কলকাতা, 11 এপ্রিল : দু'দিন বাদেই পয়লা বৈশাখ। নতুন হালখাতা, লক্ষ্মী-গণেশ পুজোর মধ্য দিয়েই শুরু হয় বাঙালির নববর্ষ । কিন্তু কোরোনার প্রভাবে এবার আর জমল না পয়লা বৈশাখ । সংক্রমণের আশঙ্কায় অনেক কিছুই বাদ পড়তে চলেছে নববর্ষের দিন। নববর্ষতে যে লক্ষ্মী-গণেশ বিক্রি হয় তার সিংহভাগই তৈরি হয় বরানগর ও কাশিপুর এলাকায়। ছাঁচের এই লক্ষ্মী-গণেশ তৈরি করেন বরানগর ও কাশিপুরের মৃৎশিল্পীরা। কিন্তু এবছর সেভাবে মূর্তিই তৈরি হয়নি । যা হয়েছে, তার আবার বিক্রি নেই । তাই মাথায় হাত পড়েছে মৃৎশিল্পীদের ।
কোরোনার সংক্রমণের ভয়ে একের পর এক পুজো আগেই বন্ধ হয়েছে। পরপর বন্ধ হয়েছে শীতলা পুজো, অন্নপূর্ণা পুজো, বাসন্তী পুজো । অর্ডার দিয়ে প্রতিমা তৈরি হয়ে গেলেও সে প্রতিমা নিয়ে যায়নি পুজো উদ্যোক্তারা। একের পর এক পুজো এভাবে বাতিল হয়ে যাওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন বরানগর ও কাশিপুর এলাকার মৃৎশিল্পীরা। সামনে পয়লা বৈশাখ । তাই এতকিছুর পরও আশায় বুক বেঁধেছিলেন তাঁরা। কিন্তু কিছুই বদলায়নি । আবার লকডাউন বাড়ার সম্ভাবনাও প্রবল । এই পরিস্থিতিতে লোকজন আর বাড়ি থেকে বেরচ্ছেন না । তাই লক্ষ্মী-গণেশ তৈরি হলেও এবার বিক্রির সম্ভাবনা নেই। অনেকেই পয়লা বৈশাখের দিনে দুর্গাপুজোর অর্ডার দেয় । কিন্তু সেই অর্ডার পেতেও আরও সময় লাগবে । তাই আপাতত কোনওরকমেই দিন গুজরান করছেন মৃৎশিল্পীরা।
এই পরিস্থিতিতে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্য আবেদন জানাল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য অনুন্নত কুম্ভকার সমিতি। উল্লেখ্য, বরানগর ও কাশিপুর অঞ্চল মিলিয়ে প্রায় 45 জন মৃৎশিল্পী রয়েছেন। তাঁরাও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে খাদ্যসামগ্রী ও আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। আপাতত সুদিনের অপেক্ষা ।