ETV Bharat / state

বুদ্ধদেব সাউয়ের ভবিষ্যৎ কী? সমাবর্তন হলেও যাদবপুরের অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে ঘিরে এখনও ধোঁয়াশা

Jadavpur University: এবার কি তাহলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য পদ ফাঁকা পড়ে থাকবে? প্রশ্নের উত্তরে অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানালেন, উপাচার্য পদের জন্য তাঁর কোনও লোভ নেই। আইন অনুযায়ী কাজ করবেন।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অন্তর্বর্তী উপাচার্য কে
Jadavpur University
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 24, 2023, 10:15 PM IST

কলকাতা, 24 ডিসেম্বর: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ নিয়ে আবারও প্রশ্ন? সেই পদ কি বর্তমানে ফাঁকা নাকি দায়িত্ব বয়ে নিয়ে যাবেন বুদ্ধদেব সাউ-ই? সেটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন। কারণ ইতিমধ্যেই আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপালের তরফে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে বুদ্ধদেব সাউকে অপসারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, উচ্চ শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে বুদ্ধদেব সাউকেই আজকের সমাবর্তন অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে উচ্চ শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে সমাবর্তনের অনুষ্ঠানে অনুমতি দিলেও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কথায় তারা পুনর্নিয়োগ করছেন না ৷ তাহলে কি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ ফাঁকা পড়ে থাকবে?

আচার্যের তরফ থেকে আসা এই চিঠিকে কি মান্যতা দিচ্ছেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ? নিজে কি এবার সরে দাঁড়াবেন পদ থেকে? তাঁর কথায়, "উপাচার্য পদের জন্য আমার লোভ নেই। আইন অনুযায়ী কাজ করব।" তবে এই আইন কী বলছে? অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের কথায়, "সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে আচার্য এই মুহূর্তে কাউকে নিয়োগ বা কাউকে অপসারণ করতে পারবেন না। তার ফলে বর্তমানে যিনি দায়িত্বে রয়েছেন তিনিই দায়িত্ব বহন করবেন।"

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অপসারণ করার পরেই উচ্চ শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে একটি চিঠি প্রকাশ্যে আসে। শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রথম চিঠি পাঠিয়েছিলেন উপাচার্য নিজেই। তারপরে উচ্চ শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে এই চিঠি প্রকাশ করা হয়। তিনি বলেন, "আমরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিষয়ে ঢুকতে চাইনি। গতকাল (পড়ুন শনিবার) রাতে উপাচার্য আমাদের কাছে জানতে চান সমাবর্তন করবেন কি না। এখানে ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে এবং সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী আমরা সমাবর্তন অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছি।" যদিও শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, তাঁরা উপাচার্যকে পুনর্নিয়োগ করেননি। তবে এর সঙ্গে তিনি বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের আইন অনুযায়ী কাউকে বরখাস্ত করাও হয়নি।"

এখানেই শেষ নয় ৷ রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী, আচার্যের নিয়োগ করা সমস্ত উপাচার্যদের উদ্দেশে পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, "আমার মনে হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ হয়েছিল যে ওরা শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা বলেছে সেই জন্যই গলা ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দিলেন। বাকি উপাচার্যরা বুঝতে পারছেন না ওদেরও একই অবস্থা হবে ৷ আমি বলব মুখের উপর একটা পদত্যাগপত্র ছুড়ে দিন এবং দেখিয়ে দিন বাংলা শিক্ষার গরিমা এখনও অটুট এবং অক্ষুণ্ণ আছে।"

আরও পড়ুন:

  1. কলকাতায় এসেও যাদবপুরের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন না ইউজিসি'র চেয়ারম্যান!
  2. 24 ডিসেম্বরেই সমাবর্তন! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভোকেশন নিয়ে বিতর্কে অন্তর্বর্তী উপাচার্য-আচার্য
  3. যাদবপুরের কর্মসমিতির বৈঠক ঘিরে বিতর্ক, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘনের অভিযোগ ব্রাত্যর

কলকাতা, 24 ডিসেম্বর: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ নিয়ে আবারও প্রশ্ন? সেই পদ কি বর্তমানে ফাঁকা নাকি দায়িত্ব বয়ে নিয়ে যাবেন বুদ্ধদেব সাউ-ই? সেটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন। কারণ ইতিমধ্যেই আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপালের তরফে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে বুদ্ধদেব সাউকে অপসারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, উচ্চ শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে বুদ্ধদেব সাউকেই আজকের সমাবর্তন অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে উচ্চ শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে সমাবর্তনের অনুষ্ঠানে অনুমতি দিলেও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কথায় তারা পুনর্নিয়োগ করছেন না ৷ তাহলে কি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ ফাঁকা পড়ে থাকবে?

আচার্যের তরফ থেকে আসা এই চিঠিকে কি মান্যতা দিচ্ছেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ? নিজে কি এবার সরে দাঁড়াবেন পদ থেকে? তাঁর কথায়, "উপাচার্য পদের জন্য আমার লোভ নেই। আইন অনুযায়ী কাজ করব।" তবে এই আইন কী বলছে? অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের কথায়, "সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে আচার্য এই মুহূর্তে কাউকে নিয়োগ বা কাউকে অপসারণ করতে পারবেন না। তার ফলে বর্তমানে যিনি দায়িত্বে রয়েছেন তিনিই দায়িত্ব বহন করবেন।"

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অপসারণ করার পরেই উচ্চ শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে একটি চিঠি প্রকাশ্যে আসে। শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রথম চিঠি পাঠিয়েছিলেন উপাচার্য নিজেই। তারপরে উচ্চ শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে এই চিঠি প্রকাশ করা হয়। তিনি বলেন, "আমরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিষয়ে ঢুকতে চাইনি। গতকাল (পড়ুন শনিবার) রাতে উপাচার্য আমাদের কাছে জানতে চান সমাবর্তন করবেন কি না। এখানে ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে এবং সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী আমরা সমাবর্তন অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছি।" যদিও শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, তাঁরা উপাচার্যকে পুনর্নিয়োগ করেননি। তবে এর সঙ্গে তিনি বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের আইন অনুযায়ী কাউকে বরখাস্ত করাও হয়নি।"

এখানেই শেষ নয় ৷ রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী, আচার্যের নিয়োগ করা সমস্ত উপাচার্যদের উদ্দেশে পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, "আমার মনে হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ হয়েছিল যে ওরা শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা বলেছে সেই জন্যই গলা ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দিলেন। বাকি উপাচার্যরা বুঝতে পারছেন না ওদেরও একই অবস্থা হবে ৷ আমি বলব মুখের উপর একটা পদত্যাগপত্র ছুড়ে দিন এবং দেখিয়ে দিন বাংলা শিক্ষার গরিমা এখনও অটুট এবং অক্ষুণ্ণ আছে।"

আরও পড়ুন:

  1. কলকাতায় এসেও যাদবপুরের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন না ইউজিসি'র চেয়ারম্যান!
  2. 24 ডিসেম্বরেই সমাবর্তন! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভোকেশন নিয়ে বিতর্কে অন্তর্বর্তী উপাচার্য-আচার্য
  3. যাদবপুরের কর্মসমিতির বৈঠক ঘিরে বিতর্ক, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘনের অভিযোগ ব্রাত্যর
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.