কলকাতা, 13 এপ্রিল: জাতীয় দলের স্বীকৃতির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হোক। এই মর্মে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানাল সিপিআই। সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার সিপিআই কেন্দ্রীয় কমিটি ও পলিটব্যুরোর সদস্যরা দলের সর্বভারতীয় তকমা নিয়ে বৈঠকে বসেন। এরপরই সিপিআইয়ের জাতীয় দলের স্বীকৃতি খারিজের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী শর্ত পূরণ না হওয়ায় গত সোমবার সিপিআই, তৃণমূল-সহ বেশ কয়টি রাজনৈতিক দলের জাতীয় স্বীকৃতি খারিজ হয়ে গিয়েছে। তবে, সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, জাতীয় দলের মর্যাদা হারালেও আমূল নির্বাচনী সংস্কার ও মানুষের জন্য জারি থাকবে তাদের লড়াই।
উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে জাতীয় দলের স্বীকৃতি কেড়ে নেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের। যার মধ্যে সিপিআইয়ের নামও আছে ৷ এই মর্মে গত মঙ্গলবার দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকের পর সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা বলেন, "সিপিআইয়ের সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং বৃটিশ শাসকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অনবদ্য ভূমিকার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের মনে রাখা উচিত ছিল । পরে স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতেও জাতীয় কর্মসূচি নির্ধারণে সিপিআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।" পাশাপাশি দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতি শক্তিশালী করার ক্ষেত্রেও সিপিআই সামনের সারিতে ছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি।
রাজার দাবি, দেশের পুরনো রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সিপিআই একটি। এই দলের সর্বভারতীয় অস্তিত্ব এবং জনসমর্থন এখনও অটুট। দেশের অগ্রগতিতে সিপিআইয়ের ত্যাগস্বীকার কার্যত নজিরবিহীন বলেও দাবি করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, সংবিধানের মর্যাদা রক্ষা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্ম নিরপেক্ষতা এবং সমাজতন্ত্রের জন্যও সিপিআইয়ের অবদান অবিস্মরণীয় বলে জানান তিনি।
দলের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশন জাতীয় দলের মর্যাদা হরণ করা সত্ত্বেও সারা দেশে সিপিআই বাড়তি উদ্যম নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করে যাবে । নির্বাচনী সংস্কারের জন্যও প্রচার জোরদার করা হবে। সেই সঙ্গে নির্বাচনী বন্ড বাতিলের পাশাপাশি ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত কমিটির সুপারিশ মোতাবেক নির্বাচনে যোগদানকারী দলগুলিকে সমান স্তরে রাখতে নির্বাচনী ব্যয় রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে প্রদান করারও দাবি জানিযেছে তারা।