কলকাতা, 12 এপ্রিল : কোচবিহারের রিপোর্ট ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে জেলা নির্বাচন আধিকারিকের কাছে। সূত্রের খবর, প্রিজ়াইডিং অফিসারদের রিপোর্টে কোনও গরমিল নেই। আলিপুরদুয়ারের রিপোর্ট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তৃণমূলস্তরের সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে জেলার রিটার্নিং অফিসার, জেনেরাল অবজ়ারভার বৈঠক করবেন। আদৌ কোনও বুথে পুনর্নির্বাচনের প্রয়োজন কি না তা খতিয়ে দেখা হবে ওই বৈঠকে। তারপর মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরে পাঠানো হবে সেই রিপোর্ট। সেই রিপোর্ট যাবে দিল্লির নির্বাচন সদনে। তারপরই জানা যাবে আদৌ কোচবিহার কিংবা আলিপুরদুয়ারে কোনও বুথে পুনর্নির্বাচন হবে কি না।
প্রথম দফার নির্বাচন নিয়ে উঠেছিল বেশ কিছু অভিযোগ। কোথাও বুথ জ্যাম, কোথাও বা ছাপ্পা, কোথাও আবার প্রক্সি ভোটের অভিযোগ ওঠে। সবচেয়ে বড় অভিযোগ ওঠে শীতলকুচি এবং দিনহাটায়। শীতলকুচিতে বুথের ভেতর ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে। সেই ছবি ইতিমধ্যেই দেখিয়েছে ETV ভারত। আবার দিনহাটায় ভাঙচুর করা হয় EVM। এরকমই নানা অভিযোগের ভিত্তিতে বিরোধী দলগুলি বেশ কিছু বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। BJP-র তরফে নিশীথ প্রামাণিক 166 টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। গতকাল বামফ্রন্টের তরফে প্রথমে 120 টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানানো হলেও, পরে দলীয় রিপোর্ট আসার পর আজ 63 টি বুথ দখল হয়েছিল বলে অভিযোগ জানানো হয়। পুনর্নির্বাচনের দাবি নিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে যায় বামফ্রন্টের প্রতিনিধি দল। কংগ্রেসের তরফেও এই একই দাবি জানানো হয়েছে।
মাইক্রো অবজ়ারভারের রিপোর্ট, ওয়েব কাস্টিং, CCTV ফুটেজ সবকিছু খতিয়ে দেখে তৈরি করা হবে রিপোর্ট। তারপর তা পাঠানো হবে নির্বাচন সদনে। নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে কতগুলো বুথে হবে পুনর্নির্বাচন।