ETV Bharat / state

মামলার রায়ের তর্জমা হোক বাংলাতেও, সুপ্রিম কোর্টে চিঠি বাম ও কংগ্রেসের

বাদী ও বিবাদী দুই পক্ষই মামলার স্টেটাস সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে পারে ও তাদের যাতে আইনজীবীদের উপর ভরসা করতে না হয়, এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আঞ্চলিক ভাষায় মামলার রায় তর্জমার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রি বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশও ইতিমধ্যেই দিয়েছেন ।

সুপ্রিম কোর্ট
author img

By

Published : Jul 4, 2019, 5:34 PM IST

দিল্লি, 4 জুলাই : এতদিন পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে মামলার রায় পাওয়া যেত শুধুমাত্র ইংরেজিতে । তবে চলতি মাসের শেষ থেকে সাতটি আঞ্চলিক ভাষাতে পাওয়া যাবে মামলার রায় । সেগুলি হল অহমিয়া, হিন্দি, কন্নড়, মরাঠি, ওড়িয়া, তেলুগু ও তামিল । তবে এই ভাষার মধ্যে বাংলাকে অন্তর্ভুক্ত না করায় অখুশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী । বাংলাতেও যেন মামলার রায় তর্জমা করা হয়, এই আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চিঠি পাঠালেন তাঁরা ।

বাদী ও বিবাদী দুই পক্ষই মামলার স্টেটাস সম্পর্কে যাতে ওয়াকিবহাল থাকতে পারে ও তাদের যেন আইনজীবীদের উপর ভরসা করতে না হয়, এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আঞ্চলিক ভাষায় মামলার রায় তর্জমার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রি বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ ইতিমধ্যেই দিয়েছেন ।

মামলার রায় বাংলায় তর্জমায় করা হবে না জেনে দুঃখ প্রকাশ করেছেন আবদুল মান্নান । তিনি বলেন, "বাংলা ভাষাকে গুরুত্ব না দেওয়ার বিষয়টি দুঃখের । দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি, বাংলা ভাষাকে এক্ষেত্রে বাদ দেওয়ার পিছনে কোনও যুক্তি আমরা খুঁজে পাইনি । বাংলা ভাষাকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদ করছি।"

একই সুর শোনা যায় সুজন চক্রবর্তীর গলাতেও । তাঁর কথায়, "ভারতবর্ষের সংবিধানে স্বীকৃত ভাষাগুলির মধ্যে সব থেকে সমৃদ্ধ বাংলা । জাতীয় সংগীত বাংলা ভাষায় রচিত । দেশের প্রধান দেশাত্মবোধক সংগীত বন্দেমাতরমও বাংলা ভাষাতেই লেখা । বাংলা ভাষা দিবসকেই আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ । আমাদের দেশে বাংলাই একমাত্র ভাষা, যে ভাষায় রচিত সাহিত্য নোবেল পেয়েছে । হিন্দির পরই সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা বাংলা । ফলে বাংলা ভাষাকে বাদ দেওয়ার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ আমরা খুঁজে পাচ্ছি না ।"

আবদুল মান্নান ও সুজন চক্রবর্তী জানান, বাম ও কংগ্রেস যৌথভাবে দেশের শীর্ষ আদালতের পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্ট ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চিঠি দিয়েছে ।

দিল্লি, 4 জুলাই : এতদিন পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে মামলার রায় পাওয়া যেত শুধুমাত্র ইংরেজিতে । তবে চলতি মাসের শেষ থেকে সাতটি আঞ্চলিক ভাষাতে পাওয়া যাবে মামলার রায় । সেগুলি হল অহমিয়া, হিন্দি, কন্নড়, মরাঠি, ওড়িয়া, তেলুগু ও তামিল । তবে এই ভাষার মধ্যে বাংলাকে অন্তর্ভুক্ত না করায় অখুশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী । বাংলাতেও যেন মামলার রায় তর্জমা করা হয়, এই আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চিঠি পাঠালেন তাঁরা ।

বাদী ও বিবাদী দুই পক্ষই মামলার স্টেটাস সম্পর্কে যাতে ওয়াকিবহাল থাকতে পারে ও তাদের যেন আইনজীবীদের উপর ভরসা করতে না হয়, এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আঞ্চলিক ভাষায় মামলার রায় তর্জমার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রি বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ ইতিমধ্যেই দিয়েছেন ।

মামলার রায় বাংলায় তর্জমায় করা হবে না জেনে দুঃখ প্রকাশ করেছেন আবদুল মান্নান । তিনি বলেন, "বাংলা ভাষাকে গুরুত্ব না দেওয়ার বিষয়টি দুঃখের । দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি, বাংলা ভাষাকে এক্ষেত্রে বাদ দেওয়ার পিছনে কোনও যুক্তি আমরা খুঁজে পাইনি । বাংলা ভাষাকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদ করছি।"

একই সুর শোনা যায় সুজন চক্রবর্তীর গলাতেও । তাঁর কথায়, "ভারতবর্ষের সংবিধানে স্বীকৃত ভাষাগুলির মধ্যে সব থেকে সমৃদ্ধ বাংলা । জাতীয় সংগীত বাংলা ভাষায় রচিত । দেশের প্রধান দেশাত্মবোধক সংগীত বন্দেমাতরমও বাংলা ভাষাতেই লেখা । বাংলা ভাষা দিবসকেই আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ । আমাদের দেশে বাংলাই একমাত্র ভাষা, যে ভাষায় রচিত সাহিত্য নোবেল পেয়েছে । হিন্দির পরই সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা বাংলা । ফলে বাংলা ভাষাকে বাদ দেওয়ার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ আমরা খুঁজে পাচ্ছি না ।"

আবদুল মান্নান ও সুজন চক্রবর্তী জানান, বাম ও কংগ্রেস যৌথভাবে দেশের শীর্ষ আদালতের পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্ট ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চিঠি দিয়েছে ।

Intro:Body:৪ জুলাই কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের রায় বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় অনূদিত অবস্থায় পাওয়া যাবে। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই আদেশ দিয়েছে। এই খবরে বাম এবং কংগ্রেস আনন্দিত। কিন্তু এই বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার মধ্যে বাংলা ভাষার উল্লেখ নেই। এটাকে অত্যন্ত পরিতাপের বলে উল্লেখ করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং বামপরিষদীয় দল নেতা সুজন চক্রবর্তী।
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান জানান, "বাংলা ভাষাকে গুরুত্ব না দেওয়ার বিষয়টি দুঃখের। দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে বাংলা ভাষাকে এক্ষেত্রে বাদ দেওয়ার পেছনে কোন যুক্তি আমরা খুঁজে পাইনি। সুপ্রিম কোর্টের রায় যে ভাষা গুলিতে অনূদিত করে পাওয়া যাবে তার মধ্যে বাংলা ভাষাকে বাদ দেওয়ায় আমরা প্রতিবাদ করছি।"
সুজন চক্রবর্তী জানান, বাংলা ভাষা ভারতবর্ষের সংবিধানে স্বীকৃত ভাষা গুলির মধ্যে সব থেকে সমৃদ্ধ এবং ঐতিহ্যশালী। জাতীয় সংগীত বাংলা ভাষায় রচিত।দেশের প্রধান দেশাত্মবোধক সঙ্গীত বন্দেমাতরম বাংলা ভাষায় রচিত। বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও সর্বজন গ্রাহ্য। আমাদের দেশ ছাড়াও একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত বাংলা ভাষায় রচিত। বাংলা ভাষার গুরুত্ব অপরিসীম।বাংলা ভাষা দিবস প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রসংঘ কর্তৃক আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি। এখনো পর্যন্ত আমাদের দেশে বাংলাই একমাত্র ভাষা, যে ভাষায় রচিত সাহিত্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছে। বাংলা ভাষা এদেশে বিভিন্ন ভাষার মধ্যে হিন্দির পরেই সর্বাধিক প্রচলিত একটি ভাষা। কলকাতা বাংলা ভাষাভাষীদের পীঠস্থান। তার ঐতিহ্য সুপ্রাচীন। সারা দেশের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট প্রাচীনতম। এবং সবথেকে ঐতিহ্যশালী হাইকোর্ট।সুপ্রিম কোর্টের রায় ভাষান্তরিত করার জন্য যে কয়েকটি আঞ্চলিক ভাষাকে চিহ্নিত করা হয়েছে, তার মধ্যে বাংলা ভাষাকে বাদ দেওয়ার কোন যুক্তিগ্রাহ্য কারণ আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। আমরা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট কে জানাচ্ছি যে, বাংলা ভাষা কি যেন অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং সুপ্রিম কোর্টের রায় বাংলা ভাষাতেও যেন অনূদিত হয়।"
দেশের শীর্ষ আদালতের পাশাপাশি বাম এবং কংগ্রেস যৌথভাবে কলকাতা হাইকোর্ট এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চিঠি দিয়েছে।Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.