কলকাতা, ১৩ মার্চ : একের পর এক অভিযোগ। বেশিরভাগটাই আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত। শান্তিতে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন সম্পূর্ণ করার বিষয়টি রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সেই উদ্দেশ্যে ফের কলকাতা সফরে আসছেন দেশের ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার সুদীপ জৈন। শনিবার শহরে আসতে চলেছেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে দিতে পারেন নির্দিষ্ট কিছু নির্দেশ। ওই দিন তিনি কথা বলবেন সব ক'টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও।
এরাজ্যের সব ক'টি বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করতে হবে। সবকটি বুথে রাখতে হবে সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের ক্ষমতা রাজ্য পুলিশের হাতে দিলে চলবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর যাবতীয় বিষয় দেখার জন্য নিয়োগ করতে হবে বিশেষ অবজ়ারভার। আজ দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে এমন কিছু দাবি তুলেছে BJP। এর আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চের কাছেও বিরোধীরা তুলেছিল একগুচ্ছ অভিযোগ। যেখানে ভোটে রিগিং ছাপ্পা রুখতে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছিল বিরোধীরা। নির্বাচন নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরেও রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরে হওয়া সর্বদল বৈঠকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন থেকে শুরু করে একগুচ্ছ অভিযোগ ওঠে। আজ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রও মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ় আফতাবের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের সব ক'টি বুথকে স্পর্শকাতর বুথ হিসেবে চিহ্নিত করার দাবি জানান। সূত্র জানাচ্ছে, এরপরেই নড়েচড়ে বসে দিল্লির নির্বাচন কমিশন। ঠিক হয়, ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনকে পাঠানো হবে কলকাতায়।
আজ রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক সঞ্জয় বসু জানান, শনিবার রাজ্যে আসছেন সুদীপ। তিনি কথা বলবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিরেক্টর জেনেরাল অব পুলিশ, সব ক'টি জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে। সব ক'টি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও কথা বলবেন সুদীপ। বোঝার চেষ্টা করবেন রাজ্যের বাস্তব পরিস্থিতি। প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বেশ কিছু কড়া দাওয়াই তিনি বাতলাতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্য থেকে পাওয়া রিপোর্ট তিনি তুলে দেবেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার কাছে। সেইমতো কমিশন ব্যবস্থা নেবে বলে খবর।