কলকাতা, 13 জানুয়ারি: স্কাইওয়াক তৈরি করার সময় মেট্রোর কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। তারপরও স্কাইওয়াকের একাংশ ভাঙার বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ফিরহাদ হাকিম ৷ তাঁর কথায়, "আমরা নকশা জমা দিয়ে তাদের অনুমোদন নিয়েই করেছিলাম। এখন বলছে স্কাইওয়াকের একাংশ ভাঙাতে হবে !"
একই সঙ্গে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে শনিবার ফিরহাদ হাকিম বলেন, "তুঘলঘি কারবার হচ্ছে নাকি মোদি সরকারের ?" কবি সুভাষ থেকে দমদম পর্যন্ত চলে 288টি মেট্রো ৷ কিন্তু দক্ষিণেশ্বর থেকে চলে 178টি ট্রেন। কারণ দক্ষিণেশ্বরে প্লাটফর্মে ঢোকার আগেই লাইন বদল করতে হয়। সেখানে বেশকিছুটা সময় লাগে মেট্রোর। ফলে লাইন বাড়ানোর দরকার বলে মেট্রো দীর্ঘ সময় আলোচনা চালাচ্ছে রাজ্যের সঙ্গে। মেট্রো দাবি করেছে এই কাজের জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় জমি লাগবে। তাতে দেখা যাচ্ছে স্কাইওয়াকের একাংশ ভেঙে দিতে হতে পারে।
আর এই প্রসঙ্গেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের পৌর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি এদিন বলেন, "মেট্রোর কাছ থেকে কাজ করার জন্য নো-অবজেকশন নিয়েছি। তাদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তাদের কোথায় কী আছে। সেই নকশা দেখে আমাদের নকশা মিলিয়ে বিপুল টাকা খরচে ওটা করা হয়েছে। এবার বলছে স্কাইওয়াক ভেঙে দাও। আমাদের একটা সৃষ্টি সেটা ভেঙে দেব ?"
পৌরমন্ত্রী বলেন, "তোমাদের আগে থেকে বলা উচিত ছিল কোথায় করবে, আর কোথায় করবে না। মেট্রোর সঙ্গে বসে খতিয়ে দেখে আলোচনা করেই নকশা অনুমোদন করা হয়েছে।" এর পরেই ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, "তুঘলঘি রাজ চলছে নাকি মোদি সরকারের ? এখন ভাঙতে বলছেন ! আগে বললে তো আমরা সেইভাবেই করতাম। এখন আর ওখানে জায়গা নেই। কাজ করলে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। মেট্রো যা প্ল্যান দিয়েছে তাতে দক্ষিণেশ্বর রাস্তায় ঢোকা যাবে না। আমি তো প্ল্যান পাঠিয়েছিলাম তখন চাইলেন না কেন ? রামকৃষ্ণের একটা ঐতিহ্য সেটা নষ্ট করে দেব !"
আরও পড়ুন: