কলকাতা, 9 মার্চ : জয়প্রকাশ মজুমদারের দলবদলকে ফুটবলে ক্লাব বদলের সঙ্গে তুলনা করলেন দিলীপ ঘোষ ৷ তৃণমূলের নতুন সহ-সভাপতিকে কটাক্ষ (Dilip Ghosh criticises Jay Prakash Majumder) করে দিলীপ বলেন, ‘‘এমন কিছু নেতা আছে, যাঁরা ফুটবল ক্লাব চেঞ্জ করার মতো দল চেঞ্জ করে ৷ কিছু লোক আসবে যাবে ৷ এতে কিছু যায় আসে না ৷’’
তবে, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি স্বীকার করে নিয়েছেন, বাংলায় পদ্মশিবিরের হাল বর্তমানে বেহাল ৷ দিলীপ ঘোষ জানান, একটা সময় তাঁরা বিজেপি দলটাকে রাজ্যে দাঁড় করিয়ে ছিলেন ৷ কিন্তু, বর্তমানে তাঁদের সেই দল গাড্ডায় পড়েছে ৷ তাই দলকে গর্ত থেকে তুলে ফের সঠিক পথে আনতে আলোচনার টেবিলে বসার কথা জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ ৷ পাশাপাশি, গত পরশু অর্থাৎ, সোমবার বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতারা যে বৈঠক করেছিল ৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন, জয়প্রকাশ ৷ কিন্তু, ওই বৈঠকে উপস্থিত লকেট চট্টোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়রা নাকি ফাঁপরে পড়েছেন জয়প্রকাশের দলবদলে ৷ কারণ তাঁরাও বিষয়টি জানতে না বলে দাবি দিলীপের ৷
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাঁর বাড়ির সামনে থেকে পুলিশি ব্যারিকেড সরানোর নির্দেশকেও কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ ৷ তাঁর প্রশ্ন, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের এত দেরিতে কেন বোধদয় হল ? সাধারণ মানুষের যাতায়াতে যে সমস্যা হচ্ছে, সেটা এতদিন কেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বোঝেননি ? প্রশ্ন দিলীপের ৷ পাশাপাশি অভিযোগ করেছেন, ওই রাস্তায় অভিষেকের বাড়ি আছে বলে, সেখানে বিজেপিকে প্রচার করতে দেওয়া হয়নি ৷ রাস্তাটিকে সাধারণের জন্য নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর ৷ যা নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিলীপ ঘোষের উপদেশ, নিজেকে উপরে উঠিয়ে রাখলে জননেতা হওয়া যায় না ৷ তার জন্য রাস্তায় নেমে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয় ৷