ETV Bharat / state

ডেঙ্গির 'আঁতুড়ঘর', RG কর হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে ক্ষোভ প্রকাশ ডেপুটি মেয়রের - Deputy Mayor

অতীন ঘোষ বলেন, আবর্জনা পড়ে থাকার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল হায়ার অথোরিটিকে জানানো । পাশাপাশি 496-এ কেস করা । কিন্তু তা হাসাপাতাল তারা করেনি ।

RG কর হাসপাতাল
author img

By

Published : Jul 31, 2019, 9:31 PM IST

কলকাতা, 31 জুলাই : ডেঙ্গির আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে কলকাতার RG কর হাসপাতাল । ইতিমধ্যেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন চার থেকে পাঁচ জন নার্স । হাসপাতাল চত্বরে যত্রতত্র জমা হয়েছে আবর্জনা স্তূপ । এই পরিস্থিতিতে হাসপাতাল চত্বর পরিদর্শনে এসে মেজাজ হারালেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ । নিয়মিত সাফাই না হওয়ার কারণ জানতে চাইলেন হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ও সুপারের কাছে । এর ফলে প্রিন্সিপাল শুদ্ধধন বটব্যাল ও সুপার মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে । একই সঙ্গে দায়ি করেছেন পৌরনিগমের সাফাইকর্মীদেরও । পাশাপাশি শোকজ় করেন বোরো স্বাস্থ্য আধিকারিকেও ।

অতীন ঘোষ বলেন, আবর্জনা পড়ে থাকার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল হায়ার অথোরিটিকে জানানো । পাশাপাশি 496-এ কেস করা । কিন্তু তা হাসাপাতাল তারা করেনি । এপ্রিল মাস থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল নতুন টেন্ডার হচ্ছে । তারপর আবর্জনার স্তূপ সরানো হবে । কিন্তু জুলাই মাস শেষ হয়ে গেলেও তারা আবর্জনার স্তূপ সরিয়ে নিয়ে যায়নি । আবর্জনার কারণে যত্রতত্র মশাবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়েছে হাসপাতালে । প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার যে মিটিং হয় তাতে কখনও জানানো হয়নি RG কর হাসাপাতালের পরিস্থিতি ভয়াবহ । অনেক আগেই হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ও সুপারের সতর্ক হওয়া উচিত ছিল ।

দ্রুত হাসপাতাল চত্বরকে জঞ্জালমুক্ত করার নির্দেশ দেন অতীন ঘোষ । তিনি জানান, ডেঙ্গি হলে যে শুধু হাসপাতালেই সীমাবদ্ধ থাকবে তা না, এলাকার চারপাশের মানুষজনও আক্রান্ত হবেন । তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বোরো কর্মীদেরও দায়িত্ব নিতে হবে আবর্জনা মুক্ত রাখার ।

কলকাতা, 31 জুলাই : ডেঙ্গির আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে কলকাতার RG কর হাসপাতাল । ইতিমধ্যেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন চার থেকে পাঁচ জন নার্স । হাসপাতাল চত্বরে যত্রতত্র জমা হয়েছে আবর্জনা স্তূপ । এই পরিস্থিতিতে হাসপাতাল চত্বর পরিদর্শনে এসে মেজাজ হারালেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ । নিয়মিত সাফাই না হওয়ার কারণ জানতে চাইলেন হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ও সুপারের কাছে । এর ফলে প্রিন্সিপাল শুদ্ধধন বটব্যাল ও সুপার মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে । একই সঙ্গে দায়ি করেছেন পৌরনিগমের সাফাইকর্মীদেরও । পাশাপাশি শোকজ় করেন বোরো স্বাস্থ্য আধিকারিকেও ।

অতীন ঘোষ বলেন, আবর্জনা পড়ে থাকার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল হায়ার অথোরিটিকে জানানো । পাশাপাশি 496-এ কেস করা । কিন্তু তা হাসাপাতাল তারা করেনি । এপ্রিল মাস থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল নতুন টেন্ডার হচ্ছে । তারপর আবর্জনার স্তূপ সরানো হবে । কিন্তু জুলাই মাস শেষ হয়ে গেলেও তারা আবর্জনার স্তূপ সরিয়ে নিয়ে যায়নি । আবর্জনার কারণে যত্রতত্র মশাবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়েছে হাসপাতালে । প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার যে মিটিং হয় তাতে কখনও জানানো হয়নি RG কর হাসাপাতালের পরিস্থিতি ভয়াবহ । অনেক আগেই হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ও সুপারের সতর্ক হওয়া উচিত ছিল ।

দ্রুত হাসপাতাল চত্বরকে জঞ্জালমুক্ত করার নির্দেশ দেন অতীন ঘোষ । তিনি জানান, ডেঙ্গি হলে যে শুধু হাসপাতালেই সীমাবদ্ধ থাকবে তা না, এলাকার চারপাশের মানুষজনও আক্রান্ত হবেন । তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বোরো কর্মীদেরও দায়িত্ব নিতে হবে আবর্জনা মুক্ত রাখার ।

Intro:ডেঙ্গির আতুর ঘরে পরিনত হয়েছে আর জি কর হাসপাতাল। এখনই তিন থেকে চারজন ডাক্তার নার্স ডেঙ্গি আক্রান্ত এই হাসপাতালে। হাসপাতাল চত্বরের অবস্থা দেখে ক্রুদ্ধ ডেপুটি মেয়র অতিন ঘোষ। আরজিকর হাসপাতালে পরিস্থিতি দেখে উষ্মা প্রকাশ করে মেজাজ হারালেন অতীন ঘোষ। তিনি বলেন যত্রতত্র মশা বাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়েছে আর জি কর হাসপাতাল । নিয়মিত কেন সাফাই হয় না হাসপাতাল চত্বর তা নিয়ে প্রশ্ন করেন আর জি কর হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ও সুপারকে। সঙ্গেই বোরো2 স্বাস্থ্য আধিকারিকের শোকজ করেন তিনি। হাসপাতাল সুপার মানস বন্দ্যোপাধ্যায় কেও ভৎসনা মুখে পড়তে হয়।


Body:একই সঙ্গে পুর নিগমের সাফাই কর্মীদের দায়ী করেন অতীন ঘোষ। প্রত্যেক শুক্রবার নিয়মিত বড় মিটিং করার পরেও কেন সচেতনতা নেই আর জি কর হাসপাতালে। অতীন ঘোষ ও প্রিন্সিপালের কাছে অভিযোগ করেন এত আবর্জনার স্তুপ হয়ে রয়েছে হাসপাতাল চত্বরে যেখানে পুর কর্মীরা প্রবেশ করে মশার ওষুধ দিতে পারবে না। অতীন ঘোষ বলেন এই হাসপাতাল ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পাওয়া কিছুতেই সম্ভব নয় যে অবস্থায় হয়ে রয়েছে। চারিধারে ময়লা আবর্জনার স্তুপ ,বৃষ্টি হলে সেই স্তুপে বিভিন্ন কোনায় জল জমে ডেঙ্গু বংশ বৃদ্ধি করবে।


Conclusion:দ্রুত হাসপাতালকে জঞ্জাল মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামীকাল সকালের মধ্যেই হাসপাতাল চত্বর থেকে যত স্তুপ আবর্জনা আছে তা সরিয়ে ফেলতে বলা হয়ছে। জল যেখানে যেখানে জমতে পারে সেসব জায়গায় প্লাস্টিকের ত্রিপল দিয়ে ঘিরে ফেলতে বলা হয়েছে। উদ্বেগ প্রকাশ করে অতিন ঘোষ জানিয়েছেন ডেঙ্গি হলে শুধু এই হাসপাতালে সীমাবদ্ধ থাকবে না চারপাশে এলাকার মানুষ ও আক্রান্ত হবে। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে যেমন দায়িত্ব নিতে হবে তেমনই বোরো কর্মীদেরও আরো বেশি নজর দিতে বলা হয়েছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.