কলকাতা, 28 জুন : কসবা টিকাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জনকে জেরা করে উঠে আসছে একাধিক তথ্য ৷ দীর্ঘদিন ধরেই যে তার এই কারবার তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে ৷ 2020 সালে মার্চ মাসে বিধাননগরের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় দেবাঞ্জন দেবের নামে মৌখিক একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল । চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে । সেইবার পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের পর ছাড়া পেয়েছিল দেবাঞ্জন ।
জেরায় দেবাঞ্জন জানিয়েছে, 2020 সালে অশোক রায় নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে তার অফিসটি ভাড়া নেয় ৷ যার মাসিক ভাড়া ছিল মাসে 65 হাজার টাকা ৷ তবে কে এই অশোক রায়, তা এখনও জানা যায়নি । তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ ।
অন্যদিকে, দেবাঞ্জনের বাবা করোনা আক্রান্ত । তিনি মাদুরদহের বাড়িতে কোয়ারানটিনে রয়েছেন । গতকাল রাতে দেবাঞ্জনের বাড়িতে তল্লাশি চালায় গোয়েন্দারা । সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক সিমকার্ড, ডেবিট কার্ড, একাধিক ব্যাংকের চেকবুক-সহ অনেক নথিপত্র ।
আরও পড়ুন : Fake Vaccination Case : ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়ে নিজের মামার সঙ্গে প্রতারণা দেবাঞ্জনের !
নিজেকে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি সেক্রেটারি হিসাবে পরিচয় দিয়েছিল দেবাঞ্জন ৷ এরপর কলকাতা পুরসভার ডেপুটি সেক্রেটারির নামে নকল ইমেল আইডি বানায় সে ৷ এই ভুয়ো মেল আইডি থেকে সিরাম ইনস্টটিউশনে মেইল করে কোভিশিল্ড পাঠাতে বলেছিল । যা রীতিমতো অবাক করেছে গোয়েন্দাদের ৷ তাকে যতবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, ততবারই নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছেন গোয়েন্দারা ।
এদিন, লালবাজারে দেবাঞ্জনের সাগরেদ ও কর্মী মিলিয়ে দশজনের বেশি লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে গোয়েন্দারা । প্রয়োজনে ফের তাদের ডাকা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে ।
ধৃত দেবাঞ্জন দেব পুলিশকে জানায়, একাধিক সরকারি এজেন্সিগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করার চেষ্টা করত সে ৷ ফলস্বরূপ একাধিক সরকারি স্ট্যাম্প পেপার ও লেটারপ্যাড পেত ।
ফলে গোয়েন্দারা মনে করছেন, এই ঘটনায় আরও অনেকেই যুক্ত রয়েছে । পাশাপাশি এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করে, দেবাঞ্জনের মোট আটটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা ।
আরও পড়ুন : কসবা টিকাকাণ্ডে শুভেন্দুর সিবিআইয়ের দাবি গোরুর গাড়ির হেডলাইট, মন্তব্য কুণালের