কলকাতা, 25 অগস্ট: আদালতের ভয়ে ছেড়ে দেওয়া হল সাইবার অপরাধে যুক্ত সন্দেহ ধৃত দম্পতিকে । বৃহস্পতিবার একটি মামলায় নিজেদের দেওয়া হলফনামায় স্বাক্ষর করতে এসেছিলেন তাঁরা ৷ আদালত থেকে বেরনোর সময় হাইকোর্টের গেট থেকে তাঁদের গ্রেফতার করে সিআইডি । বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে রয়েছে এই সংক্রান্ত মামলা । গতকাল বিষয়টি শোনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিচারপতি ।
তিনি জানান, যে ভাবে ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় । আজ এই নিয়ে নির্দেশ দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত । শুক্রবার এই মামলার শুনানির সময় রাজ্যের তরফে জানানো হয়, গতকাল বিচারপতি ক্ষোভ ব্যক্ত করার পর আদালতের সম্মানের কথা ভেবে ওই দম্পতিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে । তাঁরা আগামী শনিবার সিআইডি দফতরে হাজিরা দেবেন ।
এ দিন মামলার শুনানিতে দম্পতির আইনজীবী জানান, "তাঁর মক্কেল দম্পতিকে ছেড়ে দিয়েছে সিআইডি । তাঁরা আদালতে হাজির আছেন । শনিবার তাঁদের সিআইডি তলব করেছে । সে দিন গিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাবেন তাঁরা ।" রাজ্যের আইনজীবী জানান, "আদালতের সম্মানের জন্য আমরা তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।"
এই শুনে বিচারপতি বলেন, কাল যে ভাবে ঘটনা ঘটানো হয়েছিল সেটা নিয়ে কোর্ট ভাবিত ছিল । তবে কোন গেটের সামনে থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয় সেটা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে । আর আজই কুণাল গুপ্তকে যেতে হবে ইডি অফিসে হাজিরা দিতে । সেই জন্য বিচারপতি আগামী সোমবার ফের মামলাটি শুনানির জন্য রেখেছেন ।
আরও পড়ুন: ঋণদান সমবায় সমিতিতে দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তভার ইডি-সিবিআইকে
সাইবার অপরাধের মামলায় কুণাল গুপ্তা ও নন্দিনী গুপ্তা নামে দুজনকে গতকাল সকালে মামলা চলার মধ্যেই হাইকোর্ট থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি । আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, 117 কোটি টাকার সাইবার মামলায় এঁদের ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডেকেছে । সিআইডিও তদন্ত করছে । সেই নিয়ে গতকাল সকালে মামলা হয় জয় সেনগুপ্তের ঘরে । ওই দম্পতি গতকাল হাইকোর্ট থেকে বেরনোর সময় সিআইডি গ্রেফতার করে দুজনকে ।
দুপুরে আদালত বসতেই বিচারপতির কাছে নালিশ করেন তাঁদের আইনজীবী । ক্ষুব্ধ বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানতে চান, কার নির্দেশে সিআইডি গ্রেফতার করল ? রেজিস্ট্রার জেনারেলের অনুমতি নেওয়া হয়েছে ? কোন ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছেন ? এ দিন রাজ্যকে চরম ভর্ৎসনা করে ধৃতরা ও যে অফিসাররা ওই দম্পতিকে ধরেছিলেন, তাঁদের আদালতে হাজির করতেও রাজ্যকে বলে আদালত ।