ETV Bharat / state

কলকাতা বেশি আক্রান্ত, বাস-ক‍্যাব-ট‍্যাক্সিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা

author img

By

Published : May 15, 2020, 12:06 PM IST

COVID-19-এর সংক্রমণ কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে যে আরও ছড়িয়ে পড়বে তার আশঙ্কা অনেক আগেই তৈরি হয়েছে সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসকদের বিভিন্ন অংশে । পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষ্যে COVID-19 নির্ণয়ের জন্য আরও অনেক বেশি নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন । তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ।

aa
কলকাতা

কলকাতা, 15 মে: COVID-19-এর সংক্রমণ কলকাতায় এখন আরও অনেক বেশি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা । বাস-ক্যাব-ট্যাক্সি চলাচলের জন্য সরকারি সিদ্ধান্তের জেরে এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে । এই ধরনের পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ যাতে সংক্রমণ মুক্ত থাকতে পারেন তার জন্য নিয়ম মেনে চলার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা ।

COVID-19-এর সংক্রমণ কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে যে আরও ছড়িয়ে পড়বে তার আশঙ্কা অনেক আগেই তৈরি হয়েছে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিভিন্ন অংশে । পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষ্যে COVID-19 নির্ণয়ের জন্য আরও অনেক বেশি নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন । তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত । এই বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের তরফে একাধিকবার রাজ্য সরকারকে চিঠিতে জানানো হয়েছে । বাড়িতে বাড়িতে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানানো হয়েছে । চিকিৎসকদের বিভিন্ন অংশে এমন আশঙ্কা তৈরি হওয়ার কারণও রয়েছে অনেকগুলি ।

স্বাভাবিক নিয়মে ভাইরাসের সংখ্যা বৃদ্ধি হতে থাকে । এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল লকডাউন চলাকালীন কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে মানুষের নিয়ম না মানার বিষয়গুলি । চিকিৎসকদের কোনও কোনও অংশে মাস দেড়েক আগে থেকেই এমন আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে । কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে মে, জুন, জুলাই মাসে COVID-19 সংক্রমণের হার অনেক বেশি দেখা দেবে । এর মধ্যে সবথেকে বেশি সংক্রমণ দেখা দেবে জুন মাসে । চিকিৎসকদের এই আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে তুলেছিল মদের দোকান খোলার সরকারি সিদ্ধান্তের জেরে । কারণ, মদের দোকান খোলার সিদ্ধান্তের জেরে বহু মানুষের ভিড় হয়েছিল । COVID-19-এর মোকাবিলায় নিয়ম মানা হয়নি । বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ভিন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরানোর পরে সরকারি কোয়ারানটিন সেন্টারে রাখা হয়নি । বদলে তাঁদেরকে হোম কোয়ারানটিনে রাখা হয়েছে । এই বিষয়টিও চিকিৎসকদের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেওয়ার অন্য একটি কারণ । এই দুই বিষয় নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের কোনও কোনও অংশেও উদ্বেগ দেখা গেছে ।

COVID-19-এর সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার অন্য একটি কারণ হিসেবে রয়েছে উপসর্গহীন COVID-19 আক্রান্তদের নিয়ে ।বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপসর্গহীন COVID-19 আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে । বহু ক্ষেত্রে উপসর্গহীন অবস্থায় থেকে যাচ্ছেন COVID-19 আক্রান্তরা । আক্রান্তরা নিজেরাও বুঝতে পারছেন না তাঁরা সংক্রমণের শিকার । অথচ, তাঁদের মাধ্যমে COVID-19-এর সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায় । COVID-19 সংক্রান্ত রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী সম্প্রতি কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে আরও অনেক COVID-19 আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে । যদিও এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হচ্ছে, আগের তুলনায় COVID-19 নির্ণয়ের জন্য টেস্ট সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশি আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে । তবে, চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের তরফে জানানো হচ্ছে, সংক্রমণ ইতিমধ্যেই অনেক ছড়িয়ে পড়েছে । যার জেরে আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি ।

এদিকে, রাজ্যে সব থেকে বেশি COVID-19 আক্রান্তের সংখ্যা দেখা যাচ্ছে কলকাতায় । স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী গতকাল পর্যন্ত কলকাতায় COVID-19-এ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 1,157 । কলকাতায় COVID-19-এ 94জনের মৃত্যু হয়েছে । গতকাল পর্যন্ত COVID-19 আক্রান্ত অন্য আরও 52 জনের মৃত্যু হয়েছে কলকাতায় । তাঁদের মৃত্যু অবশ্য অন্য কারণে হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর । কলকাতার পরে রয়েছে হাওড়া, উত্তর 24 পরগনা, হুগলি, দক্ষিণ 24 পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর । এই সব জেলায় COVID-19-এ আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে 509, 317, 135, 79, 49জন । তবে, কলকাতায় COVID-19-এ আক্রান্তের সংখ্যা এখন আরও অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসকরা ।

সংক্রমণ আরও অনেক বেশি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বাস, ক্যাব, ট্যাক্সি চলাচলের জন্য সরকারি সিদ্ধান্তের জেরে । সংক্রমণ যাতে আরও ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য সরকারের তরফে বাস, ক্যাব, ট্যাক্সিতে নিয়ম মেনে চালানোর কথা বলা হয়েছে । তবে, বাস্তব চিত্র অন্যরকম । গতকাল কলকাতার বিভিন্ন অংশে দেখা গেছে, নিয়ম মানছেন না বহু যাত্রী । এক্ষেত্রে সোশাল ডিসটেন্স বজায় রাখা দূরের কথা, কোনও কোনও বাসে কার্যত গা ঘেঁষাঘেঁষি অবস্থায় যাত্রীদের দেখা যাচ্ছে । COVID-19-এ আক্রান্তের সংখ্যা যেখানে বেশি দেখা যাচ্ছে, সেখানে এখনই বাস, ক্যাব, ট‍্যাক্সি চলাচলের জন্য সরকারি অনুমতি দেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত? এর ফলে কি COVID-19-এর সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে?

রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, চিকিৎসক সজল বিশ্বাস বলেন, "COVID-19-এর সংক্রমণের হার এখন বাড়ছে । লকডাউন-ও চলছে । এই অবস্থায় এখন বাস, ক‍্যাব, ট‍্যাক্সি চলাচলের অনুমতি দেওয়া ঠিক হল না । এর ফলে COVID-19-এর সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে । এখনই বাস, ক‍্যাব, ট‍্যাক্সি চলাচলের অনুমতি না দিয়ে জরুরি প্রয়োজন রয়েছে, এমন ক্ষেত্রে সরকারি তত্ত্বাবধানে বাস চালানো যেত ।"

তিনি বলেন, "সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে হলে মানুষকে নিয়ম মেনে চলতে হবে ।" রাজ্যের চিকিৎসকদের অন্য একটি সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের সম্পাদক, চিকিৎসক কৌশিক চাকি বলেন, "মানুষ যদি নিয়ম না মানেন তা হলে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়বে ।" তিনি বলেন, "মানুষকে নিয়ম মেনে চলতে হবে । এর জন্য মানুষের কাছে আরও বেশি করে সঠিক বার্তা নিয়ে পৌঁছাতে হবে ।" এদিকে, যাত্রী পরিবহনের পরে বাস, ক‍্যাব, ট্যাক্সিতে কীভাবে, কতটা জীবাণুমুক্তকরণের কাজ হবে, সেই বিষয়েও চিকিৎসকদের সন্দেহ থেকে যাচ্ছে বলে জানা গেছে ৷

কলকাতা, 15 মে: COVID-19-এর সংক্রমণ কলকাতায় এখন আরও অনেক বেশি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা । বাস-ক্যাব-ট্যাক্সি চলাচলের জন্য সরকারি সিদ্ধান্তের জেরে এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে । এই ধরনের পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ যাতে সংক্রমণ মুক্ত থাকতে পারেন তার জন্য নিয়ম মেনে চলার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা ।

COVID-19-এর সংক্রমণ কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে যে আরও ছড়িয়ে পড়বে তার আশঙ্কা অনেক আগেই তৈরি হয়েছে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিভিন্ন অংশে । পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষ্যে COVID-19 নির্ণয়ের জন্য আরও অনেক বেশি নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন । তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত । এই বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের তরফে একাধিকবার রাজ্য সরকারকে চিঠিতে জানানো হয়েছে । বাড়িতে বাড়িতে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানানো হয়েছে । চিকিৎসকদের বিভিন্ন অংশে এমন আশঙ্কা তৈরি হওয়ার কারণও রয়েছে অনেকগুলি ।

স্বাভাবিক নিয়মে ভাইরাসের সংখ্যা বৃদ্ধি হতে থাকে । এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল লকডাউন চলাকালীন কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে মানুষের নিয়ম না মানার বিষয়গুলি । চিকিৎসকদের কোনও কোনও অংশে মাস দেড়েক আগে থেকেই এমন আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে । কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে মে, জুন, জুলাই মাসে COVID-19 সংক্রমণের হার অনেক বেশি দেখা দেবে । এর মধ্যে সবথেকে বেশি সংক্রমণ দেখা দেবে জুন মাসে । চিকিৎসকদের এই আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে তুলেছিল মদের দোকান খোলার সরকারি সিদ্ধান্তের জেরে । কারণ, মদের দোকান খোলার সিদ্ধান্তের জেরে বহু মানুষের ভিড় হয়েছিল । COVID-19-এর মোকাবিলায় নিয়ম মানা হয়নি । বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ভিন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরানোর পরে সরকারি কোয়ারানটিন সেন্টারে রাখা হয়নি । বদলে তাঁদেরকে হোম কোয়ারানটিনে রাখা হয়েছে । এই বিষয়টিও চিকিৎসকদের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেওয়ার অন্য একটি কারণ । এই দুই বিষয় নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের কোনও কোনও অংশেও উদ্বেগ দেখা গেছে ।

COVID-19-এর সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার অন্য একটি কারণ হিসেবে রয়েছে উপসর্গহীন COVID-19 আক্রান্তদের নিয়ে ।বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপসর্গহীন COVID-19 আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে । বহু ক্ষেত্রে উপসর্গহীন অবস্থায় থেকে যাচ্ছেন COVID-19 আক্রান্তরা । আক্রান্তরা নিজেরাও বুঝতে পারছেন না তাঁরা সংক্রমণের শিকার । অথচ, তাঁদের মাধ্যমে COVID-19-এর সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায় । COVID-19 সংক্রান্ত রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী সম্প্রতি কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে আরও অনেক COVID-19 আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে । যদিও এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হচ্ছে, আগের তুলনায় COVID-19 নির্ণয়ের জন্য টেস্ট সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশি আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে । তবে, চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের তরফে জানানো হচ্ছে, সংক্রমণ ইতিমধ্যেই অনেক ছড়িয়ে পড়েছে । যার জেরে আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি ।

এদিকে, রাজ্যে সব থেকে বেশি COVID-19 আক্রান্তের সংখ্যা দেখা যাচ্ছে কলকাতায় । স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী গতকাল পর্যন্ত কলকাতায় COVID-19-এ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 1,157 । কলকাতায় COVID-19-এ 94জনের মৃত্যু হয়েছে । গতকাল পর্যন্ত COVID-19 আক্রান্ত অন্য আরও 52 জনের মৃত্যু হয়েছে কলকাতায় । তাঁদের মৃত্যু অবশ্য অন্য কারণে হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর । কলকাতার পরে রয়েছে হাওড়া, উত্তর 24 পরগনা, হুগলি, দক্ষিণ 24 পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর । এই সব জেলায় COVID-19-এ আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে 509, 317, 135, 79, 49জন । তবে, কলকাতায় COVID-19-এ আক্রান্তের সংখ্যা এখন আরও অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসকরা ।

সংক্রমণ আরও অনেক বেশি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বাস, ক্যাব, ট্যাক্সি চলাচলের জন্য সরকারি সিদ্ধান্তের জেরে । সংক্রমণ যাতে আরও ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য সরকারের তরফে বাস, ক্যাব, ট্যাক্সিতে নিয়ম মেনে চালানোর কথা বলা হয়েছে । তবে, বাস্তব চিত্র অন্যরকম । গতকাল কলকাতার বিভিন্ন অংশে দেখা গেছে, নিয়ম মানছেন না বহু যাত্রী । এক্ষেত্রে সোশাল ডিসটেন্স বজায় রাখা দূরের কথা, কোনও কোনও বাসে কার্যত গা ঘেঁষাঘেঁষি অবস্থায় যাত্রীদের দেখা যাচ্ছে । COVID-19-এ আক্রান্তের সংখ্যা যেখানে বেশি দেখা যাচ্ছে, সেখানে এখনই বাস, ক্যাব, ট‍্যাক্সি চলাচলের জন্য সরকারি অনুমতি দেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত? এর ফলে কি COVID-19-এর সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে?

রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, চিকিৎসক সজল বিশ্বাস বলেন, "COVID-19-এর সংক্রমণের হার এখন বাড়ছে । লকডাউন-ও চলছে । এই অবস্থায় এখন বাস, ক‍্যাব, ট‍্যাক্সি চলাচলের অনুমতি দেওয়া ঠিক হল না । এর ফলে COVID-19-এর সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে । এখনই বাস, ক‍্যাব, ট‍্যাক্সি চলাচলের অনুমতি না দিয়ে জরুরি প্রয়োজন রয়েছে, এমন ক্ষেত্রে সরকারি তত্ত্বাবধানে বাস চালানো যেত ।"

তিনি বলেন, "সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে হলে মানুষকে নিয়ম মেনে চলতে হবে ।" রাজ্যের চিকিৎসকদের অন্য একটি সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের সম্পাদক, চিকিৎসক কৌশিক চাকি বলেন, "মানুষ যদি নিয়ম না মানেন তা হলে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়বে ।" তিনি বলেন, "মানুষকে নিয়ম মেনে চলতে হবে । এর জন্য মানুষের কাছে আরও বেশি করে সঠিক বার্তা নিয়ে পৌঁছাতে হবে ।" এদিকে, যাত্রী পরিবহনের পরে বাস, ক‍্যাব, ট্যাক্সিতে কীভাবে, কতটা জীবাণুমুক্তকরণের কাজ হবে, সেই বিষয়েও চিকিৎসকদের সন্দেহ থেকে যাচ্ছে বলে জানা গেছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.