কলকাতা, 4 মে: রাজ্যে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় তা নিয়ে আবারও রাজ্য নির্বাচন কমিশনে আর্জি জানাল ভোটকর্মীদের সংগঠন। বিশেষ করে শিক্ষাকর্মী যারা ভোটের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিষয়টি সংগঠনের প্রধান দাবি। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ কলেজ শিক্ষাকর্মী সংগঠনের পক্ষ থেকে এই আবেদন জমা পড়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে।
রাজ্যে আগামী ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটে যাতে কোনও রকম বিঘ্ন ছাড়াই সম্পন্ন হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি কলেজ ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভোট কর্মী হিসাবে তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কথা জানানো হয় সংগঠনের তরফে ৷ সংগঠনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার দেখা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে। এদিন মানষী ভট্টাচার্য, সুব্রত চক্রবর্তী এবং চঞ্চল দাস কমিশনকে এই ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন।
সংগঠনের সদস্য সুব্রত চক্রবর্তী জানান, বর্তমানে গোটা রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার যে পরিস্থিতিতে আছে তাতে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী দিয়েই যাতে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানো হয়, সেই বিষয়টি কমিশনের কাছে জানানো হয়েছে। ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সামনে যাতে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয় তাও বলা হয়েছে সংগঠনের তরফে। অন্যদিকে, তাঁরা জানিয়েছেন, বিগত দুটি পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট কর্মী হিসেবে কলেজ এবং স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকারা গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব পালন করেছে। তবে সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শিক্ষাকর্মীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে নিদারুণ খারাপ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
এবার সেই সব দিক উল্লেখ করে, আসন্ন পঞ্চায়েতে যাতে ভয়মুক্ত পরিবেশে গণতান্ত্রিকভাবে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া চলতে পারে, সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে কমিশনকে, এমনটাই দাবি সংগঠনের। এছাড়াও ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে বলেও জানিয়েছেন তারা । সেক্ষেত্রে তাঁদের দাবি, বিগত নির্বাচনে লাঠিধারি রাজ্য পুলিশও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভোট কর্মীরা কাজ করেছেন। তাই ভোট কর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিটি বুথের সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং প্রতিটি বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা রাখতে হবে। সংগঠনের নেতা সুব্রত চক্রবর্তী জানান, সংগঠনের পক্ষ থেকে 16 দফা দাবি নিয়ে একটি চিঠি তাঁরা জমা দিয়েছে কমিশনের কাছে। কমিশনের পক্ষ থেকে অবশ্য সব দাবিগুলি বিবেচনা করা হবে বলেও তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে এও জানানো হয়েছে, নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরই রাজ্য পুলিশ নাকি সশস্ত্র বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হবে সেই বিষয়টি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: তিহাড়েই থাকতে হচ্ছে অনুব্রতকে, গরুপাচার মামলায় চার্জশিট জমা দিল ইডি