কলকাতা, 14 জুলাই: রামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দকে টেনে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ইতিমধ্যেই সমাজের নানা স্তরে সমালোচিত হয়েছেন ইসকনের সন্ন্যাসী অমোঘ লীলা। তাঁর এই মন্তব্যে জেরে একমাসের জন্য তাঁকে নিভৃতবাসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসকন কর্তৃপক্ষ । তবে এবার তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পথে রুখে দাঁড়ালেন চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস । কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে ওই সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । এতে কাজ না হলে ভবিষ্যতে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথাও শোনা গিয়েছে ওই চিকিৎসকের মুখে ৷
বৃহস্পতিবার প্রথমে কসবা থানায় অমোঘ লীলা দাসের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করতে যান চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস ৷ সেখানে তাঁর মুখ থেকে সম্পূর্ণ ঘটনা শুনে অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি । যেহেতু এই বিষয়টা ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়, তাই সাইবার সেলে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ ওই চিকিৎসককে দেয় কসবা থানার পুলিশ । কসবা থানার পরামর্শ মতো শুক্রবার লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেন ওই চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস । তিনি বলেন, "কসবা থানা অভিযোগ না নেওয়ার পরে আমরা সাইবার সেলে অভিযোগ জানিয়েছি । আমরা কিছুদিন দেখব এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় ৷ তারপরে দরকার হলে আমরা এর জন্য উচ্চ আদালতেও যেতে রাজি । কিন্তু বাংলা তথা বাঙালির এই অপমান মানব না ।"
উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় ৷ যেখানে দেখা যায় ইসকনের সন্ন্যাসী অমোঘ লীলা দাস বলছেন,"স্বামী বিবেকানন্দ যদি মাছ খাওয়ার কথা বলেন, তাহলে তিনি কী করে একজন সিদ্ধপুরুষ? "এছাড়াও বিবেকানন্দের বাণী টেনেও তিনি তীব্র কটাক্ষ করেন । রামকৃষ্ণ দেবকে নিয়েও তির্যক মন্তব্য করতে শোনা যায় তাঁকে ৷ অমোঘ লীলার এই মন্তব্য ভাইরাল হতেই ইসকনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয় জনমানসে । তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও এই মন্তব্যের নিন্দা করে টুইট করেন । তারপর ইসকনের পক্ষ থেকে এই সম্পূর্ণ ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে একটি চিঠি প্রকাশ করা হয় ৷ যেখানে বলা হয়েছে, অমোঘ লীলা দাস তাঁর এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী । এর প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ তিনি গোবর্ধন পাহাড়ে এক মাসের ব্রত রাখবেন এবং জনজীবন থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে আলাদা করে দেবেন ।
আরও পড়ুন: কোটি টাকার হেরোইন-সহ গ্রেফতার মণিপুরের বাসিন্দা
তবে ইসকন ক্ষমা চাইলেও বাঙালির এই অপমান কোনওভাবেই মেনে নেননি চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস । তাই তিনি সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ জানালেন ৷