার ছত্তিশগড়, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশের মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাতেও প্রায় সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন রয়েছে। তাই বিরোধীরা দাবি জানালেও এ রাজ্যে সব বুথে সম্ভবত কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া যাবে না।

রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে এ রাজ্যে মোতায়েন রয়েছে 35 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। গতকাল CRPF-এর এ রাজ্যের শীর্ষকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন বিবেক দুবে। বৈঠকে তিনি খোঁজ নেন রাজ্যে কোথায় কত বাহিনী আগে থেকেই রয়েছে। সেই বাহিনীর কতটা প্রয়োজন রয়েছে, তা নিয়েও তিনি খোঁজ নেন।

আজ নবান্নে রাজ্যের DG এবং ADG (আইনশৃঙ্খলা)-র সঙ্গে বৈঠক করেন বিবেক দুবে। সেখানে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনায় উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রসঙ্গ। সূত্র জানাচ্ছে, বৈঠকে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষককে রাজ্যের তরফে অনুরোধ করা হয় জঙ্গলমহল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী না সরাতে। রাজ্যের তরফে বলা হয় কিছুদিন আগেও জঙ্গলমহলে উদ্ধার হয়েছে মাওবাদীদের পোস্টার। মাঝেমধ্যেই মাওবাদীদের আনাগোনার খবর মিলছে গোয়েন্দা সূত্রে। ভোটের জন্য যদি সেখান থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরানো হয় তবে ফের জঙ্গলমহলে ঘাঁটি গাড়তে পারে মাওবাদীরা। যেটা কোনভাবেই চাইছে না রাজ্য প্রশাসন।

অন্যদিকে সূত্র জানাচ্ছে, রাজ্যের পুলিশকর্তারা বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষককে জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনের প্রয়োজনে পর্যাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী দিতে রাজ্য প্রস্তুত। নির্বাচন কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই এখন দেখার।

Last Updated : Apr 2, 2019, 11:25 PM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.