কলকাতা, 9 ডিসেম্বর: অকাল বর্ষণ ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শুক্রবার কার্শিয়াং-এ সরকারি পরিষেবা প্রদানের মঞ্চ থেকে কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি এবং আর্থিক সাগহায্য নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন তিনি বলেন, "রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাতে ফসলের প্রচুর ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। আমি কৃষক ভাই বোনদের বলছি আপনারা ভয় পাবেন না। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কৃষকদের জন্য ক্রপ ইন্সিওরেন্স করা হয়েছে। তাঁরা তাঁদের প্রাপ্য অর্থ পাবেন।" এদিন ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কৃষি সচিব ওঙ্কার সিং মীণা। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, যাতে বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা দ্রুত আর্থিক সাহায্য পান সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। সেই মতো যাতে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা সাহায্য পান তার ব্যবস্থা করতে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে কৃষকদের পাশে থাকা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তা নিয়ে অবশ্য একটি শব্দও খরচ করেননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে কৃষি দফতরের এক আধিকারিক বলেন, "বিরোধী দলনেতা কী বলেছেন আমরা জানি না। তবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতো আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছিল প্রত্যেকটি জেলাকেই। কিন্তু এরপরেও যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পর্যালোচনা করার জন্য ইতিমধ্যেই কৃষি দফতরের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আর সেই মতোই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।"
বিধানসভায় বসে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেছিলেন, সরকার সঠিক সময় সতর্ক না হওয়ার জন্য দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষকদের চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। এই অবস্থার জন্য রাজ্য সরকারই দায়ী। অন্যদিকে, এইদিনই পাহাড়ে ভাইপোর বিয়েতে ও প্রশাসনিক কাজ সারতে পাহাড়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ৷ সেখান থেকেই বাংলায় অকাল বর্ষণ ও দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
আরও পড়ুন: