কলকাতা, 26 ডিসেম্বর: গোটা শহর এখন উৎসবমুখর। পার্ক স্ট্রিট থেকে বো ব্যারাক, সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল, গোটা চাঁদনি, ধর্মতলা, পার্ক স্ট্রিট- ময়দান এখন নানা আলোয় রঙিন। বড়দিনের উৎসব ও বর্ষবরণ আনন্দে গা ভাসিয়েছে আপামর জনতা। সন্ধ্যা নামতেই ভিড় উপচে পড়ছে এই সমস্ত চত্বরে। আলো গান, খাওয়া-দাওয়া চলছে দেদার। মানুষ যখন উচ্ছ্বাসে গা ভাসিয়ে তখন হকের চাকরির দাবিতে বুকে যন্ত্রণা নিয়েই গান্ধি মূর্তি, মাতঙ্গিনী মূর্তির তলায় বসে দিন কাটাচ্ছেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের এই অবস্থা তুলে ধরল ইটিভি ভারত ৷
তাঁদের কথায়, এই দিনগুলোয় আমাদের পরিবারের সঙ্গে আনন্দ করার ইচ্ছে করে। কিন্তু করতে পারছি না। সরকার জীবন থেকে সব আনন্দ কেড়েছে। হকের চাকরি দিলে নিয়োগ সঠিকভাবে হলে, কাজ করে যে বেতন পেতাম সেটা দিয়ে এমন উৎসবের দিনে হয়তো তাঁরাও পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে আনন্দ উপভোগ করতে পারতেন। হয়তো পার্ক স্ট্রিটের যে ভিড়ের উচ্ছ্বাস তার অংশ হতে পারতেন। কিন্তু এই সমস্ত উৎসবের দিন এখন তাঁদের কাছে বেদনার-যন্ত্রণাময়। খোলা আকাশের নীচে পড়ে থাকতে হচ্ছে আন্দোলনকারীদের।
একাধিক চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের ছেলে, মেয়েরা এই সমস্ত চত্বরে বসে ধরনা চালিয়ে যাচ্ছেন। কারও 481 দিন, কারও 400 কারও আবার 290 দিন, তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন নিরবিচ্ছিন্নভাবে । শহরে এসএলএসটি থেকে শুরু করে প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি, গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি সব ধরনের চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চ আছে। তাঁদের কাছে বছরের প্রথম দিন হোক বা বড়দিন সবটাই সমান। এক একটা দিন লড়াইয়ের, যন্ত্রণার, বেদনার দিন। প্রদীপের নীচে নয় পাশেই যেন অন্ধকার। প্রদীপের আলোকজ্জ্বল শিখা যদি আলোয় মোড়া পার্ক স্ট্রিট হয় তাহলে অন্ধকারের ছবি নিঃসন্দেহে গান্ধি মূর্তি বা মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশ ৷
আরও পড়ুন: