ETV Bharat / bharat

পক্ষে 269, বিপক্ষে 198; লোকসভায় ভোটাভুটিতে পেশ 'এক দেশ, এক নির্বাচন' বিল - ONE NATION ONE ELECTION BILL

'এক দেশ, এক নির্বাচন' বিল ৷ বিল প্রত্যাহারের দাবি করেন বিরোধী সাংসদরা ৷ শেষ পর্যন্ত ভোটাভুটিতে সংসদের নিম্নকক্ষে পেশ হয় এই বিল ৷

ONE NATION ONE ELECTION BILL
লোকসভা অধিবেশন (ফাইল চিত্র, এএনআই)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 17, 2024, 10:51 AM IST

নয়াদিল্লি, 17 ডিসেম্বর: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সায় মিলেছিল আগেই ৷ মঙ্গলবার লোকসভায় পেশ হল 'এক দেশ, এক নির্বাচন' বিল ৷ এদিন, সংসদের নিম্নকক্ষে বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল ৷ বিলের বিরোধিতা করেন বিরোধী সাংসদরা ৷ বিল প্রত্যাহারের দাবি করেন তাঁরা ৷ অবশেষে, লোকসভায় ভোটুভুটির মাধ্যমে পেশ হয় এই বিল ৷ বিল পেশের পক্ষে ভোট পড়ে 269 এবং বিপক্ষে ভোট পড়ে 198 ৷ উল্লেখ্য, নতুন সংসদ ভবনে এটাই প্রথম ভোটাভুটি ৷

কী কী বিল পেশ হল ?

কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী এদিন লোকসভায় সংবিধান সংক্রান্ত দু’টি বিল পেশ করেন । একটি সংবিধান (129 তম সংশোধনী) বিল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধনী) বিল। বিল পেশ হতেই হট্টগোল শুরু করেন বিরোধী সাংসদরা ৷ তাঁরা বিল প্রত্যাহারের দাবি জানান ৷ কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি-সহ ‘ইন্ডিয়া’ জোটের অন্য দলগুলিও এই বিলের বিরোধিতা করে । এই বিল সংবিধানের পরিপন্থী বলে মনে করেন তাঁরা । তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই বিল সংবিধানের মূল কাঠামোকে আঘাত করবে । এরপরই বিল পেশ নিয়ে ভোটাভুটির দাবি তোলেন তাঁরা ৷ ভোটাভুটির পরই মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের নিম্নকক্ষের অধিবেশন ৷

কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর বক্তব্য

সংসদের বিতর্ক পর্বে বিরোধীদের দাবি নসাৎ করে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী জানান, দেশের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তরে কোনও পরিবর্তন হবে না ৷ এই বিলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো, ক্ষমতার পৃথকীকরণ, সর্বোপরি সংবিধানের শ্রেষ্ঠত্বের মতো নীতিগুলিতে কোনও পরিবর্তন হবে না ৷ সুতরাং, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে বিলের বিরোধিতা করা হচ্ছে ৷

কী বলছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ?

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, "প্রতিটি স্তর নিয়ে পর্যালোচনার জন্য বিলটিকে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পেশ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ এরপর কমিটির রিপোর্টটিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হবে ৷ তারপর আরও একবার এই বিল নিয়ে সংসদে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷"

কোন পরিস্থিতিতে পেশ হল বিল ?

সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন গত 12 ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে এই বিলে সায় দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ৷ সূত্রের দাবি, তারপরই বিলটিকে লোকসভায় পেশ করা নিয়ে পদক্ষেপ শুরু করে কেন্দ্র সরকার ৷ বিজেপি-সহ শাসকজোট এনডিএ-র সাংসদদের মঙ্গলবার সংসদের নিম্নকক্ষে উপস্থিত থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ সূত্রের খবর, এদিন লোকসভায় উপস্থিত থাকার জন্য সকল কংগ্রেস সাংসদদের উইপ জারি করা হয় ৷

বিরোধীদের দাবি

এদিকে, বিল পেশের বিপক্ষে লোকসভার সচিবকে নোটিশ দেন কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তিওয়ারি ৷ তাঁর দাবি, এই বিল দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী ৷ কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক ৷ তাঁর কথায়, "এই বিল দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে সরাসরি আঘাত করবে ৷ এই ধরণের পদক্ষেপে রাজ্যের স্বায়ত্তশ্বাসন, স্থানীয় গণতান্ত্রিক অধিকার ও ক্ষমতা কেন্দ্রীয়করণের ঝুঁকি রয়েছে ৷" বিল পেশের সময় একই বক্তব্য রাখেন এই কংগ্রেস সাংসদ ৷ পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ধর্মেন্দ্র যাদব জানান, 'এক দেশ, এক নির্বাচন' লাগু করে বিজেপি একনায়কতন্ত্র আনতে চলেছে দেশে ৷ আবার ডিএমকে সাংসদ টিআর বালু বলেন, "ভোটারদের পাঁচ বছরের জন্য সরকার নির্বাচনের অধিকার রয়েছে এবং একসঙ্গে নির্বাচনের মাধ্যমে এই অধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না ৷"

বিজেপির দাবি

অবশ্য, বিজেপির দাবি দেশ তথা দেশবাসীর কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ কংগ্রেসকে আক্রমণ করে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, "স্বাধীনতার পর ভারতে দু'দশক ধরে এক দেশ এক নির্বাচন ছিল ৷ কংগ্রেস 356 ধারার অপব্যবহার করার পর কয়েকটি রাজ্যে আলাদাভাবে নির্বাচন করা হয় ৷"

তৃণমূলের অবস্থান

গত 12 ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বিলটি পাশ হওয়ার পরই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেছিলেন, "কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বিশেষজ্ঞ এবং বিরোধী নেতাদের দ্বারা উত্থাপিত প্রতিটি বৈধ উদ্বেগকে উপেক্ষা করেছে ।" তাঁর দাবি, "কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত শুধু অসাংবিধানিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী । এর মাধ্যমে বিরোধীদের বুলডোজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে ।" এরপর মঙ্গলবার সংসদের দুই কক্ষেই এই বিলের বিরোধীতা করবে তৃণমূল কংগ্রেস বলে সাফ জানিয়েছেন দলের সাংসদ সৌগত রায় ৷ তিনি বলেন, "দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী এই বিলের তীব্র প্রতিবাদ করা হবে ৷"

প্রসঙ্গত, 'এক দেশ এক নির্বাচন' কার্যকর করা নিয়ে গত বছর একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ৷ লোকসভা নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে 18 হাজার পাতার রিপোর্ট জমা দেয় কমিটি ৷ সেই রিপোর্ট পর্যালোচনার পর বিলটি পাশ হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ৷

পড়ুন: 'এক দেশ, এক নির্বাচন' লাগু হলে কেমন হবে দেশের ভোট-চিত্র?

নয়াদিল্লি, 17 ডিসেম্বর: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সায় মিলেছিল আগেই ৷ মঙ্গলবার লোকসভায় পেশ হল 'এক দেশ, এক নির্বাচন' বিল ৷ এদিন, সংসদের নিম্নকক্ষে বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল ৷ বিলের বিরোধিতা করেন বিরোধী সাংসদরা ৷ বিল প্রত্যাহারের দাবি করেন তাঁরা ৷ অবশেষে, লোকসভায় ভোটুভুটির মাধ্যমে পেশ হয় এই বিল ৷ বিল পেশের পক্ষে ভোট পড়ে 269 এবং বিপক্ষে ভোট পড়ে 198 ৷ উল্লেখ্য, নতুন সংসদ ভবনে এটাই প্রথম ভোটাভুটি ৷

কী কী বিল পেশ হল ?

কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী এদিন লোকসভায় সংবিধান সংক্রান্ত দু’টি বিল পেশ করেন । একটি সংবিধান (129 তম সংশোধনী) বিল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধনী) বিল। বিল পেশ হতেই হট্টগোল শুরু করেন বিরোধী সাংসদরা ৷ তাঁরা বিল প্রত্যাহারের দাবি জানান ৷ কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি-সহ ‘ইন্ডিয়া’ জোটের অন্য দলগুলিও এই বিলের বিরোধিতা করে । এই বিল সংবিধানের পরিপন্থী বলে মনে করেন তাঁরা । তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই বিল সংবিধানের মূল কাঠামোকে আঘাত করবে । এরপরই বিল পেশ নিয়ে ভোটাভুটির দাবি তোলেন তাঁরা ৷ ভোটাভুটির পরই মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের নিম্নকক্ষের অধিবেশন ৷

কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর বক্তব্য

সংসদের বিতর্ক পর্বে বিরোধীদের দাবি নসাৎ করে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী জানান, দেশের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তরে কোনও পরিবর্তন হবে না ৷ এই বিলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো, ক্ষমতার পৃথকীকরণ, সর্বোপরি সংবিধানের শ্রেষ্ঠত্বের মতো নীতিগুলিতে কোনও পরিবর্তন হবে না ৷ সুতরাং, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে বিলের বিরোধিতা করা হচ্ছে ৷

কী বলছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ?

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, "প্রতিটি স্তর নিয়ে পর্যালোচনার জন্য বিলটিকে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পেশ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ এরপর কমিটির রিপোর্টটিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হবে ৷ তারপর আরও একবার এই বিল নিয়ে সংসদে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷"

কোন পরিস্থিতিতে পেশ হল বিল ?

সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন গত 12 ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে এই বিলে সায় দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ৷ সূত্রের দাবি, তারপরই বিলটিকে লোকসভায় পেশ করা নিয়ে পদক্ষেপ শুরু করে কেন্দ্র সরকার ৷ বিজেপি-সহ শাসকজোট এনডিএ-র সাংসদদের মঙ্গলবার সংসদের নিম্নকক্ষে উপস্থিত থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ সূত্রের খবর, এদিন লোকসভায় উপস্থিত থাকার জন্য সকল কংগ্রেস সাংসদদের উইপ জারি করা হয় ৷

বিরোধীদের দাবি

এদিকে, বিল পেশের বিপক্ষে লোকসভার সচিবকে নোটিশ দেন কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তিওয়ারি ৷ তাঁর দাবি, এই বিল দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী ৷ কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক ৷ তাঁর কথায়, "এই বিল দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে সরাসরি আঘাত করবে ৷ এই ধরণের পদক্ষেপে রাজ্যের স্বায়ত্তশ্বাসন, স্থানীয় গণতান্ত্রিক অধিকার ও ক্ষমতা কেন্দ্রীয়করণের ঝুঁকি রয়েছে ৷" বিল পেশের সময় একই বক্তব্য রাখেন এই কংগ্রেস সাংসদ ৷ পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ধর্মেন্দ্র যাদব জানান, 'এক দেশ, এক নির্বাচন' লাগু করে বিজেপি একনায়কতন্ত্র আনতে চলেছে দেশে ৷ আবার ডিএমকে সাংসদ টিআর বালু বলেন, "ভোটারদের পাঁচ বছরের জন্য সরকার নির্বাচনের অধিকার রয়েছে এবং একসঙ্গে নির্বাচনের মাধ্যমে এই অধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না ৷"

বিজেপির দাবি

অবশ্য, বিজেপির দাবি দেশ তথা দেশবাসীর কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ কংগ্রেসকে আক্রমণ করে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, "স্বাধীনতার পর ভারতে দু'দশক ধরে এক দেশ এক নির্বাচন ছিল ৷ কংগ্রেস 356 ধারার অপব্যবহার করার পর কয়েকটি রাজ্যে আলাদাভাবে নির্বাচন করা হয় ৷"

তৃণমূলের অবস্থান

গত 12 ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বিলটি পাশ হওয়ার পরই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেছিলেন, "কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বিশেষজ্ঞ এবং বিরোধী নেতাদের দ্বারা উত্থাপিত প্রতিটি বৈধ উদ্বেগকে উপেক্ষা করেছে ।" তাঁর দাবি, "কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত শুধু অসাংবিধানিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী । এর মাধ্যমে বিরোধীদের বুলডোজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে ।" এরপর মঙ্গলবার সংসদের দুই কক্ষেই এই বিলের বিরোধীতা করবে তৃণমূল কংগ্রেস বলে সাফ জানিয়েছেন দলের সাংসদ সৌগত রায় ৷ তিনি বলেন, "দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী এই বিলের তীব্র প্রতিবাদ করা হবে ৷"

প্রসঙ্গত, 'এক দেশ এক নির্বাচন' কার্যকর করা নিয়ে গত বছর একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ৷ লোকসভা নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে 18 হাজার পাতার রিপোর্ট জমা দেয় কমিটি ৷ সেই রিপোর্ট পর্যালোচনার পর বিলটি পাশ হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ৷

পড়ুন: 'এক দেশ, এক নির্বাচন' লাগু হলে কেমন হবে দেশের ভোট-চিত্র?
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.