কলকাতা, 21 অগাস্ট : হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা মিলছে না । এই জন্য বাড়ি চলে যেতে চান এক COVID-19 রোগী । তাই ওয়ার্ড থেকে তিনি বেরিয়ে পড়েছেন । শুক্রবারের এই ঘটনা কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের । এই ঘটনার জেরে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন COVID-19 রোগীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে ফের প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে । যদিও, এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন । তাঁর ছুটি হয়ে গিয়েছে । কিন্তু, পরিজনরা তাঁকে নিতে না আসায় ওয়ার্ড থেকে তিনি বেরিয়ে পড়েছিলেন । এদিন এই রোগীকে আবার কোরোনা ওয়ার্ডে ভরতি করা হয়েছে ।
কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গ্রিন বিল্ডিংয়ে COVID-19-এ আক্রান্ত নিমতা অঞ্চলের বাসিন্দা বছর 65-র এক প্রৌঢ়র চিকিৎসা চলছে । শুক্রবার এই প্রৌঢ় ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে চলে আসেন হাসপাতাল চত্বরে । তিনি এই হাসপাতাল চত্বরের এ দিন বন্ধ থাকা একটি চায়ের দোকানের সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন । অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের সামনে দিয়েই এই রোগী গ্রিন বিল্ডিংয়ের ছ'তলার ওয়ার্ড থেকে নিচে নেমে আসেন । কীভাবে একজন চিকিৎসাধীন COVID-19 রোগী হাসপাতালের ওই ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে বিল্ডিংয়ের বাইরে চলে এলেন, এই বিষয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে । এর আগেও এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে চিকিৎসাধীন COVID-19 রোগীর বেরিয়ে পড়ার ঘটনা দেখা গিয়েছে । যার জেরে, এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন COVID-19 রোগীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে ফের প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে ।
এভাবে একজন COVID-19 রোগী বসে আছেন, তা হাসপাতালের কর্মীদের নজরে আসে । এরপরে তাঁকে ফের ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা চলতে থাকে । অবশেষে অনেক বুঝিয়ে-সুঝিয়ে তাঁকে ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় । কেন এই রোগী ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন? এই বিষয়ে এই রোগীকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় তিনি জানিয়েছেন, তিনি মনে করছেন তাঁর সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না । এই জন্য তিনি বাড়ি চলে যেতে চাইছেন । তাই তিনি ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে পড়েন ।
যদিও, কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, COVID-19-এ আক্রান্ত হওয়ার পরে এই প্রৌঢ় এখন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন । তাঁর ছুটি হয়ে গিয়েছে । কিন্তু, পরিজনরা তাঁকে নিতে আসছেন না । এদিকে বাড়িতে ফেরার জন্য তিনি অস্থির হয়ে উঠেছেন । এই জন্য এই প্রৌঢ় ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন । এই প্রৌঢ়কে আবার ভরতি নেওয়া হয়েছে । হাসপাতাল থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিজনদের কাছে খবর পাঠানও হয়েছে ।