ETV Bharat / state

CPIM Against UGC Guidelines: বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ভারতে ! ইউজিসির খসড়া বিধি প্রত্যাহারের দাবি সিপিআইএমের

ভারতের উচ্চশিক্ষার কাঠামো নিয়ে ইউজিসি খসড়া গাইডলাইন (UGC draft Guidelines) প্রকাশ করেছে ৷ তার বিরোধীতায় সরব হল সিপিআইএম (CPIM) ৷ ইউজিসির খসড়া বিধি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তারা ৷

SFI
CPIM Against UGC new norms
author img

By

Published : Jan 8, 2023, 7:37 PM IST

ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ভারতে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় তথা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস খোলার উদ্যোগ নিয়েছে । এর তীব্র বিরোধিতায় করল সিপিএমের পলিট ব্যুরো (Politburo of CPIM) । প্রতিবাদে সরব হয়েছে ছাত্র সংগঠন এসএফআইও (SFI) । দেশে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় তথা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস খোলা, তাঁদের বেতন নির্ধারণ, শিক্ষক নিয়োগের স্বাধীনতা দেওয়া মানেই উচ্চ বেতনের কিছু অভিজাত প্রতিষ্ঠানের জন্য পৃথক জায়গা তৈরি হবে । এটি ভারতের উচ্চশিক্ষার কাঠামোকে আরও বিকৃত করে দেবে । তাই, ইউজিসি'র এই খসড়া গাইডলাইন দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সিপিআইএম ও এসএফআই । শনিবার দলের পলিট ব্যুরো এক বিবৃতিতে বলেছে, বিদেশি ক্যাম্পাস তৈরির বিশদ কার্যক্রমের মধ্যে যে নিয়ম, নীতি রয়েছে তা ভয়ংকর । যা শিক্ষার সার্বভৌমত্বকে খর্ব করবে । কী রয়েছে নিয়ম, নীতিতে?

বিদেশি ক্যাম্পাসগুলি নিজেদের ভর্তির নিয়ম ঠিক করবে । দেশের ও বিদেশের ছাত্র ভর্তির মাপকাঠি নিজেরাই ঠিক করতে পারবে তারা । ঠিক তেমনই বেতন কাঠামো ঠিক করার স্বাধীনতাও থাকবে তাদের । এ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বেতনের যে ঊর্ধ্বসীমা রয়েছে তাও মানতে বাধ্য থাকবে না এই বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলি । বিদেশি উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলি ভিন দেশে আর্থিক লেনদেন করতে পারবে । বিদেশি মুদ্রা তহবিল রাখতে পারবে, অর্থ প্রদান, টাকা বাইরেও পাঠাতে পারবে বলে উল্লেখ রয়েছে ।

UGC draft Guidelines
বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ভারতে

আরও পড়ুন: লেকটাউনে ট্যাক্সিকে ধাক্কা বিএসএফ’র ট্রাকের, আহত 5

এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে পলিট ব্যুরোর বক্তব্য, এর আগে একই ধাঁচে ভারতীয় কর্পোরেটদের এমন ব্যবসা খুলতে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল । পরে জাতীয় বিশিষ্টতার মর্যাদাও দেওয়া হয়েছিল । যদিও এ ক্ষেত্রে কী ঠিক করা হয়েছে তা এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি । ভারতের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্র এমনিতেই ধুঁকছে । নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি এবং করোনাকালে অনলাইন শিক্ষার অতি ব্যবহারে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ড্রপ আউটের সংখ্যা তীব্র হারে বেড়ে গিয়েছে । অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের শিকার পড়ুয়ারা উচ্চশিক্ষা থেকে পিছু হটছে ।

পলিট ব্যুরোর দাবি, এর ফলে উচ্চশিক্ষার চলতি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন উদ্যোগ যে আদৌ সহায়ক হবে না তা স্পষ্ট । তাই, ইউজিসি এবং সরকারকে এই খসড়া প্রস্তাব প্রত্যাহার করতে হবে । শুধু প্রত্যহারই নয়, পরিস্থিতি মোকাবিলায় শিক্ষক-পড়ুয়া, উচ্চশিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে । রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করে একতরফা উদ্যোগের বিধিবদ্ধ অধিকারও নেই ইউজিসি'র । তাই, এই একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে সমস্ত গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক শক্তিকে আহ্বান জানিয়েছে পলিট ব্যুরো (CPIM demands withdrawal of UGC draft Guidelines) ।

পলিট ব্যুরোর মতো সরব হয়েছে এসএফআই । এই খসড়ার বিরোধিতা করে এসএফআই'র সভাপতি ভিপি সানু ও সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস বলেছেন, "কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পনা করে বিদেশি বেসরকারি সংস্থার হাতে দেশের উচ্চশিক্ষা তুলে দিতে চাইছে । করোনা- লকডাউনের কারণে পড়ুয়াদের বিশাল অংশ শিক্ষাক্ষেত্রের বাইরে চলে গিয়েছে । দেশে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস হলে এই বৈষম্য আরও বাড়বে । সাধারণ ভারতীয় ছাত্রদের কোনও উপকার হবে না ।"

ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ভারতে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় তথা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস খোলার উদ্যোগ নিয়েছে । এর তীব্র বিরোধিতায় করল সিপিএমের পলিট ব্যুরো (Politburo of CPIM) । প্রতিবাদে সরব হয়েছে ছাত্র সংগঠন এসএফআইও (SFI) । দেশে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় তথা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস খোলা, তাঁদের বেতন নির্ধারণ, শিক্ষক নিয়োগের স্বাধীনতা দেওয়া মানেই উচ্চ বেতনের কিছু অভিজাত প্রতিষ্ঠানের জন্য পৃথক জায়গা তৈরি হবে । এটি ভারতের উচ্চশিক্ষার কাঠামোকে আরও বিকৃত করে দেবে । তাই, ইউজিসি'র এই খসড়া গাইডলাইন দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সিপিআইএম ও এসএফআই । শনিবার দলের পলিট ব্যুরো এক বিবৃতিতে বলেছে, বিদেশি ক্যাম্পাস তৈরির বিশদ কার্যক্রমের মধ্যে যে নিয়ম, নীতি রয়েছে তা ভয়ংকর । যা শিক্ষার সার্বভৌমত্বকে খর্ব করবে । কী রয়েছে নিয়ম, নীতিতে?

বিদেশি ক্যাম্পাসগুলি নিজেদের ভর্তির নিয়ম ঠিক করবে । দেশের ও বিদেশের ছাত্র ভর্তির মাপকাঠি নিজেরাই ঠিক করতে পারবে তারা । ঠিক তেমনই বেতন কাঠামো ঠিক করার স্বাধীনতাও থাকবে তাদের । এ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বেতনের যে ঊর্ধ্বসীমা রয়েছে তাও মানতে বাধ্য থাকবে না এই বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলি । বিদেশি উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলি ভিন দেশে আর্থিক লেনদেন করতে পারবে । বিদেশি মুদ্রা তহবিল রাখতে পারবে, অর্থ প্রদান, টাকা বাইরেও পাঠাতে পারবে বলে উল্লেখ রয়েছে ।

UGC draft Guidelines
বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ভারতে

আরও পড়ুন: লেকটাউনে ট্যাক্সিকে ধাক্কা বিএসএফ’র ট্রাকের, আহত 5

এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে পলিট ব্যুরোর বক্তব্য, এর আগে একই ধাঁচে ভারতীয় কর্পোরেটদের এমন ব্যবসা খুলতে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল । পরে জাতীয় বিশিষ্টতার মর্যাদাও দেওয়া হয়েছিল । যদিও এ ক্ষেত্রে কী ঠিক করা হয়েছে তা এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি । ভারতের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্র এমনিতেই ধুঁকছে । নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি এবং করোনাকালে অনলাইন শিক্ষার অতি ব্যবহারে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ড্রপ আউটের সংখ্যা তীব্র হারে বেড়ে গিয়েছে । অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের শিকার পড়ুয়ারা উচ্চশিক্ষা থেকে পিছু হটছে ।

পলিট ব্যুরোর দাবি, এর ফলে উচ্চশিক্ষার চলতি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন উদ্যোগ যে আদৌ সহায়ক হবে না তা স্পষ্ট । তাই, ইউজিসি এবং সরকারকে এই খসড়া প্রস্তাব প্রত্যাহার করতে হবে । শুধু প্রত্যহারই নয়, পরিস্থিতি মোকাবিলায় শিক্ষক-পড়ুয়া, উচ্চশিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে । রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করে একতরফা উদ্যোগের বিধিবদ্ধ অধিকারও নেই ইউজিসি'র । তাই, এই একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে সমস্ত গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক শক্তিকে আহ্বান জানিয়েছে পলিট ব্যুরো (CPIM demands withdrawal of UGC draft Guidelines) ।

পলিট ব্যুরোর মতো সরব হয়েছে এসএফআই । এই খসড়ার বিরোধিতা করে এসএফআই'র সভাপতি ভিপি সানু ও সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস বলেছেন, "কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পনা করে বিদেশি বেসরকারি সংস্থার হাতে দেশের উচ্চশিক্ষা তুলে দিতে চাইছে । করোনা- লকডাউনের কারণে পড়ুয়াদের বিশাল অংশ শিক্ষাক্ষেত্রের বাইরে চলে গিয়েছে । দেশে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস হলে এই বৈষম্য আরও বাড়বে । সাধারণ ভারতীয় ছাত্রদের কোনও উপকার হবে না ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.